পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७का ब्रा5नाबव्नी ঘণা করিবে। আমি এ বিবাহ করিব। যদি পথিবীর সকলে আমাকে ত্যাগ করে, তথাপি । আমি বিবাহ করিব। নচেৎ আমি উন্মাদগ্ৰস্ত হইব-—তাহার বড় বাকীও নাই। “এ কথা বলার পর আর বোধ হয় কিছ: বলিবার আবশ্যক করে না। তোমরাও বোধ হয়। ইহার পর আমাকে নিবত্ত করিবার জন্য কোন কথা বলিবে না। যদি বল, তবে আমিও তক করিতে প্ৰস্তুত আছি। “যদি কেহ বলে যে, বিধবাবিবাহ হিন্দধৰ্ম্ম-বিরুদ্ধে, তাহাকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রবন্ধ পড়িতে দিই। যেখানে তাদশ শাস্ত্ৰবিশারদ মহামহোপাধ্যায় বলেন যে, বিধবাবিবাহ শাস্ত্রসম্মত, তখন কে ইহা অশাস্ত্র বলিবে ? আর যদি বল, শাস্ত্রসন্মত হইলেও ইহা সমাজসমত নহে, আমি এ বিবাহ করিলে সমাজচ্যুত হইব ; তাহার উত্তর, এ গোবিন্দপারে আমাকে সমাজচ্যুত করে কার সাধ্য ? যেখানে আমিই সমাজ, সেখানে আমার আবার সমাজচ্যুতি কি ? তথাপি আমি তোমাদিগের মনোরক্ষাথে এ বিবাহ গোপন রাখিব –আপাততঃ কেহ জানিবে না। “তুমি এ সকল আপত্তি করিবে না। তুমি বলিবে, দই বিবাহ নীতি-বিরদ্ধে কাজ। ভাই, কিসে জানিলে ইহা নীতি-বিরদ্ধে কাজ ? তুমি এ কথা ইংরেজের কাছে শিখিয়াছ, নচেৎ ভারতবর্ষে এ কথা ছিল না। কিন্তু ইংরেজেরা কি অভ্রান্ত ? যিহদার, বিধি আছে বলিয়া ইংরেজদিগের এ সংস্কার-কিন্তু তুমি আমি যিহদি বিধি ঈশবরবাক্য বলিয়া মানি না। তবে কি হেতুতে এক পরিষের দই বিবাহ নীতি-বিরািন্ধ বলিব ? “তুমি বলিবে, যদি এক পরিষের দাই সত্ৰী হইতে পারে, তবে এক সন্ত্রীর দাই স্বামী না হয়। কেন ? উত্তর—এক সন্ত্রীর দাই স্বামী হইলে অনেক আনিস্ট ঘটিবার সম্পভাবনা; এক পরিষের দই বিবাহে তাহার সম্পভাবনা নাই। এক সন্ত্রীর দই সবামী হইলে সন্তানের পিতুনিরাপণ হয় না। --পিতাই সন্তানের পালনকৰ্ত্ত—তাহার অনিশচয়ে সামাজিক উচ্ছঙখলতা জন্মিতে পারে। কিন্তু পরিষের দই বিবাহে সন্তানের মাতার অনিশ্চয়তা জন্মে না। ইত্যাদি। আরও অনেক কথা বলা যাইতে পারে। “যাহা অধিকাংশ লোকের অনিষটকারক, তােহাঁই নীতি-বিরদ্ধা। তুমি যদি পরিষের দই বিবাহ নীতি-বিরদ্ধে বিবেচনা কর, তবে দেখাও যে, ইহা অধিকাংশ লোকের অনিআটকর। “গহে কলহাদির কথা বলিয়া আমাকে যক্তি দিবে। আমি একটা যক্তির কথা বলিব। আমি নিঃসন্তান। আমি মরিয়া গেলে, আমার পিতৃকুলের নাম লািপত হইবে। আমি এ বিবাহ করিলে সন্তান হইবার সম্পভাবনা-— ইহা কি অযান্তি ? “শেষ আপত্তি-সৰ্য্যেমখী। স্নেহময়ী পত্নীর সপত্নীকণ্টক করি কেন ? উত্তর -সােয্যমখী এ বিবাহে দঃখিত নহেন। তিনিই বিবাহের প্রসঙ্গ উত্থাপন করিয়াছেন—তিনিই ইহাতে আমাকে প্রবত্ত করিয়াছেন—তিনিই ইহাতে উদ্যোগী। তবে আর কাহার আপত্তি ? “তবে কোন কারণে আমার এই বিবাহ-নিন্দনীয় ?” ষড়বিংশ পরিচ্ছেদ ঃ কাহার আপত্তি কমলমণি পত্ৰ পড়িয়া বলিলেন, “কোন কারণে নিন্দনীয় ? জগদীশবর জানেন। কিন্তু কি ভ্ৰম! পরিষে বঝি কিছই বঝে না। যা হৌক, মন্ত্রিবর আপনি সতজা করন। আমাদিগের গোবিন্দপরে যাইতে হইবে।” শ্ৰীশ। তুমি কি বিবাহ বন্ধ করিতে পারিবে ? কমল। না পারি, দাদার সম্মখে মরিব । শ্ৰীশ। তা পরিবে না। তবে নািতন ভাইজের নাক কাটিযা আনিতে পরিবে। চল, সেই উদ্দেশ্যে যাই । তখন উভয়ে গোবিন্দপাের যাত্রার উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। পরদিন প্রাতে তাঁহারা নৌকারোহণে গোবিন্দপাের যাত্ৰা করিলেন। যথাকালে তথায় উপস্থিত হইলেন। বাটীতে প্রবেশ করিবার পকেবই দাসীদিগের এবং পল্লীস্থ সত্ৰীলোকদিগের সহিত সাক্ষাৎ হইল, অনেকেই কমলমণিকে নৌকা হইতে লইতে আসিল। বিবাহ হইয়া গিয়াছে কি না, জানিবার জন্য তাঁহার ও তাঁহার স্বামীর নিতান্ত ব্যগ্রতা জন্মিয়াছিল, কিন্তু দাই জনের কেহই W) O V