পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতারাম উপন্যাস-প্রসঙগ ‘সীতারাম” বঙ্কিমচন্দ্রের শেষ উপন্যাস। ‘আনন্দমঠ এবং ‘দেবী চৌধরাণীর ন্যায় এ গ্রন্থের ভিতর দিয়াও বঙ্কিমচন্দ্র ‘অনশীলনতত্ত্ব' প্রচারে প্রবত্ত হইয়াছিলেন। গ্রন্থারম্ভে উদ্ধত শ্ৰীমদভগবদগীতার শেলাকনিচয়ের মধ্যে এই উদ্দেশ্যের আভাস আছে : অজ্ঞজনে উবাচ। জ্যায়সী চেৎ কৰ্ম্মণস্তে~মতা বদ্ধিজানান্দন। তৎ কিং কম্পমণি ঘোরে মাং নিয়োজয়সি কেশব ৷ ব্যামিশ্রেণেব বাক্যেন বদ্ধিং মোহয়সীব মে। তদেকং বাদ নিশ্চিত্য যেন শ্রেয়োহহমাপনয়াম ৷ শ্ৰীভগবানবাচ লোকেহসিমন দিববিধা নিৰ্ম্মঠা পরা প্রোক্তা ময়ানঘ | জ্ঞানযোগেন সাঙখ্যানাং কৰ্ম্মযোগেন যোগিনাম৷ ন কৰ্ম্মণামনার্যক্ষভান্নৈষকৰ্ম্মমৰ্য্য পরিষো2শনতে। ন চ সন্ন্যসনাদেব সিদ্দিধং সমধিগচ্ছতি ৷ নাহি কশিচৎ ক্ষণমপি জাতু তিব্ঠত & কাৰ্য্যতে হ্যবশঃ কম সৰ্ব্ববঃ প্রকৃতিজৈগণৈঃ ৷ কম্মেমন্দ্রিয়ানি সংযম্য য আস্তে মনসা সমরন। ইন্দ্রিয়াথান বিমােঢ়াত্মা মিথ্যাচারঃ সি উচ্যতে ৷ যস্তিন্দ্রিয়াণি মনসা নিয়ম্যারভতেহডজন। কমেন্দ্ৰিয়ৈঃ কৰ্ম্মম যোগমসন্তঃ সা বিশিষ্যতে ৷ নিয়তং কুব কম ত্বং কম জ্যায়ো হ্যাকম্পমণিঃ। শরীর যাত্ৰাপি চ তে ন প্ৰসিধ্যেদকমণঃ ৷ যজ্ঞার্থাৎ কম্পমাণোহন্যত্র লোকোহয়ং কম বন্ধনঃ । তদৰ্থং কৰ্ম্মম কৌন্তেয় মক্তসঙগঃ সমাচর। ধ্যায়তো বিষয়ান পংসঃ সওগাস্তেষপজায়তে। সওগাৎ সংজ্যািয়তে কামঃ কামাৎ ক্ৰোধোহভিজায়াতে ৷ ক্ৰোধাদভবতি সম্মোহঃ সম্মেমাহাৎ সমিতিবিভ্ৰমঃ। সন্মতিভ্ৰংশাদবান্ধিনাশো বন্ধিনাশাৎ প্ৰণশ্যতি ৷ রাগন্বেষবিমক্তৈস্তু বিষয়ানিন্দ্ৰিয়ৈশাচরন। আত্মবশ্যৈবিধেয়াত্মা প্ৰসাদমধিগচ্ছতি ৷ গীতা । ৩ । ১-৯ ৷৷ १ौऊा। २ । ७२-७8 । তখন “বঙ্গদর্শন’ উঠিয়া গিয়াছে। বঙ্কিমচন্দ্ৰ ‘প্রচার’কেই তাঁহার ‘অনশীলনতত্ত্ব’ ব্যাখ্যাব বাহন করিয়া লইলেন। “প্রচারে’র প্রথম সংখ্যা (শ্রাবণ ১২১১) হইতে “সীতারাম” প্রকাশিত হইতে আরম্ভ হয়। কয়েক মাস মাত্র বন্ধ থাকিয়া ইহা ১২৯৩ সালের মাঘ মাস পয্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হইয়াছিল। ‘প্রচারে’র প্রথম সংখ্যায়ই ‘বাঙ্গালার কলঙ্ক’ ও ‘হিন্দধৰ্ম্মম' নামে বঙ্কিমের দাইটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। এই দাইটিতে “সীতারাম’ উপন্যাসে প্রতিপাদ্য তত্ত্ব অতি সািপম্পট ভাষায় লিখিত আছে। প্রথম প্রবন্ধে বঙ্কিমচন্দ্র বাঙ্গালী জাতির প্রতি আরোপিত মিথ্যা কলঙ্কের ঘোরতর প্রতিবাদ করিয়াছেন। তিনি লেখেন : “কদাচিৎ অন্যান্য ভারতবাসীর বাহবিলের প্রশংসা শানা যায়, কিন্তু কলঙগালীর বাহবিলের প্রশংসা কেহ কখন শানে নাই। সকলেরই বিশ্ববাস, বাঙ্গালী চিরকাল দািব্বল, চিরকাল ভীর, চিরকাল সত্ৰীস্বভাব, চিরকাল ঘসি দেখিলেই পলাইয়া যায়। মেকলে বাঙ্গালীর চরিত্রসম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছেন, এরপ জাতীয় নিন্দা কখনও কোন লেখক কোন জাতি-সম্পবন্ধে কলমবিন্দ করে নাই। ভিন্নদেশীয় মাত্রেরই বিশ্ববাস যে, সে সকল কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য। ভিন্নজাতীয়ের কথা দরে থাকুক, অধিকাংশ বাঙ্গালীরও এইরপ বিশ্ববাস! উনবিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালীর চরিত্র সমালোচনা করিলে, কথাটি কতকটা যদি সত্য বোধ হয়, তবে বলা যাইতে পারে, বাঙ্গালীর এখন এ দদশা হইবার অনেক কারণ আছে। মানষেকে মারিয়া 3した