পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७दका झष्न्बव्ी হে। তুমি অধঃপাতে যাও ; মনের কথা কিছ: বঝিলে ? গি। বর্ষাকালের পদ্মের মত; মািখখানি কেবল জলে ভাসিতেছে। হে। পরগাহে কি ভাবে আছে ? গি। এই অশোক ফলের সস্তবকের মত। আপনার গৌরবে আপনি নাম। হে। গিরিজায়া! তুমি বয়সে বালিকা মাত্ৰ। তোমার ন্যায় বালিকা আর দেখি নাই। গি। মাথা ভাঙিগবার উপযন্ত পােত্রও এমন আর দেখেন নাই। হে। সে অপরাধ লইও না, মণিালিনী আর কি বলিল ? †၄| | যো দিন জানকী—— হে । আবার ? †၄† | যো দিন জানকী, রঘবীর নিরাখি।-- হেমচন্দ্ৰ গিরিজায়ার কেশাকর্ষণ করিলেন। তখন সে কহিল, “ছাড়! ছড়ি! বলি ! বলি!” “বল” বলিয়া হেমচন্দ্ৰ কেশ ত্যাগ করিলেন। তখন গিরিজায়া আদ্যোপান্ত মণিালিনীর সহিত কথোপকথন বিবত করিল। পরে কহিল, “মহাশয়, আপনি যদি মণালিনীকে দেখিতে চান, তবে আমার সঙ্গে এক প্রহর রাত্রে যাত্রা করিবেন।” গিরিজায়ার কথা সমাপত হইলে, হেমচন্দ্র অনেকক্ষণ নিঃশব্দে অশোকতলে পদচারণা করিতে লাগিলেন। বহ ক্ষণ পাবে কিছুমাত্র না বলিয়া গহমধ্যে প্রবেশ করিলেন । এবং তথা হইতে একখানি পত্ৰ আনিয়া গিরিজায়ার হস্তে দিলেন, এবং কহিলেন, “মণিালিনীর সহিত সাক্ষাতে আমার এক্ষণে অধিকার নাই। তুমি রাত্রে কথামত তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিবে এবং এই পত্র তাঁহাকে দিবে। কহিবে, দেবতা প্ৰসন্ন হইলে অবশ্য শীঘ্ৰ বৎসরেক মধ্যে সাক্ষাৎ হইবে। মণিালিনী! কি বলেন, আজ রাত্রেই আমাকে বলিয়া যাইও ।” গিরিজায়া বিদায় হইলে, হেমচন্দ্র অনেকক্ষণ চিন্তিতান্তঃকৰণে অশোকবক্ষেতলে তৃণশয্যায় শয়ন করিয়া রহিলেন। ভূজোপাের মস্তক রক্ষা করিয়া, পথিবীর দিকে মািখ রাখিয়া, শয়ান রহিলেন। কিয়াৎকাল পরে, সহসা তাঁহার পািঠদেশে কঠিন করুস্পর্শ হইল। মািখ ফিরাইয়া দেখিলেন, সম্মখে মাধবাচায্য। মাধবাচায্য কহিলেন, “বাৎস্য ! গাত্ৰোখান কর। আমি তোমার প্রতি আসন্তুস্ট হইয়াছিসন্তুটেও হইয়াছি । তুমি আমাকে দেখিয়া বিসিমতের ন্যায় কেন চাহিয়া রহিয়াছ ?” হেমচন্দ্ৰ কহিলেন, “আপনি এখানে কোথা হইতে আসিলেন ? “ মাধবাচায্য এ কথাবা কোন উত্তর না দিয়া কহিতে লাগিলেন, “তুমি এ পৰ্যন্ত নবদ্বীপে না গিয়া পথে বিলম্ব করিতে ছ-ইহাতে তোমার প্রতি আসন্তুষ্ট হইয়াছি। আর তুমি যে মণালিনীর সন্ধান পাইয়াও আত্মসত্য প্রতিপালনের জন্য তাঁহােব সাক্ষাতের সংযোগ উপেক্ষা করিলে, এজন্য তোমার প্রতি সন্তুস্ট হইয়াছি। তোমাকে কোন তিরস্কার করিব না। কিন্তু এখানে তোমার আর বিলম্পিব করা হইবে না। মণিালিনীর প্রত্যুওরেব প্রতীক্ষা করা হইবে না। বেগবান হৃদয়কে বিশ্ববাস নাই। আমি আজি নবদ্বীপে ধাত্রা করব। তোমাকে আমার সঙ্গে যাইতে হইবে—নৌকা প্রস্তুত আছে। অস্ত্রশস্ত্ৰাদি গহমাধ্য হইতে লাইবা আইস। আমার সঙ্গে চল ।” হেমচন্দ্ৰ নিশবাস ত্যাগ করিয়া কহিলেন, “হানি নাই--- আমি আশা ভরসা বিসঙ্গজনি করিয়াছি। চলন। কিন্তু আপনি—কামাচর না। অন্তর্যামী ?” এই বলিয়া হেমচন্দ্ৰ গহমধ্যে পানঃপ্রবেশপ বর্বক বণিকের নিকট বিদায় গ্রহণ করিলেন; ጦኑ এবং আপনার সম্পত্তি এক জন বাহকের স্কন্ধে দিয়া আচায্যের অন্যবিত্তীৰ্থ হহলেন। পঞ্চম পরিচ্ছেদ ঃ লব্ধ মণিালিনী বা গিরিজায় এতন্মধ্যে কেহই আত্মপ্রতিশ্রুতি বিস্মতা হইলেন না। উভয়ে প্রহরেক রাত্রিতে হৃষীকেশের গহপাশে বা সংমিলিত হইলেন। মণিালিনী গিরিজায়াকে দেখিবামাত্ৰ কহিলেন, “কই, হেমচন্দ্র কোথায় ?” গিরিজায়া কহিল, “তিনি আইসেন নাই।” SOO