পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वर्ग७ * झान्नादव्ली তৃতীয় পরিচ্ছেদ ঃ শবশঙ্কুরবাড়ী যাওয়ার সািখ এমনও কি কখনও হয় ? এত বিপদ, এত দঃখ কাহারও কখনও ঘটিয়াছে ? কোথায় প্রথম সর্বামিসন্দশনে যাইতেছিলাম—সকবাঙ্গে রত্নালঙ্কার পরিয়া, কত সাধে চুল বধিয়া, সাধের সাজা পানে অকলষিত ওঠাধর রঞ্জিত করিয়া, সগন্ধে এই কৌমারপ্রফতুল্ল দেহ আমোদিত করিয়া এই উনিশ বৎসর লইয়া, প্রথম সর্বামিসন্দর্শনে যাইতেছিলাম, কি বলিয়া এই অমল্য রত্ন তাঁহার পাদপদ্মে উপহার দিব, তাই ভাবিতে ভাবিতে যাইতেছিলাম :-)-অকস্মাৎ তাহাতে এ কি বজাঘাত! সকবৰ্ণালঙ্কার কাড়িয়া লইয়াছে ---লউক : জীণ মলিন দগন্ধ বস্ত্র পরাইয়াছে,- পরাক; বাঘ-ভালকের মখে সমপণ করিয়া গিয়াছে,--যাক ; ক্ষধাতৃষ্ণায় প্ৰাণ যাইতেছে — তা যাক -প্ৰাণ আর চাহি না, এখন গেলেই ভাল ; কিন্তু যদি প্ৰাণ না যায়. যদি বাঁচি, তবে কোথায় যাইব ? আর তা তাঁকে দেখা হইল না— বাপ-মাকেও বঝি দেখিতে পাইব না! কাঁদিলে ত কান্না ফরোয় না। তাই কাঁদিব না বলিয়া স্থির করিতেছিলাম। চক্ষর জল কিছতেই থামিতেছিল না, তব, চেন্টা করিতেছিলাম— —এমন সময়ে দরে কি একটা বিকট গজজািন হইল। " মনে করিলাম, বাঘ । মনে একট, আহাদ হইল। বাঘে খাইলে সকল জীবালা জড়ায় ৷ হাড়গোড় ভাঙ্গিয়া, রক্ত শষিয়া খাইবে, ভাবিলাম তাও সহ্য করিব : শাবীরের কম্পট বৈ তা না। মরিতে পাইব, সেই পরম সখ। অতএব কান্না বন্ধ করিয়া, একটা প্রফল্পে হইয়া, স্থিরভাবে রহিলাম, বাঘের প্রতীক্ষা করিতে লাগিলাম। পাতার যত বার ঘাস ঘাস শব্দ হয়, তত বার মনে করি, ঐ সববিদ্যুঃখহর প্রাণস্নিগধকর বাঘ আসিতেছে। কিন্তু অনেক রাত্ৰি হইল, তবও বাঘ আসিল না। হতাশ হইলাম। তখন মনে হইল—যেখানে বড় ঝোপ-জঙগল, সেইখানে সাপ থাকিতে পারে। সাপের ঘাড়ে পা দিবার আশায় সেই জঙ্গলের ভিতর প্রবেশ করিলাম, তাহার ভিতর কত বেড়াইলাম । হায়! মনযো দেখিলে সকলেই পলায়—বনমধ্যে কত সরু সরু ঝাঁট পট শবদ শানিলাম, কিন্তু সাপের ঘাড়ে তা পা পড়িল না ; আমার পায়ে অনেক কাঁটা ফাটিল, অনেক বিছটি লাগিল, কিন্তু কৈ ? সাপে ত কামড়াইল না। আবার হতাশ হইয়া ফিরিয়া আসিলাম, ক্ষধা তৃষ্ণায় ক্লান্ত হইয়াছিলাম—আর বেড়াইতে পারিলাম না। একটা পরিস্কার সােথান দেখিয়া বসিলাম । সহসা সম্মখে এক ভল্লােক উপস্থিত হইল—মনে করিলাম, ভালকের হাতেই মরিব । ভাল কটাকে তাড়া করিয়া মারিতে গেলাম। কিন্তু হায় । ভালকাটা আমায় কিছল বলিল না। সে গিয়া এক বক্ষের উপব উঠিল। বক্ষের উপর হইতে কিছর পরে ঝন করিয়া সহস্র মক্ষিকার শব্দ হইল। বঝিলাম, এই বক্ষে মৌচাক আছে, ভালকৈ জানিত ; মধ্য লটিবার লোভে আমাকে ত্যাগ করিল। রাত্ৰিতে একট, নিদ্ৰা আসিল— বসিয়া বসিয়া গাছে হেলান দিয়া আমি ঘামাইয়া °[|\72|| | চতুথ পরিচ্ছেদ ঃ এখন যাই কোথায় ? যখন আমার ঘােম ভাঙিগল, তখন কাক কোকিল ডাকিতেছে—বাঁশের পাতার ভিতর দিয়া টকরা টািকরা রৌদ্র আসিয়া পথিবীকে মণিমন্তোয় সাজাইয়াছে। আলোতে প্রথমেই দেখিলাম, আমার হাতে কিছ নাই, দস্যরা প্রকোম্পঠােলণ্ডকার সকল কাড়িয়া লইয়া বিধবা সাজাইয়াছে। বাঁ হাতে এক টকরা লোহা আছে—কিন্তু দাহিন হাতে কিছল নাই। কাঁদতে কাঁদিতে একটি লতা ছিাড়িয়া দাহিন হাতে বাঁধিলাম । তার পর চারি দিক চাহিয়া দেখিতে দেখিতে, দেখিতে পাইলাম বো, আমি যেখানে বসিয়া ছিলাম, তাহার নিকট অনেকগলি গাছের ডাল কাটা; কোন গাছ সমলে ছিন্ন, কেবল শিকড় পড়িয়া আছে। ভাবিলাম, এখানে কাঠারিয়ারা আসিয়া থাকে। তবে গ্রামে যাইবার পথ আছে। দিবার আলোক দেখিয়া আবার বাঁচিবার ইচ্ছা হইয়াছিল--আবার আশার উদয় হইয়াছিল;- উনিশ বৎসর বৈ তা বয়স নয়! সন্ধান করিতে করিতে একটা অতি অসপভট পথের রেখা দেখিতে Ꮼ8Ꮤz