পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७दकश ज्ञष्नाबव्ी এই প্রার্থনা করিলেন যে, এই অর্থে তাঁহার নিজ গ্রামে একটি অনাথিনিবাস সন্থাপিত হউক । তাহার নাম হউক—“রক্ষ্মিণীকুমারের প্রাসাদ।” গবর্ণমেণ্টের কৰ্ম্মচারিগণ প্রস্থাবিত নাম শানিয়া কিছ, বিস্মিত হইলেন, কিন্তু তাহাতে কে কথা কহিবে ? অনাথিনিবাস সংস্থাপিত হইল। রাধারণীর মাতা দরিদ্রাবস্থায় 5TI ত্যাগ করিয়া শ্ৰীীরামপারে কুটনীর নিম্পমাণ করাইয়াছিলেন ; কেন না, যে গ্রামে যে ধনী ছিল, সে সহসা দরিদ্র হইলে, সে গ্রামে তাহার বাস করা কািন্টকর হয়। তাঁহাদিগের নিজ গ্রাম শ্ৰীীরামপাের হইতে কিঞ্চিৎ দর–আমরা সে গ্রামকে রাজপর বলিব। এক্ষণে রাধারাণী রাজপরেই বাস করিতেন। অনাথ ও রাধারাণীর বাড়ীর সম্মখে, রাজপরে সংস্থাপিত হইল। নানা দেশ হইতে দীন দঃখী অনাথ আসিয়া তথায় বাস করিতে লাগিল। চতুৰ্থ পরিচ্ছেদ দই এক বৎসর পরে একজন ভদ্রলোক সেই অনাথিনিবাসে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তাঁহার বয়স ৩৫ ৷৷ ৩৬ বৎসর। অবস্থা দেখিয়া, অতি ধীর, গম্ভীরা এবং অর্থশালী লোক বোধ হয়। তিনি সেই “রক্ষ্মিণীকুমারের প্রাসাদের” দবারে আসিয়া দাঁড়াইলেন । রক্ষকগণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ কাহার বাড়ী ?” তাহারা বলিল, “এ কাহারও বাড়ী নহে, এখানে দঃখী অনাথ লোক থাকে। ইহাকে “রক্সিণীকুমারের প্রাসাদ’ বলে।” আগন্তুক বলিলেন, “আমি ইহার ভিতরে গিয়া দেখিতে পারি ?” क्रिा స్టో বলিল, “দীন দঃখী লোকেও ইহার ভিতর অনায়াসে যাইতেছে—আপনাকে ষেধ কি ?” দশক ভিতরে গিয়া সব দেখিয়া, প্রত্যাবত্তন করিলেন। বলিলেন, “বান্দাবসত দেখিয়া আমার বড় আহাদ হইয়াছে। কে এই অন্নসত্ৰ দিয়াছে ? রক্ষ্মিণীকুমার কি তাহার নাম ?” রক্ষকেরা বলিল, “একজন সত্ৰীলোক এই অন্নসত্ৰ দিয়াছেন।” দশক জিজ্ঞাসা করিলেন, “তবে ইহাকে রক্ষ্মিণীকুমারের প্রাসাদ বলে কেন ?” রক্ষকেরা বলিল, “তাহা আমরা কেহ জানি না।” “রক্সিণীকুমার কার নাম ?” “কাহারও নয় ।” “যিনি অন্নসত্ৰ দিয়াছেন, তাঁহার নিবাস কোথায় ?” রক্ষকেরা সম্মখে আতি বহৎ আটালিকা দেখাইয়া দিল । আগন্তুক জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, “তোমরা যাঁহার বাড়ী দেখাইয়া দিলে, তিনি পরিষ মানষের সাক্ষাতে বাহির হইয়া থাকেন ? রাগ করিও না, এখন অনেক বড় মানষের মেয়ে মেম লোকোব মত বাহির হইয়া থাকে, এই জন্যই জিজ্ঞাসা করিতেছি। ” রক্ষকেরা উত্তর করিল – “ইনি সেরছিপ চরিত্রের নন। পরিষের সমক্ষে বাহির হন না।” প্রশনিকতা ধীরে ধীরে রাধারাণীর আটালিকার অভিমখে গিয়া, তন্মধ্যে প্রবেশ করিলেন। পণ8ম পরিচ্ছেদ যিনি আসিয়াছিলেন, তাঁহার পরিচ্ছদ সচরাচর বাঙ্গালী ভদ্রলোকের মত; বিশেষ পারিপাট্য, অথবা পারিপাট্যের বিশেষ অভাবও কিছ. ছিল না, কিন্তু তাঁহার অঙ্গলিতে একটি হীরকাঙ্গরীয় ছিল; তাহা দেখিয়া, রাধারাণীর কম কারগণ অবাক হইয়া তৎপ্রতি চাহিয়া রহিল, এত বড় হীরা তাহারা কখন অঙ্গরীয়ে দেখে নাই। তাঁহার সঙ্গে কেহ লোক ছিল না, এজন্য তাহারা জিজ্ঞাসা করিতে পারিল না যে, কে ইনি ? মনে করিল, বাব স্বয়ং পরিচয় দিবেন। কিন্তু বাবা কোন পরিচয় দিলেন না। তিনি রাধারাণীর দেওয়ানজির সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তাঁহার হস্তে একখানি পত্র দিলেন। বলিলেন, “এই পত্র আপনার মানিবের কাছে 8brミ