পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वर्ग७दश झbन्नाव्नीं জেলার মধ্যে বাস করতেন। তাঁহার একমাত্র অপত্য হৈমবতী । দেবেন্দ্রের সঙেগ হৈমবতীর বিবাহ দিলেন। হৈমবতীর অনেক গণ—সে কুরপা, মািখরা, অপ্রিয়বাদিনী, আত্মপরায়ণা। যখন দেবেন্দ্রের সহিত তাহার বিবাহ হইল, তখন পয্যন্ত দেবেন্দ্রের চরিত্র নিকেলঙক। লেখাপড়ায় তাঁহার বিশেষ যত্ন ছিল, এবং প্রকৃতিও সাধনীর ও সত্যনিষ্ঠ ছিল। কিন্তু সেই পরিণয় তাঁহার কাল হইল। যখন দেবেন্দ্ৰ উপযক্ত বয়ঃপ্ৰাপত হইলেন, তখন দেখিলেন যে, ভাৰ্য্যার গণে গহে। তাঁহার কোনও সখেরই আশা নাই। বয়োগণে তাঁহার রােপতৃষ্ণা জন্মিল, কিন্তু আত্মগাহে তাহা ত নিবারণ হইল না। বয়োগণে দক্ষিপাতিপ্রণয়াকাঙক্ষা জন্মিল—কিন্তু অপ্ৰিয়বাদিনী হৈমবতীকে দেখিবা মাত্র সে আকাঙক্ষা দীর হইত। সখি দরে থাকুক—দেবেন্দ্ৰ দেখিলেন যে, হৈমবতীর রসনাবাষিত বিষের জবালায় গহে তিস্ঠানও ভার। এক দিন হৈমবতী দেবেন্দ্রকে এক কদৰ্য্য কািটবাক্য কহিল ; দেবেন্দ্র অনেক সহিয়াছিলেন--আর সহিলেন না। হৈমবতীর কেশাকর্ষণ করিয়া তাহাকে পদাঘাত করিলেন। এবং সেই দিন হইতে গািহত্যাগ করিয়া পক্ষেপাদ্যানমধ্যে তাঁহার বাসোপযোগী গােহ প্ৰস্তুতের অননুমতি দিয়া কলিকাতায় গেলেন। ইতিপকেবই দেবেন্দ্রের পিতার পরলোকগমন হইয়াছিল। সতরাং দেবেন্দ্র এক্ষণে স্বাধীন। কলিকাতায় পাপপণ্ডেক নিমগন হইয়া দেবেন্দ্র অতৃপতাবিলাসতুষ্ণা নিবারণে প্রবত্ত হইলেন। তত্তজনিত যে কিছ, সবচিত্তের অপ্ৰসাদ জন্মিত, তাহা ভুরি ভুরি সরোভিসিঞ্চনে ধৌত করিতে যত্ন করিতে লাগিলেন। পরিশেষে তাহার আর আবশ্যকতা রহিল না—পাপেই চিত্তের প্রসাদ জন্মিতে লাগিল। কিছ, কাল পরে বাবগিরিতে বিলক্ষণ সশিক্ষিত হইয়া দেবেন্দ্র দেশে ফিরিয়া আসিলেন, এবং তথায় নািতন উপবনগহে আপনি আবাস সংস্থাপন করিয়া বােব গিরিতে প্রবত্ত হইলেন। কলিকাতা হইতে দেবেন্দ্র অনেক প্রকার ঢং শিখিয়া আসিয়াছিলেন। তিনি দেবীপরে প্রত্যাগমন করিয়া রিফরমের বলিয়া আত্মপরিচয় দিলেন। প্রথমেই এক ব্রাহ্মসমাজ সংস্থাপিত করিলেন। তারাচরণ প্রভৃতি অনেক ব্রাহ্ম যদুটিল; বস্তৃতার আর সীমা রহিল না। একটা ফিমেল স্কুলের জন্যও মধ্যে মধ্যে আড়ম্বর করিতে লাগিলেন, কিন্তু কাজে বড় বেশী করিতে পারিলেন না। বিধবাবিবাহে বড় উৎসাহী। এমন