পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙিকম রচনাবলী ছাড়াছাড়িতে কাজ কি, ভাই ? একটা মনের দঃখ বলি, আমি কি মনষ নই? যদি একের মনোরঞ্জন করিয়াছ, তবে অপরের পার না ?” ম। কুলাঙ্গার! যদি না ছাড়িবে, তবে এখনই ডাকিয়া গহস্থ সকলকে উঠাইব । ব্যো। উঠাও । আমি কহিব, অভিসারিকাকে ধরিয়াছি। ম। তবে অধঃপাতে যাও । এই বলিয়া মণিালিনী সাবলে হস্তমোচন জন্য চেষটা করিলেন, কিন্তু কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিলেন না। ব্যোমকেশ কহিল, “অধীর হাইও না। আমার মনোরথ পণ্য হইলেই আমি তোমায় ত্যাগ করিব। এখন তোমার সেই ভগিনী মণিমালিনী কোথায় ?” ম। আমিই তোমার ভগিনী। বো। তুমি আমার সম্প্ৰবন্ধীর ভগিনী—আমার ব্রাহ্মণীর ভায়ের ভগিনী--আমার প্রাণাধিকা রাধিকা! সৰ্ব্বব্যাথসাধিকা ! এই বলিয়া ব্যোমকেশ মণিালিনীকে হস্তদ্বারা আকষণ করিয়া লইয়া চলিল। যখন মাধবাচায্য তাঁহাকে হরণ করিয়াছিল, তখন মণিালিনী সত্ৰীস্বভাবস্যুলভ চীৎকাবে রতি দেখান নাই, এখনও শবদ করিলেন না। কিন্তু মন্ণালিনী আর সহ্য করিতে পারিলেন না। মনে মনে লক্ষ ব্রাহ্মণকে প্ৰণাম করিয়া সবলে ব্যোমকেশকে পদাঘাত করিলেন। ব্যোমকেশ লাথি খাইয়া বলিল, “ভাল ভাল, ধন্য হইলাম! ও চরণসপশে মোক্ষপদ পাইব । সন্দরি ! তুমি আমার দ্ৰৌপদী— আমি তোমার জয়দ্ৰথ | ” পশ্চাৎ হইতে কে বলিল, “আর আমি তোমার অজািন।” অকস্মাৎ ব্যোমকেশ কাতরস্বরে বিকট চীৎকার করিয়া উঠিল, “রাক্ষসি! তোব দন্তে কি বিষ আছে ?” এই বলিয়া ব্যোমকেশ মণিালিনীর হস্ত ত্যাগ কবি যা আপন পঠে হস্তম্যাডজািন করিতে লাগিল। সপশানভাবে জানিল যে, পাঠ দিয়া দরদরিত রাধিব পাড়িতেছে। মণিালিনী মক্তহস্ত হইয়াও পলাইলেন না। তিনিও প্রথমে বোমকেশের ন্যায় বিসিমতা হইয়াছিলেন, কেন না। তিনি ত ব্যোমকেশকে দংশন করেন নাই। ভল্ল কোচিত কায্য তাঁহাব করণীয় নহে। কিন্তু তখনই নক্ষত্রালোকে খন্বীকৃতি বালিকামনুত্তি সম্মখ হইতে অপস, তা হইতেছে দেখিতে পাইলেন। গিরিজ যা তাঁহাের বসনাকর্ষণ করিষা মন্দ স্বাবে, পলাইয়া আইস” বলিয়া সম্বয়ং পলায়ন করিল। পলায়ন মণালিনীর সর্বভাবসওগাত নহে। তিনি পলায়ন কবিলেন না। বোমকেশ প্রাঙ্গণে দাঁড়াইয়া আৰ্ত্তনাদ কবিতেছে এবং কাতরোক্তি করিতেছে দেখিয়া, তিনি গজেন্দ্রগমনে নিজ শয়নাগার অভিমখে চলিলেন। কিন্তু তৎকালে ব্যোমকেশের আৰ্ত্তিনাদে গহস্থ সকলেই জাগরিত হইয়াছিল। সম্মখে হৃষীকেশ। হৃষীকেশ পত্রিকে শশব্যস্ত দেখিযা জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি হইয়াছে ?” কেন ষাঁড়ের মত চীৎকাব করিতেছ। - “ বোমকেশ কহিল, ”মণিালিনী অভিসাবে গমন করিয়াছিল, আমি তাঁহাকে ধন্ত কবিয়াছি বলিয়া সে আমার পঠে দংশন করিয়াছে ? “ হৃষীকেশ পত্রের কুরীতি কিছই জানিতেন না। মণিালিনীকে প্রাণ্ডগণ হইতে উঠিতে দেখিযা এ কথায্য তাঁহার বিশ্ববাস হইল। তৎকালে তিনি মন্ণালিনীকে কিছই বলিলেন না। নিঃশব্দে গজগামিনীর পশ্চাৎ তাঁহার শষনাগাবে আসিলেন । ষািঠ পরিচ্ছেদ ঃ হৃষীকেশ মণোলিনীর সঙ্গে সঙ্গে তাঁহার শয়নাগাবে আসিয়া হৃষীকেশ কহিলেন, “ মািণালিনি! তোমার এ কি চরিত্র ?” ম। আমার কি চরিত্র ? হৃ। তুমি কার মেয়ে, কি চরিত্র, কিছই জানি না, গবের অনবোধে আমি তোমাকে গহে। স্থান দিয়াছি। তুমি আমার মেয়ে মণিমালিনীর সঙ্গে এক বিছানায় শোও—তোমার কুলাটাবাত্তি কেন ? ম। আমার কুলটা বত্তি যে বলে সে মিথ্যাবাদী। ROR