পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बऽिकञ ब्रष्नाबव्नौ -- ওসমান নিস্তবধ হইয়া রহিলেন । অবগগঠনবতী মনঃপীড়া-বিকশিপত সত্বরে কহিতে লাগিলেন, “না করেন—না করন, আমরা এক্ষণে অনাথা; কিন্তু জগদীশবর আছেন!” ওসমান কহিলেন, “মা! তুমি জান না যে, কি কঠিন কমে আমায় নিযক্ত করিতেছ। কতল খাঁ জানিতে পারিলে আমার প্রাণান্ত করিবে।” সত্ৰী কহিলেন, “কতল খাঁ ? আমাকে কেন প্রবঞ্চনা করা ? কতল খাঁর সাধ্য নাই যে, তোমার কেশ সংপশ করে।” ও। কতল খাঁকে চেন না-কিন্তু চল, আমি তোমাকে বধ্যভূমিতে লইয়া যাইব । ওসমানের পশ্চাৎ পশ্চাৎ অবগঠিনবতী বধ্যভূমিতে গিয়া নিস্তবোধ দণ্ডডায়মানা হইলেন। বীরেন্দ্ৰসিংহ তাঁহাকে না দেখিয়া একজন ভিখারীর বেশধারী ব্ৰাহ্মণের সহিত কথা কহিতেছিলেন। অবগঠিনবতী অবগঠিনমধ্য হইতে দেখিলেন, ভিখারী অভিরাম সবামী। বীরেন্দ্র অভিরাম স্বামীকে কহিলেন, “গরদেব! তবে বিদায় হইলাম। আমি আর সুপুত্রকে কি বলিয়া যাইব ? ইহলোকে আমার কিছ প্রার্থনীয় নাই; কাহার জন্য প্রার্থনা

    • ק অভিরাম স্বামী অঙ্গলি নিৰ্দেশ দবারা পশ্চাদবত্তিানী অবগঠিনবতীকে দেখাইলেন। বীরেন্দ্ৰসিংহ সেই দিকে মািখ ফিরাইলেন ; আমনি রমণী অবগঠন দরে নিক্ষেপ করিয়া বুরুদ্ধের শােখলাবদ্ধ পদতলে অবলুপ্তন করতে লাগিলেন। বীরেন্দ্র গদগদ সত্বরে ডাকিলেন, 66 و

“স্বামী! প্ৰভু! প্ৰাণেশ্ববর!” বলিতে বলিতে উন্মাদিনীর ন্যায় অধিকতর উচ্চৈঃস্বরে বিমলা কহিতে লাগিলেন, “আজ আমি জগৎসমীপে বলিব, কে নিবারণ করিবে ? স্বামী! কন্ঠরত্ন । কোথা যাও ! আমাদের কোথা রাখিয়া যাও !” বীরেন্দ্ৰসিংহের চক্ষে দরদর অশ্রদ্ধারা পতিত হইতে লাগিল। হস্ত ধরিয়া বিমলাকে বলিলেন, “বিমলা! প্রিয়তামো! এ সময়ে কেন আমায় রোদন করাও, শত্ররা দেখিলে আমায় মরণে ভীত মনে করবে।” বিমলা নিস্তবধ হইলেন। বীরেন্দ্র পনবার কহিলেন, “বিমলে! আমি যাই, তোমরা আমার পশ্চাৎ আইস।” আর কেহ না শনিতে পায়। এমত সত্বরে কহিতে লাগিলেন, “যাইব, কিন্তু আগে এ যন্ত্রণার প্রতিশোধ করিব।” নিৰ্ব্ববাণোন্মািখ প্ৰদীপবং বীরোন্দ্রের মািখ হষোৎফল্প হইল—কহিলেন, “পরিবে ?” বিমলা দক্ষিণ হস্তে আওগলি দিয়া কহিলেন, “এই হস্তে! এই হস্থের সাবণ ত্যাগ করিলাম; আর কাজ কি!” বলিয়া কঙ্কণাদি খলিয়া দরে নিক্ষেপ করিতে করিতে বলিতে লাগিলেন, “শাণিত লৌহ ভিন্ন এ হস্তে অলঙ্কার আর ধরিব না।” বীরেন্দ্ৰ হৃষ্টচিত্তে কহিলেন, “তুমি পরিবে, জগদীশবর তোমার মনস্কামনা সফল করন।” জল্লাদ ডাকিয়া কহিল, ‘আর বিলম্ব করিতে পারি না।” বীরেন্দ্র বিমলাকে কহিলেন, “আর কি ? এখন যাও।” বিমলা কহিলেন, “না, আমার সম্পম খেই আমার বৈধব্য ঘটক। তোমার রধিরে মনের সঙ্কোচ বিসডিজনি করিব।” বিমলার সম্বর ভয়ঙকর সিস্থর। “তাহাই হউক” বলিয়া বীরেন্দ্ৰসিংহ জল্লাদকে ইঙ্গিত করিলেন। বিমলা দেখিতে পাইলেন, উদ্ধেত্থিত কুঠার সযতেজে প্রদীপ্তত হইল; তাঁহার নয়নপল্লব মহত্ত জন্য আপনি মাদ্রিত হইল; পািনরন্মীলন করিয়া, দেখেন, বীরেন্দ্ৰসিংহের ছিন্ন শির রধির সিন্ত ধলিতে অবলগঠন করিতেছে। বিমলা প্রস্তর-মাত্তি বৎ দন্ডায়মানা রহিলেন, মস্তকের একটি কেশ বাতাসে দলিতেছে না। এক বিন্দ আশ্রম পড়িতেছে না। চক্ষর পলক নাই, একদম্পেট ছিন্ন শির প্রতি চাহিয়া আছেন । ふ bf