পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वर्ग७दक ब्रष्नाबव्ी ন, ভুরি ভুরি খড়গী, ধানকী, শালিসমহাসমারোহে আচ্ছন্ন হইয়া গেল। সেনাবলহীন রাজধানীর নাগরিকেরা ভীত হইয়া গহমধ্যে প্রবেশ করিল: দাবার রন্ধ করিয়া সািভয়ে ইভাটনাম জপ করিতে লাগিল । যবনেরা রাজপথে যে দই একজন হতভাগ্য আশ্রয়হীন ব্যক্তিকে প্রাপতি হইল, তাহাদিগকে শলবিদ্ধ করিয়া রন্ধদবার ভবন সকল আক্ৰমণ করিতে লাগিল। কোথায়ও বা দবার ভগন করিয়া, কোথায়ও বা প্রাচীর উল্লঙঘন করিয়া, কোথায়ও বা শঠতাপাকবািক ভীত গহসথকে জীবনাশা দিয়া গহপ্রবেশ করিতে লাগিল। গহপ্রবেশ করিয়া, গহসেথর সববস্বাপহরণ, পশ্চাৎ সত্ৰীপরিষ, বন্ধ, বনিতা, বালক সকলেরই শিরশেছন্দ, ইহাই নিয়মপাকবািক করিতে লাগিল। কেবল যাবতীর পক্ষে দিবতীয় নিয়ম। শোণিতে গহসেথর গােহ সকল পলাবিত হইতে লাগিল। শোণিতে রাজপথ পঙিকল হইল । শোণিতে যবন সেনা রক্তচিত্রময় হইল। অপহৃত দ্ৰব্যজাতের ভারে অশেবর পাঠ এবং মনষ্যের স্কন্ধ পীড়িত হইতে লাগিল। শলাগে বিদ্ধ হইয়া ব্রাহ্মণের মন্ডে সকল ভীষণভােব ব্যক্তি করিতে লাগিল। ব্রাহ্মণের যজ্ঞোপবীত অশোবর গলদেশে দলিতে লাগিল। সিংহাসনস্থ শালগ্রামশিলাসকল যবন-পদাঘাতে গড়াইতে লাগিল। ভয়ানক শব্দে নৈশাকাশ পরিপািণ হইতে লাগিল। অশেবর পদধবনি, সৈনিকের কোলাহল, হস্তীর বংহিত, যবনের জয়শব্দ, তদ্যুপরি পীড়িতের আত্তনাদ। মাতার রোদন, শিশহর রোদন ; ব্যুদ্ধের কারণোকাঙক্ষা, যাবতীর কন্ঠবিদার। যে বীরপরিষকে মাধবাচাৰ্য্য এত যত্নে যবনািদমনাথ নবদ্বীপে লইয়া আসিয়াছিলেন, এ সময়ে তিনি কোথা ? এই ভয়ানক যবনপ্রলয়কালে, হেমচন্দ্র রণোন্মািখ নহেন। একাকী রণোন্মখ হইয়া কি করিবেন ? হেমচন্দ্র তখন আপনি গাহের শয়নমন্দিরে, শর্য্যোপরি শয়ন করিয়া ছিলেন । নগরাক্রমণের কোলাহল তাঁহার কণে প্রবেশ করিল। তিনি দিগিবজয়কে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিসের শব্দ ?” দিগিবজয় কহিল, ‘যবন সেনা নগর আক্ৰমণ করিয়াছে।” হেমচন্দ্র চমৎকৃত হইলেন। তিনি এ পয্যন্ত বখতিয়ারকত্ত্বক রাজপতিরাধিকার এবং রাজার পলায়নের বক্তান্ত শানেন নাই। দিগিবজয় তদ্বিশেষ হেমচন্দ্রকে শনাইল । হেমচন্দ্ৰ কহিলেন, “নাগরিকেরা কি করিতেছে ?” দি। যে পারিতেছে পলায়ন করিতেছে, যে না পারিতেছে সে প্রাণ হারাইতেছে । হে । আর গৌড়ীয় সেনা ? দি। কাহার জন্য যাদ্ধ করিবে ? রাজা ত পলাতক ৷ সতরাং তাহারা আপন আপন পথ দেখিতেছে। হে । আমার আশবসন্তজা কর । দিগিবজয় বিসিমত হইল, জিজ্ঞাসা করিল, “কোথায় যাইবেন ?” হে । নগরে । দি। একাকী ? হেমচন্দ্ৰ ভ্ৰকুটি করিলেন। ভ্ৰকুটি দেখিয়া দিগিবজয় ভীত হইয়া অশবসাগুজা করিতে গেল। হেমচন্দ্র তখনু মহামদুল্য রণসজায় সক্তিজত হইয়া সন্দূর অশবপক্ষেষ্ঠ আরোহণ কবিলেন। এবং ভীষণ শলহস্তে নিঝরিণী:প্রেবিত জলবিম্ববৎ সেই অসীম, যবন-সেনা-সমাদ্রে ঝাঁপ দিলেন। হেমচন্দ্ৰ দেখিলেন, যবন সেনা যাদ্ধ করিতেছে না, কেবল অপহরণ করিতেছে। যাদ্ধজন্য কেহই তাহাদিগের সম্মমখীন হয় নাই, সতরাং যন্ধে তাহাদিগেরও মন ছিল না। যাহাদিগের অপহরণ করিতেছিল, তাহাদিগকেই অপহরণকালে বিনা যন্ধে মারিতেছিল। সতরাং যবনেরা দলবদ্ধ হইয়া হেমচন্দ্রকে নস্ট করিবার কোন উদ্যোগ করিল না। যে কোন যবন তৎকর্তৃক আক্ৰান্ত হইয়া তাঁহার সহিত এক যন্ধোদ্যম করিল, সে তৎক্ষণাৎ মরিল। হেমচন্দ্র বিরক্ত হইলেন। তিনি যন্ধোকাঙক্ষায় আসিয়াছিলেন, কিন্তু যবনেরা পকেবই <97&GV9 ছ, অর্থসংগ্রহ ত্যাগ করিয়া তাঁহার সহিত রীতিমত যাদ্ধ করিল না। তিনি মনে মনে ভাবিলেন, “একটি একটি করিয়া গাছের পাতা ছিড়িয়া কে অরণ্যকে নিম্ৰপত্ৰ করিতে SR8 V