পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপন্যাস-প্রসঙগ "roalis5.363' S, 17 of Giro 23 The Tuvo Rings and Radharani TCa আর একটি অন্যবাদ করেন ডি. সি. রায়। এ পস্তক প্রকাশিত হয় ১৯১৯ সনে। পাটনা হইতে কে. আর. ভাট কর্তৃক ১৮৮০ সনে ‘যািগলাঙ্গরীয়ে'র হিন্দী অন্যবাদ প্রকাশিত হইয়াছিল। চক্ষুদ্রশেখর পাকবািবত্তীর্ণ পস্তিকগলির মত চন্দ্রশেখরও ১৮৭৪ সনে ‘বঙ্গদর্শনে’ বাহির হয়। এখানি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হইয়া চৌদ্দমাসে সমপর্ণ হয় (বঙগদশন, শ্রাবণ ১২৮ o—ভাদ্র ১২৮১) । ‘চন্দ্রশেখর’ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৮৭৫ সনে। বঙিকমচন্দ্র জীবিতকালে ইহাব তিনটি সংস্করণ বাহির করেন। ১৮৮৯ খ্রীস্টাব্দে ইহার শেষ সংস্করণ মাদ্রিত হইয়াছিল। করেন । প্রায় প্রত্যেক সংস্করণেই বঙ্কিমচন্দ্র তাঁহার উপন্যাসগলির প্রচুর সংস্কার সাধন করিতেন। “বঙ্গদর্শনে’ প্রকাশিত ‘‘চন্দ্রশেখর’ প্রথম পােস্তকাকারে গ্রন্থনকালেই অনেক সংস্কার করেন। ‘চন্দ্ৰশেখর” প্রথমে বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত হইয়াছিল। কিন্তু এক্ষণে ইহার অনেকাংশ পরিবত্তিত হইয়াছে, অনেকাংশ পরিত্যাগ করা গিয়াছে, এবং কোন কোন সথান পনেকবার লিখিত হইয়াছে। “ইহাতে যে সকল ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ আছে, তাহার কোন কোন কথা সচরাচর প্রচলিত ভারতবষীয় বা বাওগালাব ইতিহাসে পাওয়া যায় না। ‘সায্যের উল মতাক্ষরীন’ নামক পারস্য গ্রন্থেব একখানি ইংরেজী অন্যবাদ আছে ; ঐতিহাসিক বিষয়ে, কোথাও কোথাও ঐ গ্রন্থের অন্যবিত্তীর্ণ হইয়াছি। ঐ গ্রন্থ অত্যন্ত দলভি, ঐ গ্রন্থ পনিমািদ্রাঙ্কনের যোগ্য।” বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ সংস্করণে সম্পাদকীয় ভূমিকায় ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্ৰীসজনীকান্ত দাস ‘চন্দ্ৰশেখরের মািল কাহিনী সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন তাহার কিয়দংশ এখানে উদ্ধত হইল : “উপন্যাসে ঐতিহাসিক ও অলৌকিক বিষয় সন্নিবেশের দিকে বণ্ডিকমচন্দ্রের সর্বাভাবিক প্রবণতা ছিল; ‘বিষবক্ষ’ এবং ‘ইন্দিরা” লিখিয়া তাঁহার রোমান্সপ্রবণ মন যেন একট, হাঁপাইয়া উঠিয়াছিল। তাহা ছাড়া বাঙালীর বীবত্ব ও মহত্ত্ব প্রদর্শনের বাসনা বরাবরই তাঁহার মনে জাগরকে ছিল। কিন্তু নিজের পারিপাশির্বক সমাজ-জীবনের মধ্যে তাঁহার বিশেষ সাফাত্তি তিনি দেখিতে পান নাই। সতরাং তিনি আবার অতীতের দিকে দম্পিট ফিরাইয়াছিলেন। ইতিহাসেব আশ্রয় তাঁহার বিশেষ প্রয়োজন ছিল না; রামানন্দ স্বামী, চন্দ্ৰশেখর, প্রতাপ এবং রামচরণ তাঁহারই মানসপত্র; ইতিহাসের পটভূমিকায় তাহাদিগকে সজীবতা দিবার জন্যই বণ্ডিকমচন্দ্র মীর কাসিমের সহিত ইংরেজের সংঘর্ষ-কাহিনীকে অবলম্বন করিয়াছিলেন। এখানে রোমান্স-রচনায় যে অবকাশ তিনি পাইলেন, নিতান্ত সামাজিক পটভূমিকায় প্রতাপ-শৈবলিনীকে লইয়া তিনি ততখানি অগ্রসর হইতে পারিতেন না। আধ্যাত্মিক যোগবলের প্রতি বণ্ডিকমচন্দ্রের যে বিশ্ববাস ছিল, ‘চন্দ্রশেখরো? আমরা সবাবপ্রথম তাহার পরিচয় পাই। তাঁহার সম্পট উপন্যাস-জগতে সব্বপ্রথম আদশ-চরিত্র হিসাবে তিনি প্রতাপের অবতারণা করিয়াছেন।” (Jo, loن 3.۶I) বঙ্কিমচন্দ্ৰ বলিয়াছেন, “প্ৰতাপ বরাবর ঐশবষ্যশালী, তথাপি ইন্দ্ৰিয়জয়ী.” (বঙ্কিমপ্রসঙ্গ, পঃ ১৯৫)। বহ, সন্ধী সমালোচক এ উপন্যাসখানির এই দিক লইয়া আলোচনা করিয়াছেন। চন্দ্ৰশেখরের দাইটি ইংরেজী অন্যবাদ যথাক্ৰমে ১৯০৪ ও ১৯০৫ সনে প্রকাশিত হয়। তামিল ভাষায়ও দাইটি অন্যবাদ গ্রন্থ আছে। তেলােগ ভাষায় চন্দ্ৰশেখরের অন্যবাদ প্রকাশিত হয়। ১৯১০ সনে । রাধারাণী “রাধারাণী’ও প্রথম “বঙ্গদর্শনে’ (কাত্তিক-অগ্রহায়ণ সংখ্যা, ১২৮২) বাহির হয়। ১৮৭৭ ও ১৮৮১ সনে এখনি সন্নিবিদ্ট করা হয়, ‘উপন্যাস-অর্থাৎ ক্ষদ্র ক্ষদ্র উপন্যাস সংগ্ৰহ Ꮼ Ꮤ2