পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७का झष्नाबब्ी তাহারা আবার আসিয়া অবশিস্ট মাংস খায়। তোমার ও তােক খাঁর প্রতি সেই মাতুর বিধান করিলাম । বন্ধনযন্তে তকি খাঁ আত্ত পােশর ন্যায় বিকট চীৎকার করিয়া উঠিল। ফন্টর জানা পাতিয়া ভূমে বসিয়া, যক্ত করে, উদ্ধবনিয়নে জগদীশবরকে ডাকিতে লাগিল—মনে মনে বলিতে লাগিল, “আমি কখন তোমাকে ডাকি নাই, কখন তোমাকে ভাবি নাই, চিরকাল পাপাই করিয়াছি! তুমি যে আছ, তাহা কখন মনে পড়ে নাই। কিন্তু আজি আমি নিঃসহায় বলিয়া, তোমাকৈ ডাকিতেছি। --হে নিরপোয়ের উপায়- -অগতির গতি!! আমায় রক্ষা কর।” কেহ বিসিমত হইও না। যে ঈশবরকে না মানে, সেও বিপদে পড়িলে তাঁহাকে ডাকেভক্তিভাবে ডাকে। ফলটিরও ডাকিল । নয়ন বিনত করিতে ফন্টরের দস্টি তাম্বর বাহিরে পড়িল । সহসা দেখিল, এক জটাজটধারী, রক্তবস্ত্ৰপরিহিত, শেবতশমশ্র বিভূষিত, বিভূতিরঞ্জিত পরিষ, দাঁড়াইয়া তাহার প্রতি দটি করিতেছেন। ফন্টের সেই চক্ষ প্রতি সিথরদস্টিতে চাহিয়া রহিল—ক্ৰমে তাহার চিত্ত দন্টির বশীভুত হইল। ক্লমে চক্ষ বিনত করিল—যেন দারণ নিদ্রায় তাহার শরীর অবশ্য হইয়া আসিতে লাগিল। বোধ হইতে লাগিল, যেন সেই জটাজটধারী পরিষের ওপেঠাধর বিচলিত হইতেছে—যেন তিনি কি বলিতেছেন। ক্লমে সজল জলদগম্ভীর কণঠধৰ্বনি যেন তাহার কণে প্ৰবেশ করিল। ফন্টর শানিল যেন কেহ বলিতেছে, “আমি তোকে কুক্কারের দন্ড হইতে উদ্ধার করিব। আমার কথার উত্তর দে। তুই কি শৈবলিনীর জার ঃ “ ফন্টের একবার সেই ধালিধাসরি তা উন্মাদিনী-প্রতি দণ্টি করিল—বলিল, “না।” সকলেই শানিল, “না। আমি শৈবলিনীর জার নাহি ।” সেই বজ্ৰগম্ভীর শব্দে পােনকবার প্রশন হইল। নবাব প্রশন করিলেন, কি চন্দ্রশেখর, কি কে করিল, ফন্টের তাহা বঝিতে পারিল না— কেবল শানিল যে, গম্ভীর সবরে প্রশন হইল যে, “তবে শৈবলিনী তোমার নৌকায় ছিল কেন ?” ফশুটব উচ্চৈঃস্বাবে বলিতে লাগিল, “আমি শৈবলিনীর রূপে মগধ হইয়া তাহাকে গহ হইতে হরণ করিয়াছিলাম। আমার নৌকায় রাখিয়াছিলাম। মনে করিয়াছিলাম যে, সে আমার প্রতি আসক্ত। কিন্তু দেখিলাম যে, তাহা নহে; সে আমার শত্র। নৌকায় প্রথম সাক্ষাতেই সে ছরিকা নিগত করিয়া আমাকে বলিল, “তুমি যদি আমার কামরায় আসিবে, তবে এই ছরিতে দনুজনেই মরিব । আমি তোমার মাতৃতুল্য । আমি তাহার নিকট যাইতে পার নাই। কখন তাহাকে সপশ করি নাই।” সকলে এ কথা শানিল । চন্দ্ৰশেখর জিজ্ঞাসা করিলেন, “এই শৈবলিনীকে তুমি কি প্রকারে স্পেলচ্ছের অন্ন খাওয়াইলে ?” ফন্টের কুন্ঠিত হইয়া বলিল, “একদিনও আমার আল্লা বা আমার সপক্ৰেট অন্ন সে খায় নাই। সে নিজে রাধিত ?” প্রশন। কি রাধিত ? ফন্টের । কেবল চাউল-- আয়ের সঙ্গে দগধ ভিন্ন আর কিছ খাইত না। প্রশন। জল । ফ। গঙ্গা হইতে আপনি তুলিত । এমত সময়ে সহসা- -শবদ হইল, “ধর মত ধরম ধর্ম বােম!” নবাব বললেন, “ও কি ও ’ ” ইরফান ক| ৩রস্বরে বলিল, “আর কি ? ইংরেজের কামান । তাহারা শিবির আক্ৰমণ করিয়াছে।” সহসা তাম্ব হইতে লোক ঠেলিয়া বাহির হইতে লাগিল। ‘দাঁড়াম দাঁড়ািম দম।” আবার কামান গজিতে লাগিল। আবার! বহতর কামান একত্রে শব্দ করিতে লাগিল।—ভীম নাদ লফে লফে নিকটে আসিতে লাগিল—রণবাদ্য বাজিল-চারি দিক হইতে তুমলে কোলাহল উথিত হইল—অশেবর পদাঘাত, অস্ত্রের ঝঞ্চনা-সৈনিকের জয়ধবনি, সমদ্রতরঙ্গবৎ গজিয়া উঠিল—ধামরাশিতে গগন প্রচ্ছন্ন হইলে—দিগন্ত ব্যাপিত হইল। সষপিতকালে যেন জলোচ্ছাবাসে উছলিয়া, ক্ষব্ধ সাগর আসিয়া বেড়িল । ܓ dܘ 8