পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वर्ग७क झन्नाव्नीं হকিমের নিকট হইতে আমাকে এমত ঔষধ আনিয়া দাও, যেন আমার নিদ্রা আসে—সে নিদ্রা আর না ভাঙ্গে। মতুল্য এই অলঙ্কার বিক্রয় করিয়া দিও। বাকি যাহা থাকে, তুমি লইও।” করিমন, দলনীর আশ্রপািণ চক্ষ দেখিয়া বঝিল। প্রথমে সে সম্মত হইল না—দলনী পািনঃ পািনঃ উত্তেজনা করিতে লাগিলেন। শেষে মােখ লব্ধ সত্ৰীলোক, অধিক অর্থের লোভে, স্বীকৃত হইল। হাকিম ঔষধ দিল। মহম্মদ তকির নিকট হরকরা আসিয়া গোপনে সম্পবাদ দিল,—“করিমন বাঁদি আজ এই মাত্ৰ হমিক মেরাজা হাবীবের নিকট হইতে বিষ ব্রুয়া করিয়া আনিয়াছে।” মহম্মদ তাঁক করিমনকে ধরিলেন। করিমন স্বীকার করিল। বলিল, “বিষ দলনী বেগমকে יין פwsIT মহম্মদ তাকি শনিয়াই দলনীর নিকট আসিলেন। দেখিলেন, দলনী আসনে উদ্ধৰ্বমখে, উদ্ধর্বদন্টিতে, যক্তিকরে বসিয়া আছে—বিস্ফারিত পদ্মপলাশ চক্ষ হইতে জলধারার পর জলধারা গণন্ড বহিয়া বস্ত্ৰে আসিয়া পড়িতেছে—সম্মখে শান্য পাত্ৰ পড়িয়া আছে—দলনী বিষপান করিয়াছে। মহম্মদ তাঁকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ কিসের পাত্ৰ পড়িয়া আছে ?” দলনী বলিলেন, “ও বিষ। আমি তোমার মত নিমকহারাম নাহিল—প্রভুর আজ্ঞা পালন করিয়া থাকি। তোমার উচিত—অবশিস্ট পান করিয়া আমার সঙেগ আইস।” মহম্মদ তাঁক নিঃশব্দে দাঁড়াইয়া রহিল। দলনী ধীরে, ধীরে, শয়ন করিল। চক্ষ বাজিল। সব অন্ধকার হইল। দলনী চলিয়া গেল । डूडीश ब्रिहष्म 8 नवाजे़ ७ बज्ञा মীরকাসেমের সেনা কাটোয়ার রণক্ষেত্রে পরাভূত হইয়া হঠিয়া আসিয়াছিল। ভাঙ্গা কপাল গিরিয়ার ক্ষেত্রে আবার ভাঙি গলা —আবার যবন সেনা, ইংরেজের বাহবিলে, বায়ার নিকট ধালিরাশির ন্যায় তাড়িত হইয়া ছিন্নভিন্ন হইয়া গেল। ধবংসাবশিশুটি সৈন্যগণ আসিয়া উদয়নালায় আশ্রয় ညှိန့် করিল। তথায় চতুঃপাশেবা খাদ প্রস্তুত করিয়া যবনেরা ইংরেজ সৈন্যের গতিরোধ S(..VSD মীরকাসেম সািবয়ং তথায় উপস্থিত হইলেন। তিনি আসিলে, সৈয়দ আমির হোসেন একদা জানাইল যে, একজন বন্দী তাঁহার দশ নাথ বিশেষ কাতর। তাহার কোন বিশেষ নিবেদন আছে ——হজারে নহিলে তােহা প্রকাশ করিবে না। মীরকাসেম জিজ্ঞাসা করিলেন, “সে কে ?” আমীর হোসেন বলিলেন, “একজন সত্ৰীলোক-কলিকাতা হইতে আসিয়াছে। ওয়ারন হেস্টিং সাহেব পত্র লিখিয়া তাহাকে পাঠাইয়া দিয়াছেন। সে বাস্তবিক বন্দী নহে। যদুদ্ধের পকেবাের পত্র বলিয়া অধীন তাহা গ্রহণ করিয়াছে। অপরাধ হইয়া থাকে, গোলাম হাজির আছে।” এই বলিয়া আমীর হোসেন পত্ৰ পড়িয়া নবাবকে শনাইলেন। ওয়ারেন, হেস্টিংস লিখিয়াছিলেন, “এ সত্ৰীলোক কে, তাহা আমি চিনি না, সে নিতান্ত কাতর হইয়া আমার নিকটে আসিয়া মিনতি করিল যে, কলিকাতায় সে নিঃসহায়, আমি যদি দয়া করিয়া নবাবের নিকট পাঠাইয়া দিই, তবে সে রক্ষা পায়। আপনাদিগের সঙেগ আমাদিগের যন্ধ উপস্থিত হইতেছে, কিন্তু আমাদের জাতি সত্ৰীলোকের সঙ্গে বিবাদ করে না। এজন্য ইহাকে আপনার নিকট পাঠাইলাম। ভাল মন্দ কিছ জানি না।” নবাব পত্র শনিয়া, সত্ৰীলোককে সম্মখে আনিতে অনমতি দিলেন। সৈয়দ আমীর হোসেন বাহিরে গিয়া ঐ সত্ৰীলোককে সঙ্গে করিয়া আনিলেন-নবাব দেখিলেন—কুল সম । নবাব রন্ট হইয়া তাহাকে বলিলেন, “তুই কি চাহিস বাঁদী—মারিবি— ?” м কুলসম নবাবের প্রতি স্থির দাম্পিট করিয়া কহিল, “নবাব! তোমার বেগম কোথায়! দলনী বিবি কোথায়!”। আমীর হোসেন কুলসমের বাক্যপ্রণালী দেখিয়া ভীত হইল এবং নবাবকে অভিবাদন করিয়া সরিয়া গেল। মীরকাসেম বলিলেন, “যেখানে সেই পাপিঠা, তুমিও সেইখানে শীঘ্ৰ যাইবে।” 8Ꮼ Ꮪ8