পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७दकब ब्रष्नाबव्ी লবঙ্গলতা আমার সহিত পানশাচ সাক্ষাৎ করিল। আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আমি কালি যাহা শচীন্দ্রকে বলিয়া গিয়াছি, তাহা শনিয়াছ কি ?” ল। শনিয়াছি। তুমি আদিবতীয়। আমাকে ক্ষমা করিও; আমি তোমার গণ জানিতাম ନୀT | আমি নীরব হইয়া রহিলাম। তখন অবসর পাইয়া লবঙ্গলতা জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি আমার সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা করিয়াছ কেন ? তুমি নাকি কলিকাতা হইতে উঠিয়া যাইতেছ?” অ ! যাইব । ল । কেন ? অ। যাইব না কেন ? আমাকে যাইতে বারণ করিবার ত কেহ নাই। ল। যদি আমি বারণ করি ? অ। আমি তোমার কে যে বারণ করিবে ? ল। তুমি আমার কে ? তা ত জানি না। এ পথিবীতে তুমি আমার কেহ নও । কিন্তু যদি লোকান্তর থাকে লবঙ্গলতা আর কিছ: বলিল না। আমি ক্ষণেক অপেক্ষা করিয়া বলিলাম, “যদি লোকান্তর থাকে, তবে ?” লবঙ্গলতা বলিল, “আমি সত্ৰীলোক-সহজে দািবব লা। আমার কত বল, দেখিয়া তোমার কি হইবে ? আমি ইহাই বলিতে পারি, আমি তোমার পরম মঙ্গলাকাঙক্ষী।” আমি বড় বিচলিত হইলাম, বলিলাম, “আমি সে কথায় বিশ্ববাস করি। কিন্তু একটি কথা আমি কখন বঝিতে পারিলাম না। তুমি যদি আমার মঙ্গলাকাঙক্ষী, তবে আমার গায়ে ဖြိုး:ါး জন্য এ কলঙ্ক লিখিয়া দিলে কেন ? এ যে মছিলে যায় না—কখন মছিলে କnt '!' লবঙ্গ অধোবদনে রহিল। ক্ষণেক ভাবিল। বলিল, “তুমি কুকাজ করিয়াছিলে, আমিও বালিকাবন্ধিতেই কুকাজ করিয়াছিলাম। যাহার যে দন্ড, বিধাতা তাহার বিচার করিবেন-আমি বিচারের কে ? এখন সে অন্যতাপ আমার-কিন্তু সে সকল কথা না বলাই ভাল। তুমি আমার সে অপরাধ ক্ষমা করিবে ? “ আমি। তুমি না বলিতেই আমি ক্ষমা করিয়াছি। ক্ষমাই বা কি ? উচিত দন্ড করিয়াছিলে —তোমার অপরাধ নাই। আমি আর আসিব না—আর কখন তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ হইবে না। কিন্তু যদি তুমি কখন ইহার পরে শোন যে, অমরনাথ কুচরিত্র নহে, তবে তুমি আমার প্রতি একটি —অণমাত্ৰ—সেনহা করিবে ? ল। তোমাকে সেনহা করিলে আমি ধৰ্ম্মেম পতিত হইব। আমি ; না, আমি সে স্নেহের ভিখারী আর নাহি। তোমার এই সমদ্রতুল্য হৃদয়ে কি আমার জন্য এতটকু স্থান নাই ? ল। না—যে আমার স্বামী না হইয়া একবার আমার প্রণয়াকাঙক্ষী হইয়াছিল, তিনি সস্বয়ং মহাদেব হইলেও তাঁহার জন্য আমার হৃদয়ে এতটকু স্থান নাই। লোকে পাখী পষিলে যে স্নেহ করে, ইহলোকে তোমার প্রতি আমার সে স্নেহও কখন হইবে না। আবার “ইহলোক।” যাক-আমি লবঙ্গের কথা বঝিলাম কি না, বলিতে পারি না; কিন্তু লবঙ্গ আমার কথা বঝিল না। কিন্তু দেখিলাম, লবঙ্গ ঈষৎ কাঁদিতেছে। আমি বলিলাম, “আমার যাহা বলিবার অবশিস্ট আছে, তাহা বলিয়া যাই। আমার কিছ. ভূসম্পপত্তি আছে, আমার তাহাতে প্রয়োজন নাই। তাহা আমি দান করিয়া যাইতেছি।” ল। কাহাকে ? আমি। যে রজনীকে বিবাহ করিবে, তাহাকে। ল। তোমার সমন্দিয় সন্থাবর সম্পত্তি ? আমি। হাঁ। তুমি এই দানপত্র এক্ষণে তোমার কাছে অতি গোপনে রাখিবো। যত দিন না। রজনীর বিবাহ হয়, তত দিন ইহার কথা প্রকাশ করিও না। বিবাহ হইয়া গেলে, রজনীর স্বামীকে দানপত্র দিও। এই কথা বলিয়া, ললিতলবঙ্গলতার উত্তরের অপেক্ষা না করিয়া, দানপত্র আমি তাহার নিকট 6 VO V %