কি, দই চারিটাি কাওরা তিওরের বিধবা মেয়ের বিবাহ দিয়া ফেলিয়াছিলেন, কিন্তু সে বীরকন্যার গণে। জেনানারপ কারাগারের শিকল ভাণ্ডগার বিষয়ে তারাচরণের সঙেগ তাঁহার এক মত—উভয়েই বলিতেন মেয়েদের বাহির করা। এ বিষয়ে দেবেন্দ্র বাব বিশেষ কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন–কিন্তু সে বাহির করার অর্থ বিশেষে। দেবেন্দ্র গোবিন্দ পাের হইতে প্রত্যাগমনের পর, বৈষ্ণবীবেশ ত্যাগ করিয়া নিজমত্তি ধারণপািৰবাক পাশের কামরায় আসিয়া বসিলেন। একজন ভূত্য শ্রমহারী তামাকু প্রস্তুত করিয়া আলবোলা আনিয়া সম্মখে দিল ; দেবেন্দ্র কিছ, কাল সেই সৰ্ব্ব শ্রমসিংহারিণী তামাকুদেবীর সেবা করিলেন। যে এই মহাদেবীর প্রসাদসখেভোগ না করিয়াছে, সে মনষ্যেই নহে। হে সৰ্ব্বলোকচিত্তরঞ্জিনি বিশববি তোমাতে যেন আমাদের ভৗন্ত অচলা থাকে। তোমার বাহন আলবোলা, হাক্কা, গড়গড়ি প্রভৃতি দেবকন্যারা সব্বদাই যেন আমাদের নয়নপথে বিরাজ করেন, দল্টিমাত্রেই মোক্ষলাভ করিব। হে হ'ক্কে! হে আলবোলে! হে কুন্ডলাকৃতধামরাশিসমদগারিণি! হে ফণিনীনিন্দিতদীঘনিলসংসপিণ! হে রাজত কিরীটিমনিডতশিরোদেশসংশোভিনি ! কিবা তোমার কিরীটবিস্রস্ত ঝালর ঝলমলায়মান! কিবা শঙখলাঙগরীয় - সমভূষিতবণ্ডকাগ্রভাগ মাখনলের শোভা। কিবা তোমার গভস্থ শীতলামাব রাশির গভীর নিনাদ ! হে বিশবরমে! তুমি বিশদ্বজনশ্রমহরিণী, অলসজনপ্রতিপালিনী, ভাৰ্য্যাভৎসিতজনচিও বিকারবিনাশিনী, প্রভূভীতজনসাহসম্প্রদায়িনী ! মঢ়ে তোমার মহিমা কি জানিবে ? তুমি শোকপ্ৰাপত জনকে প্রবোধ দাও, ভয়প্ৰাপত জনকে ভরসা দাও, বদ্ধিভ্রন্ট জনকে বন্ধি দাও, কোপযক্ত জনকে শানিত প্ৰদান কর। হে বরদে ! হে সৰ্ব্ববাসখপ্রদায়িনি! তুমি যেন আমার ঘরে অক্ষয় হইয়া বিরাজ করা। তোমার সিগন্ধ দিনে দিনে বাড়ক! তোমার গভস্থ জলকল্লোল মেঘগজজািনবৎ ধবনিত হইতে থাকুক ! তোমার মাখনলের সহিত আমার অধরোন্ঠের যেন তিলেক বিচ্ছেদ না হয়। ভোগাসক্ত দেবেন্দ্র যথেচ্ছ এই মহাদেবীর প্রসাদভোগ করিলেন—কিন্তু তাহাতে পরিতৃপিত জন্মিল না। পরে অন্যা মহাশক্তির অচ্চনার উদ্যোগ হইল। তখন ভৃত্যহস্তে, তৃণপটাবােতা বোতলবাহিনীর আবিভােব হইল। তখন সেই অমল শেবত সবিস্তৃত শয্যার উপরে, রজতানকৃতাসনে সান্ধ্যগগনশোভিরাক্তাক্ষবাদতুল্যবর্ণবিশিষটা দ্রবময়ী মহাদেবী, ডেকাণটার নামে আসরিক ՀԳ Ն