পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७का दू5नादब्ली সারথ্য দেখিয়া সৰ্য্যেমখী নগেন্দ্রের গাড়ি হাঁকাইবার সাধ করিয়াছিলেন। পত্নীবৎসল নগেন্দ্র তখনই একখানি ক্ষদ্র যানে দাইটি ছোট ছোট বম্মমা জড়িয়া অন্তঃপরের উদ্যানমধ্যে সােয্যমখীর সারথ্যজন্য আনিলেন। উভয়ে তাহাতে আরোহণ করিলেন। সৰ্য্যেমখী বলগা ধরিলেন। অশেবরা। আপনি চলিল। দেখিয়া, সােয্যমখনী সভদ্রার মত নগেন্দ্রের দিকে মািখ ফিরাইয়া দংশিতধরে টিপি টিপি হাসিতে লাগিলেন । এই অবকাশে অশেবরা ফাটক নিকটে দেখিয়া একবারে গাড়ি লইয়া বাহির হইয়া সদর রাস্তায় গেল। তখন সত্যািমদুখী লোকলজীয় মিয়মাণা হইয়া ঘোমটা টানিতে লাগিলেন। তাঁহার দদশা দেখিয়া নগেন্দ্ৰ নিজ হস্তে বলগা ধারণ করিয়া গাড়ি অন্তঃপরে ফিরাইয়া আনিলেন। এবং উভয়ে অবতরণ করিয়া কত হাসি হাসিলেন। শয্যাগহে আসিয়া সৰ্য্যেমখনী সভদ্রার চিত্ৰকে একটি কিল দেখাইয়া বলিলেন, “তুই সৰ্ব্বনাশীই তা যত আপদের গোড়া।” নগেন্দ্র ইহা মনে করিয়া কত কাঁদিলেন। আর যন্ত্রণা সহ্য করিতে না পারিয়া গাত্ৰোখান করিয়া পদচারণ করিতে লাগিলেন। কিন্তু যে দিকে চাহেন—সেই দিকেই সােয্যমখনীর চিহ্ন। দেয়ালে চিত্রকর যে লতা লিখিয়াছিল—সােয্যমখী তাহার অন্যাকরণমানসে একটি লতা লিখিয়াছিলেন। তাহা তেমনি বিদ্যমান রহিয়াছে। এক দিন দোলে, সৰ্য্যেমখী স্বামীকে কুঙ্কুম ফেলিয়া মারিয়াছিলেন– কুণ্ডকুম নগেন্দ্রকে না লাগিয়া দেয়ালে লাগিয়াছিল। আজিও আবীরের চিহ্ন রহিয়াছে। গােহ প্রস্তুত হইলে সােয্যমখী এক সথানে সর্বহস্তে লিখিয়া রাখিয়াছিলেন— *

  • ১১১ O সক্ষবৎসরে

ठे(म्दळ স্বামীর সন্থাপনা জন্য এই মন্দির, তাঁহার দাসী সহেযািমদুখী কত্ত্বক প্ৰতিস্ঠিত হইল।” নগেন্দ্র ইহা পড়িলেন। নগেন্দ্ৰ কতবার পড়িলেন—পড়িয়া আকাঙক্ষা পরে না—চক্ষের জলে দন্ডিট পািনঃপািনঃ লোপ হইতে লাগিল—চক্ষ মাছিয়া মছিয়া পড়িতে লাগিলেন। পড়িতে পড়িতে দেখিলেন, ক্ৰমে আলোক ক্ষীণ হইয়া আসিতেছে। ফিরিয়া দেখিলেন, দীপ নিৰ্ব্ববাণোন্মােখ। তখন নগেন্দ্ৰ নিশবাস ত্যাগ করিয়া, শয্যায় শয়ন করিতে গেলেন। শয্যায় উপবেশন করিবামাত্র অকস্মাৎ প্রবলবেগে বন্ধিত হইয়া ঝটিকা ধাবিত হইল ; চারি দিকে কবাটতড়িনের শব্দ হইতে লাগিল। সেই সময়ে, শান্য তৈল দীপ প্রায় নিন্দবাণ হইল—--অলপমাত্র খাদ্যোতের ন্যায় আলো রহিল। সেই অন্ধকারতুল্য আলোতে এক অদভুত ব্যাপার তাঁহার দক্ষিটপথে আসিলা। ঝঞ্চাবাতের শব্দে চমকিত হইয়া, খাটের পাশে যে দাবার মন্ত ছিল, সেই দিকে তাঁহার দাম্পিট পড়িল। সেই মন্তদবার পথে, ক্ষীণালোকে, এক ছায়াতুল্য মাত্তি দেখিলেন। ছায়া সন্ত্রীর পিণী, কিন্তু আরও যাহা দেখিলেন, তাহাতে নগেন্দ্রের শরীর কণ্টকিত এবং হস্তপদাদি কম্পিত হইল। স্ত্রীর পিণী মাত্তি সােয্যমখনীর অবয়ববিশিষ্পটা।। নগেন্দ্র যেমন চিনিলেন যে, এ সােয্যমখীর ছায়া—আমনি পয্যাণ্ডক হইতে ভূতলে পড়িয়া ছায়াপ্রতি ধাবমান হইতে গেলেন। ছায়া আদশ্য হইল। সেই সময়ে আলো নিবিল। তখন নগেন্দ্ৰ চীৎকার করিয়া ভূতলে পড়িয়া মচ্ছিত হইলেন। পণ্ডিচত্বারিংশত্তম পরিচ্ছেদ ঃ ছায়া যখন নগেন্দ্রের চৈতন্যপ্রাপিত হইল, তখনও শয্যাগহে নিবিড়ান্ধকার । ক্ৰমে ক্ৰমে তাঁহার সংজ্ঞা পািনঃসঞ্চিত হইতে লাগিল। যখন মােচ্ছ।ার কথা সকল সমরণ হইল, তখন বিস্ময়ের উপর ○○8