পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७िकाbन्छ 56ाथाश्न ছিলেন। এখন যাহারা বঙ্গ সাহিত্যের সারথ্য স্বীকার করিতে চান তাঁহারা দিনে নিশীথে বঙ্গদেশকে অত্যুক্তিপণ স্তুতিবাক্যে নিয়ত প্রসন্ন রাখিতে চেন্টা করেন, কিন্তু বঙ্কিমের বাণী কেবল স্তুতিবাহিনী ছিল না, খড়গধারিণীও ছিল।” (ঐ, পঃ ১০) এইরপে সৰ্ব্ব বিষয়ই বণ্ডিকমের লেখনীসােপশে সমস্তজবল হইয়া উঠিল। “বঙ্গদর্শন’ ব্যতীত অক্ষয়চন্দ্র সরকারের ‘সাধারণীতে তিনি জাতীয়তামলেক প্রবন্ধাদি লিখিয়াছিলেন। 雷 বঙ্কিমচন্দ্রের সবদেশপ্রেম বা দেশ-ভক্তি ‘কমলাকান্তের দপতরে” কমলাকান্তের মখ দিয়া প্রথম প্রকাশ লাভ করে। সবিখ্যাত জাতীয় সঙ্গীত “বন্দে মাতরম ও বঙ্কিমচন্দ্ৰ বঙ্গদর্শন সম্পাদনা কলে ১৮৭৫ সন নাগাদ রচনা করেন। বহ বৎসর পরে উহা ‘আনন্দমঠে” সন্নিবিষ্ট হয়। বঙ্কিমচন্দ্রের মন তখনই সর্বদেশপ্রেমে কানায় কানায় ভরিয়া উঠিয়াছিল। সাহিত্য-সেবা, তৃতীয় পৰ্ব্ব : বঙ্কিমচন্দ্র ১৮৭৬ সনে চতুৰ্থ বৰ্ষ সমাপিতৃর পরই ‘বঙ্গদর্শন তুলিয়া দিতে বাধ্য হইলেন। যাহাকে কেন্দ্ৰ করিয়া তাঁহার সাহিত্য-প্রতিভা। ফলে ফলে সশোভিত ও সষমামন্ডিত হইয়াছিল। তাহা উঠিয়া গেলেও, তাঁহার রচনাবলী শীঘ্রই পতাকাকারে প্রকাশিত করিয়া সে সমাদয়কে স্থায়িত্ব দান করিলেন। বৎসর পরে অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্রের সম্পাদনায় ইহা পনরায় প্রকাশিত হইল। বঙ্কিমচন্দ্র র দ্বারা ইহার সঙ্গে সম্পণে সহযোগিতা করিতে লাগিলেন। এই পর্বের উপন্যাসাবলু বঙ্কিমচন্দ্রের পরিপক্ক লেখনুীপ্রস্ত হইলেও বিশেষ উদ্দৃেশ্য লইয়াই রচিত হয়। স্বদেশবাস মনে স্বদেশপ্রেম বা দেশভক্তি উদ্রেক করাইবার জন্য রাজসিংহ (১৮৮২ সনে এবং বড় আকা ১৮৯৩ সনে), আনন্দমঠ (১৮৮২), দেবী চৌধরাণী (১৮৮৪) এবং সীতারাম )واباد প্রকাশিত করিলেন। অস্টম দশকের প্রথম হইতে বঙ্কিমচন্দ্রের দটি আর এক দিকে সন্নিবদ্ধ হইল। বঙ্কিমচন্দ্ৰ যৌবনাবধি কোন বিশেষ ধমৰ্শমতে আবদ্ধ না থাকিয়া নিজেকে কোঁৎপন্থী বা ‘পজিটিভিস্ট” বলিয়া গণ্য করিতেন। এই মতের ভিত্তি হইল-যাহাতে অধিকসংখ্যক লোকের হিত হয় তাহা সাধন । গত শতাব্দীর সপ্তম দশক পৰ্য্যন্ত তাঁহার রচনার মধ্যে এই ভাব সপরিস্ফাট। ইহা হইতে চৰ্য্যায়ু তিনি নিজেকে অভ্যস্ত করুন। স্বদেশবাসীদের এই চৰ্য্যায় উদ্বদ্ধ কুরুতেও তিথি । প্রয়াসী হন। তাহারু জীবিতকালে তিনি মনুখ্যতঃ প্রসিদ্ধ ঔপন্যাসিক বলিয়াই পরিচিত ছিলো, পরবত্তী সময়ে তিনি জাতীয়তা মন্ত্রের উদ্গাতা ঋষি বঙ্কিম রাপেই আখ্যাত হইয়াছে।" মনীষী বিপিনচন্দ্রও এই মৰ্ম্মেম বলিয়াছেন যে, তাঁহার যৌবনে বঙ্কিম-সাহিত্যের లై দিকে তাঁহাদের দস্পিট তেমন করিয়া পড়িবার অবকাশ পায় নাই; তাঁহার উপন্যাসের নব নব সন্টিই তাঁহাদিগকে মোহিত করিয়া রাখিয়াছিল। এই দেশ-ভক্তির চৰ্য্যা হইতেই বঙ্কিমচন্দ্রের দস্পিট ভারতবাসীর জাতীয় জীবনের ভিত্তিম লে গিয়া পতিত হইল। আর ইহা লইয়া সর্বতন্ত্র ধরনের অপব্ব সাহিত্য-সন্টি। একটি বিশেষ সত্ৰ ধরিয়া এই শ্রেণীর সাহিত্য-রচনায় বঙি ক্ৰমে অগ্রসর হইলেন। ১৮৮২ সনের শেষান্ধে শোভাবাজার-রাজবাটীর একটি শ্রাদ্ধান্যস্তানী লইয়া জেনারেল এসেমব্লির (অধনা স্কটিশ চাৰ্চ কলেজ) অধ্যক্ষ পাদরি হেস্টি হিন্দধম্মের উপর আক্ৰমণ করেন। তখন বঙ্কিমচন্দ্র রামচন্দ্র’ এই ছদ্ম নামে তাহার জবাব দিতে প্রয়াস পান। পদার সােপন্ডিত কৃষ্ণমোহন বৃন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিতর্কে যোগ দিয়াছিলেন। পাদরি হেল্টি এবং কৃষ্ণমোহনের জন্মদিলে, গিয়া হিন্দধমের মালতত্ত্ব সম্পকে বঙ্কিমচন্দ্রের মনে কতকগালি প্রশন জাগে। প্রসিদ্ধ দার্শনিক কোঁৎ-মতাবলম্বী যোগেশচন্দ্র ঘোষকে লিখিত বণ্ডিকমের Lettery 0 Handalism ইহারই ফল। এই পত্রগলিতে হিন্দধমের মালতত্ত্ব ব্যাখ্যার প্রয়াস আছে, ইহার বহ বৎসর পকেবই বঙ্কিমচন্দ্র অক্ষয়চন্দ্র সরকার সম্পাদিত “প্রাচীন কাব্য-সংগ্রহের সমালোচনাকালে কৃষ্ণলীলাবিষয়ক কাব্যকে যাঁহারা অপবিত্র, অরচিকর ও অশলীল বিবেচনা করেন তাঁহাদের উদ্দেশ্যে লিখিয়াছিলেন যে, “যাঁহারা এইরপ বিবেচনা করেন। তাঁহারা নিতান্ত অসারগ্রাহী। যদি কৃষ্ণলীলার এই ব্যাখ্যা হইত, তবে ভারতবষে কৃষ্ণভক্তি এবং কৃষ্ণগীতি কখন এতদিন সন্থায়ী হইত না।”