পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वर्ग७दक्शा ज्ञष्न्बव्ी যখন হেমচন্দ্র আদশ্য হইলেন, মাধবাচায্য মনে মনে বলিতে লাগিলেন, “যাও, বৎস! প্রতি পদে বিজয় লাভ কর। যদি ব্রাহ্মণবংশে আমার জন্ম হয়, তবে তোমার পদে কুশাঙ্কুরও বিধিবে না। মণিালিনী! মণিপলনী পাখী আমি তোমারই জন্যে পিঞ্জরে বাঁধিয়া রাখিয়াছি। কিন্তু কি জানি, পাছে তুমি তাহার কলধবনিতে মগধ হইয়া বড় কাজ ভুলিয়া যাও, এইজন্য তোমার পরমমঙ্গলাকাঙক্ষী ব্ৰাহ্মণ তোমাকে কিছ দিনের জন্য মনঃপীড়া দিতেছে।” দিবতীয় পরিচ্ছেদ ঃ পিঞ্জরের বিহঙগী লক্ষণাবতী-নিবাসী হৃষীকেশ সম্পন্ন বা দরিদ্র ব্রাহ্মণ নহেন। তাঁহার বাসগাহের বিলক্ষণ সৌভ্রািঠব ছিল। তাঁহার অন্তঃপারমধ্যে যথায় দাইটি তরণী কক্ষপ্রাচীরে আলেখ্য লিখিতেছিলেন, তথায় পাঠক মহাশয়কে দাঁড়াইতে হইবে। উভয় রমণীই আত্মকম্মেম সবিশেষ মনোভিনিবেশ করিয়াছিলেন, কিন্তু তন্নিবন্ধন পরস্পরের সহিত কথোপকথনের কোন বিঘা জন্মিতেছিল না। সেই কথোপকথনের মধ্যভাগ হইতে পাঠক মহাশয়কে শনাইতে আরম্ভ করিব। এক যাবতী অপরকে কহিলেন, “কেন, মণিালিনী, কথার উত্তর দিস না কেন ? আমি সেই রাজপত্রটির কথা শনিতে ভালবাসি।” “সই মণিমালিনী! তোমার সখের কথা বল, আমি আনন্দে শনিব।” মণিমালিনী কহিল, “আমার সখের কথা শনিতে শনিতে আমিই জালাতন হইয়াছি, তোমাকে কি শনাইবা ? ম। তুমি শোন কার কাছে-তোমার স্বামীর কাছে ? মণি। নহিলে আর কারও কাছে বড় শনিতে পাই না। এই পদ্মটি কেমন আকিলাম দেখ দেখি ? ম। ভাল হইয়াও হয় নাই। জল হইতে পদ্ম অনেক উদ্ধের আছে, কিন্তু সরোবরে সেরাপ থাকে না ; পদ্মের বোঁটা জলে লাগিয়া থাকে, চিত্রেও সেইরাপ হইবে। আর কয়েকটি BB BB BBBS uDBB BBB SSDBBBD DBB DB DBD S DBBBDS SBBB BBS BDBB BBDB BBu রাজহাঁস অকিয়া দাও । মণি ৷ হাঁস। এখানে কি করিবে ? ম। তোমার স্বামীর মত পদ্মের কাছে সখের কথা কহিবে ? মণি । (হাসিয়া ) দই জনেই সকেন্ঠ বটে। কিন্তু আমি হাঁস লিখিব না। আমি সখের কথা শনিয়া শনিয়া জবালাতন হইয়াছি। ম। তবে একটি খঞ্জন আকি। মণি। খঞ্জন আকিব না। খঞ্জন পাখা বাহির করিয়া উড়িয়া যাইবে । এ ত মণিালিনী নৰে যে, স্নেহ-শিকলে বধিয়া রাখিব। ম। খঞ্জন যদি এমনই দলটি হয়, তবে মণিালিনীকে যেমন পিঞ্জরে পরিয়াছ, খঞ্জনকে ও সেইরাপ করিও ! ম। আমবা মণিালিনীকে পিঞ্জরে পরিা নাই—সে আপনি আসিয়া পিঞ্জরে ঢকিয়াছে। ম। সে মাধবাচায্যের গণ । ম। সখি, তুমি কতবার বলিয়াছ যে, মাধবাচায্যের সেই নিশ্ৰষ্ঠর কাজের কথা সবিশেষ বলিবে। কিন্তু কই, আজিও বলিলে না। কেন তুমি মাধবাচায্যের কথায় পিতৃগত ত্যাগ করিষা আসিলে ? ম। মাধবাচায্যের কথায় আসি নাই। মাধবাচায্যকে আমি চিনিতাম না। আমি ইচ্ছাপাকবািকও এখানে আসি নাই। একদিন সন্ধ্যার পর, আমার দাসী আমাকে এই আওগটি দিল ; এবং বলিল যে, যিনি এই আঙ্গটি দিয়াছেন, তিনি ফািলবাগানে অপেক্ষা করিতেছেন। আমি দেখিলাম যে, উহা হেমচন্দ্রের সঙ্কেতের আঙ্গটি। তাঁহার সাক্ষাতের অভিলাষ থাকিলে তিনি এই আঙ্গটি পাঠাইয়া দিতেন। আমাদিগের বাটীর পিছনেই বাগান ছিল। যমনা হইতে শীতল বাতাস সেই বাগানে নাচিয়া বেড়াইত। তথায় তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ হইত। মণিমালিনী কহিলেন, “ঐ কথাটি মনে পড়িলেও আমার বড় অসখি হয়। তুমি কুমাৰী হইয়া কি প্রকারে পরিষের সহিত গোপনে প্রণয় করিতে ?” ఎసి 8