পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী তিনি গ্রহণ করিলেন। হলাহল-কলস পরিপািণ হইল—হৃদয়ের শেষ তন্ত্রী ছিড়িল। তিনি কিয়ৎক্ষণ বিসফারিত নয়নে দহ্যমান অট্টালিকাপ্রতি চাহিয়া রহিলেন—মরণোন্মািখ পতঙগবৎ অলপক্ষণ বিকলশরীরে একসথানে অবস্থিতি করিলেন—শেষে মহাবেগে সেই অনলতরঙগমধ্যে ঝাঁপ দিলেন। সঙ্গের প্রহরী চমকিত হইয়া রহিল। মহাবেগে পশপতি জবলন্ত দ্বারপথে পারমধ্যে প্রবেশ করিলেন। চরণ দগধ হইল—অঙ্গ দগধ হইল—কিন্তু পাশপতি ফিরিলেন না। অগিনকুণড অতিক্ৰম করিয়া আপন শয়নকক্ষে গমন করিলেন– কাহাকেও দেখিলেন না। দগধশরীরে কক্ষে কক্ষে ছটিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। তাহার ধ্যে যে দর্যন্ত অগিন জন ি তে তিনি বাহ্য ত্রণা অনভূত করিতে পারলেন না। ক্ষণে ক্ষণে গাহের নািতন খন্ডসকল অগিনকৰ্ত্তক আক্লান্ত হইতেছিল। আক্ৰান্ত প্রকোণঠ বিষম শিখা আকাশপথে উত্থাপিত করিয়া ভয়ঙকর গজািন করিতেছিল। ক্ষণে ক্ষণে দগধ গহাংশসকল অশনিসক্ষপাতশব্দে ভূতলে পড়িয়া যাইতেছিল। ধ্যমে, ধালিতে, তৎসঙ্গে লক্ষ লক্ষ অগিনসাফলিঙ্গে আকাশ আদশ্য হইতে লাগিল। দাবানলসংবেভিাটত আরণ্য গজের ন্যায় পাশপাতি অগিনমধ্যে ইতস্ততঃ দাসদাসী, সবজন ও মনোরমার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। কাহারও কোন চিহ্ন পাইলেন না—হতাশ হইলেন। তখন দেবীর মন্দিরপ্রতি তাঁহার দণ্ডিটপাত হইল। দেখিলেন, দেবী অস্টভূজার মন্দির অগিনকর্তৃক আক্ৰান্ত হইয়া জীবলিতেছে। পাশপাতি পতঙ্গবৎ তন্মধ্যে প্রবেশ করিলেন। দেখিলেন, অনলমন্ডলমধ্যে আদগধা সর্বণ প্ৰতিমা বিরাজ করিতেছে। পাশপতি উন্মত্তের ন্যায় কহিলেন, “মা! জগন্দমোবা! আর তোমাকে জগদম্বা বলিব না। আর তোমায় পজা কবিব না। তোমাকে প্ৰণামও করিব না। আশৈশব আমি কায়মনোবাক্যে তোমাব সেবা করিলাম — ঐ পদধ্যান ইহ জন্মে সাের করিয়াছিলাম—এখন, মা, এক দিনের পাপে সবাব সব হাবাইলাম। তবে কি জন্য তোমার পজা করিয়াছিলাম ? কেনই বা তুমি আমার পাপমতি আপনীত না করিলে ?” মন্দিরদহনে অগিন অধিকতর প্রবল হইয়া গজিয়া উঠিল। পশতুপতি তথাপি প্রতিমা সম্বোধন করিয়া বলিতে লাগিলেন, “ঐ দেখ! ধাতুমত্তি!—তুমি ধাতুমত্তি মাত্র, দেবী নহ— ঐ দেখি অগিন গজিতেছে! যে পথে আমার প্রাণাধিকা গিয়াছে—সেই পথে অগিন তোমাকেও প্রেরণ করিবে । কিন্তু আমি অগিনকে এ কীত্তি রাখিতে দিব না—আমি তোমাকে স্থাপনা BBBDDBBS SDDBBD BLBBB BBDeB BB BBBB S BBB S BDDBtBBS LLLBLBBBBBBBBS yBBmBB SDBB বিসর্জন করিব।” এই বলিয়া পশপতি প্রতিমা উত্তোলন আকাঙক্ষায় উভয় হস্তে তাহ ধাবণ করিলেন। সেই সময়ে আবার অগিন গজিয়া উঠিল। তখনই পৰ্ব্বব্যািতবিদার নিরপে প্রবল শব্দ হইল,—দগধ মন্দিব, আকাশপথে ধালিধমভস্ম সহিত অগিনস্ফলিঙ্গরাশি প্রেরণ করিয়া, চণ্য হইয়া পড়িয়া গেল। তন্মধ্যে প্রতিমা সহিত পশতুপতির সজীবন সমাধি হইল। পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ ঃ অন্তিমকালে পশপতি স্বয়ং অস্টিভুজার অচ্চনা করিতেন বটে-কিন্তু তথাপি তাঁহার নিত্যসেবার জন্য দােগাদাস নামে একজন ব্রাহ্মণ নিযক্ত ছিলেন। নগর বিপলবের পরদিবস। দােগাদাস শ্রত হইলেন যে, পশপতির গহ ভস্মীভূত হইয়া ভূমিসাৎ হইয়াছে। তখন ব্রাহ্মণ অস্টভুজাব মাত্ত ভস্ম হইতে উদ্ধার করিয়া আপন গহে স্থাপন করিবার সঙ্কল্প করিলেন। যবনেরা নগর লািঠ করিয়া তৃপিত হইলে, বখতিয়ার খিলিজি অনৰ্থক নগরবাসীদিগের পীড়ন নিষেধ করিয়া দিয়াছিলেন। সতরাং এক্ষণে সাহস করিয়া বাঙগালীরা রাজপথে বাহির হইতেছিল। ইহা দেখিয়া দ গাদাস অপরাহে অস্টভুজার উদ্ধারে পশপতির ভবনাভিমখে যাত্ৰা করিলেন। পশপতির ভবনে গমন করিয়া, যথায় দেবীর মন্দির ছিল, সেই প্রদেশে গেলেন। দেখিলেন, অনেক ইন্টকরাশি সস্থানান্তরিত না করিলে, দেবীর প্রতিমা বহিস্কৃত করিতে পারা যায় না। ইহা দেখিয়া দ গাদাস আপন পত্রকে ডাকিয়া আনিলেন। ইস্টকসকল আন্ধা-দ্রবীভূত হইয়া পরস্পর লিপিত হইয়াছিল— এবং এখন পৰ্য্যন্ত সন্তাপত ছিল। পিতাপত্রে এক দীঘিকা হইতে জল বহন RĆ U