পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষবক্ষ দঃখিনী। দাঁড়াও—তাহা হইলে, সেই পঙ্করিণীর সবচ্ছ শীতল বারি—তাহার তলে নক্ষত্ৰচ্ছায়া —তাহার। আর মনে পড়িবে না। ঐ শািন! কালপেচা ডাকিল! তুমি সরিয়া যাইবে, আর কুন্দনন্দিনীর ভয় করিবে! দেখিলে বিদ্যুৎ ! তুমি সরিও না-কুন্দনন্দিনীর ভয় করিবে !! ঐ দেখ, আবার কালো মেঘ পবনে চাপিয়া যে যন্ধে ছটিতেছে। ঝড় বন্টি হইবে। কুন্দকে কে আশ্রয় দিবে ? দেখ, তুমি গবাক্ষ মন্ত করিয়াছ, ঝাঁকে ঝাঁকে পতংগ আসিয়া তোমার শয্যাগহে প্রবেশ করিতেছে। কুন্দ মনে করিতেছে, কি পন্যা করিলে পতঙ্গজন্ম হয়। কুন্দ! পতঙ্গ যে পড়িয়া মরে! কুন্দ তাই চায়। মনে করিতেছে, “আমি পড়িলাম—মরিলাম না কেন ?” নগেন্দ্র স্যাসী বন্ধ করিয়া সরিয়া গেলেন। নিন্দদায়! ইহাতে কি ক্ষতি ! না, তোমার রাত্রি জাগিয়া কাজ নাই—নিদ্রা যাও—শরীর অসদস্থ হইবে। কুন্দনন্দিনী মরে, মরকে। তোমার মাথা না ধরে কুন্দনন্দিনীর কামনা এই। এখন আলোকময় গবাক্ষ যেন অন্ধকার হইল। চাহিয়া, চাহিয়া, চাহিয়া, চক্ষের জল মাছিয়া, কুন্দনন্দিনী উঠিল। সম্মখে যে পথ পাইল- -সেই পথে চলিল। কোথায় চলিল ? নিশাচর পিশাচ ঝাউগাছেরা সর সরী শব্দ করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কোথায় যাও ?” তালগাছেরা তর তর শব্দ করিয়া বলিল, “কোথায় যাও ?” পেচক গম্ভীর নাদে বলিল, “কোথায় যাও ?” উত্তজবল গবাক্ষশ্রেণী বলিতে লাগিল, “যায় যাউক—আমরা আর নগেন্দ্ৰ দেখাইব না।” তব কুন্দনন্দিনী-নিকেবােধ কুন্দনন্দিনী ফিরিয়া ফিরিয়া সেই দিকে চাহিতে লাগিল। কুন্দ চলিল, চলিল--কেবল চলিল। আকাশে আরও মেঘ ছটিতে লাগিল—মেঘ সকল একত্র হইয়া আকাশেও রাত্ৰি করিল—বিদ্যুৎ হাসিল—আবার হাসিল—আবার! বায় গডিজলি, মেঘ গডিজলি-বায়তে মেঘেতে একত্র হইয়া গজিল। আকাশ আর রাত্রি একত্র হইয়া গডিজল। কুন্দা! কোথায় যাইবে ? ঝড় উঠিল। প্রথমে শব্দ, পরে ধলি উঠিল, পরে গাছের পাতা ছিড়িয়া লইয়া বায়, স্বয়ং BBDBB SS BB BBu BBu S SBB BBBS SS SDuS DS BBD BDBBBS BD BBB BBB BD বিদ্যুতের আলোকে পথিপাশে বর্ণ কুন্দ একটা সামান্য গহে দেখিল। গাহের চতুৰ্ভপাশেব মৎপ্রাচীর ; মৎপ্রাচীরের ছোট চাল। কুন্দনন্দিনী আসিয়া তাহার আশ্রয়ে, দবারের নিকট বসিল । দবারে পিঠ রাখিয়া বসিলা। দবার পিঠের সপশে শবিদ্যুত হইল। গহস্থ সজাগ, দবারের শব্দ তাহার কাণে গেল। গহস্থ মনে করিল, ঝড় ; কিন্তু তাহার দবারে একটা কুক্কর শয়ন করিয়া থাকে—সেটা উঠিয়া ডাকিতে লাগিল। গহসােথ তখন ভয় পাইল। আশঙ্কায় দাবার খালিয়া দেখিতে আইল। দেখিল, আশ্রয়হীনা সত্ৰীলোকমাত্র। জিজ্ঞাসা করিল, “কে গো তুমি ?” কুন্দ কথা কহিল না। “কে রে মাগি ?” গহসােথ ব্যগ্রভাবে বলিল, “কি ? কি ? কি ? আবার বল ত ?” কুন্দ বলিল, “বন্টির জন্য দাঁড়াইয়াছি।” গহসােথ বলিল, “ও গলা যে চিনি। বটে ? ঘরের ভিতর এস তাঁ।” গহস্থ কুন্দকে ঘরের ভিতর লইয়া গেল। আগন করিয়া আলো জবালিল। কুন্দ তখন দেখিল—হীরা। হীরা বলিল, “বঝিয়াছি, তিরস্কারে পলাইয়ােছ। ভয় নাই। আমি কাহারও সাক্ষাতে বলিব না। আমার এইখানে দই দিন থাক।” উনবিংশ পরিচ্ছেদ ঃ হীরার রাগ হীরার বাড়ী প্রাচীর অাঁটা। দাইটি ঝরঝরে মেটে ঘর। তাহাতে আলেপনা-পদ্ম অাঁকা—পাখী অাঁকা—ঠাকুর অাঁকা। উঠান নিকান—এক পাশে রাঙগা শাক, তার কাছে দোপাটি, মল্লিকা, গোলাপ ফল। বাবার বাড়ীর মালী আপনি আসিয়া চারা আনিয়া ফলগাছ পতিয়া দিয়া গিয়াছিল—হীরা চাহিলে, চাই কি বাগান শব্দ্ধই উহার বাড়ী তুলিয়া দিয়া যায়। মালীর 史为○