পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७कभ ब्रा5नाबव्नी এইরপে সে ব্যক্তি রাধারাণীকে লইয়া চলিল। অন্ধকারে সে রাধারাণীর বয়স অনমান করিতে পারে নাই, কিন্তু কথার স্বরে বঝিয়াছিল যে, রাধারাণী বড় বালিকা। এখন রাধারাণী তাহার হােত ধরায় হসন্তসােপশে জানিল, রাধারাণী বড় বালিকা। তখন সে জিজ্ঞাসা করিল যে, রাধা । দশ এগাের বছর“তোমার নাম কি ?” রাধা। রাধারাণী । “হাঁ রাধারাণি! তুমি ছেলেমানষে, একেলা রথ দেখিতে গিয়াছিলে কেন ?” তখন সে কথায় কথায়, মিস্ট মিন্ট কথাগালি বলিয়া, সেই এক পয়সার বনফলের মালার সকল কথাই বাহির করিয়া লইল। শনিল যে, মাতার পথ্যের জন্য বালিকা এই মালা গাঁথিয়া রথহ্যাটে বেচিতে গিয়াছিল—রথ দেখিতে যায় নাই—সে মালাও বিক্রয় হয় নাই—এক্ষণেও বালিকার হৃদয়মধ্যে লক্কায়িত আছে। তখন সে বলিল, “আমি একছড়া মালা খজিতেছিলাম। আমাদের বাড়ীতে ঠাকুর আছেন, তাঁহাকে পরাইব । রথের হাট শীঘ্ৰ ভাঙিগয়া গেল—আমি তাই মালা কিনিতে পারি নাই। তুমি মালা বেচ ত আমি কিনি।” রাধারাণীর আনন্দ হইল, কিন্তু মনে ভাবিল যে, আমাকে যে এত যত্ন করিয়া হাত ধরিয়া, এ অন্ধকারে বাড়ী লইয়া যাইতেছে, তাহার কাছে দাম লইব কি প্রকারে ? তা নাহিলে, আমার মা খেতে পাবে না। তা নিই। এই ভাবিয়া রাধারাণী, মালা সমভিব্যাহারীকে দিল। সমভিব্যাহারী বলিল, “ইহার দাম চারি পয়সা—এই লও।” সমভিব্যাহারী এই বলিয়া মাল্য দিল। রাধারাণী বলিল, “এ কি পয়সা ? এ যে বড় বড় ঠেকচে।” “ডবল পয়সা—দেখিতেছি না। দইটা বই দিই নাই।“ রাধা। তা এ যে অন্ধকারেও চকচক করাচে। তুমি ভুলে টাকা দাও নাই ত ? “না। নতন কলের পয়সা, তাই চকচক করাচে।” রাধা। তা, আচ্ছা, ঘরে গিয়ে প্রদীপ জেবুলে যদি দেখি যে, পয়সা নয়, তখন ফিরাইয়া দিব। তোমাকে সেখানে একটা দাঁড়াইতে হইবে। কিছর পরে তাহারা রাধারাণীর মারা কুটনীরদবারে আসিয়া উপস্থিত হইল। সেখানে গিয়া, রাধারাণী বলিল, “তুমি ঘরে আসিয়া দাঁড়াও, আমরা আলো জবালিয়া দেখি, টাকা কি পয়সা।” সঙ্গী বলিল, “আমি বাহিরে দাঁড়াইয়া আছি। তুমি আগে ভিজা কাপড় ছাড়া—তার পর প্ৰদীপ জবালিও।” রাধারাণী বলিল, “আমার আর কাপড় নাই—একখানি ছিল, তাহা কাচিতে দিয়াছি। তা, আমি ভিজা কাপড়ে সব্বদা থাকি, আমার ব্যামো হয় না। অচিলাটা নিঙড়ে পরিব এখন। তুমি प्राँऎाॐ, ज्ञाशि ज्ञा6ळ्ना ऊाळिन ।।”

  • আচ্ছা।” ঘরে তৈল ছিল না, সতরাং খড় পাড়িয়া চকমকি ঠকিয়া, আগন জবালিতে হইল। আগন জবালিতে কাজে কাজেই একটা বিলম্ব হইল। আলো জবালিয়া রাধারাণী দেখিল, টাকা বটে, পয়সা নহে ।

তখন রাধারণী বাহিরে আসিয়া আলো ধরিয়া তল্লাস করিয়া দেখিল যে, যে টাকা দিয়াছে, সে নাই—চলিয়া গিয়াছে। রাধারাণী তখন বিষন্নবদনে সকল কথা তাহার মাকে বলিয়া, মািখপানে চাহিয়া রহিল— সকাতরে বলিল—“মা! এখন কি হবে ?” মা বলিল, “কি হবে বাছা! সে কি আর না জেনে টাকা দিয়েছে ? সে দাতা, আমাদের দঃখ শনিয়া দান করিয়াছে—আমরাও ভিখারী হইয়াছি, দান গ্রহণ করিয়া খরচ করি।” তাহারা এইরপ কথাবাৰ্ত্তা কহিতেছিল, এমত সময়ে কে আসিয়া তাহদের কুটীরের আগড় ঠেলিয়া বড় সোরগোল উপস্থিত করিল। রাধারাণী দাবার খালিয়া দিল—মনে করিয়াছিল যে, সেই তিনিই বঝি আবার ফিরিয়া আসিয়াছেন। পোড়া কপাল! তিনি কেন ? পোড়ারমাখো কাপড়ে মিনসে ! SG