পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बर्ग७दकब ब्रष्न्बव्ी গো। উহার মনের কথা। আমাকে উহার কাছে একা রাখিয়া যাইতে যদি তোমার ভয় হয়, তবে না হয়, আড়াল হইতে শনিও । ভোমরা বড় অপ্রতিভ হইল। লডজায় অধোমখী হইয়া, ছটিয়া সে অঞ্চল হইতে পলাইল। একেবারে পাকশালায় উপস্থিত হইয়া, পিছন হইতে পাচিকর চুল ধরিয়া টানিয়া বলিল, “রাধানি ঠাকুর ঝি! রাঁধতে রাঁধতে একটি রপেকথা বল না।” এ দিকে গোবিন্দলাল, রোহিণীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ বািত্তান্ত আমাক সকল বিশেষ করিয়া বলিবে কি ?” বলিবার জন্য রোহিণীর বক ফাটিয়া যাইতেছিল—কিন্তু যে জাতি জীয়ন্তে জবলন্ত চিতায় আরোহণ করিত, রোহিণীও সেই জাতীয়া—আয্যকন্যা। বলিল, “কত্তার কাছে সবিশেষ শনিয়াছেন ত!” গো। কত্তা বলেন, তুমি জােল উইল রাখিয়া, আসল উইল চুরি করিতে আসিয়াছিলে ? उाग्ने कि ? েৈর । তা নয় | গো। তবে কি ? রো। বলিয়া কি হইবে ? গো । তোমার ভাল হইতে পারে। O রো। আপনি বিশ্ববাস করিলে তা ? গো। বিশবাসযোগ্য কথা হইলে কেন বিশ্ববাস করিব না ? রো। বিশবাসযোগ্য কথা নহে। গো। আমার কাছে কি বিশ্ববাসযোগ্য, কি অবিশ্ববাসযোগ্য, তাহা আমি জানি, তুমি জানিবে কি প্রকারে ? আমি অবিশবাসযোগ্য কথাতেও কখনও কখনও বিশ্ববাস করি। রোহিণী মনে মনে বলিল, “নহিলে আমি তোমার জন্যে মরিতে বসিব কেন ? যাই হৌক, আমি ত মরিতে বসিয়াছি, কিন্তু তোমার একবার পরীক্ষা করিয়া মরিব।” প্রকাশ্যে বলিল, “সে আপনার মহিমা। কিন্তু আপনাকে এ দঃখের কাহিনী বলিয়াই বা কি হইবে ?” গো । যদি আমি তোমার কোন উপকার করিতে পারি। রো। কি উপকার করবেন ? গোবিন্দলাল ভাবিলেন, “ইহার যোড়া নাই। যাই হউক, এ কাতরা—ইহাকে সহজে পরিত্যাগ করা উচিত নহে।” প্রকাশ্যে বলিলেন, “যদি পারি, কত্তাকে অননুরোধ করিব। তিনি তোমায় ত্যাগ করিবেন।” রো। আর যদি আপনি অননুরোধ না করেন, তবে তিনি আমায় কি করিবেন ? গো। শনিয়াছ ত ? রো। আমার মাথা মড়াইবেন, ঘোল ঢালিয়া দিবেন, দেশ হইতে বাহির করিয়া দিবেন। ইহার ভাল মন্দ কিছর বাঝিতে পারিতেছি না।—এ কলঙ্কের পর, দেশ হইতে বাহির করিয়া দিলেই আমার উপকার। আমাকে তাড়াইয়া না দিলে, আমি আপনিই এ দেশ ত্যাগ করিয়া যাইব । আর এ দেশে মািখ দেখাইব কি প্রকারে ? ঘোল ঢালা বড় গারতের দন্ড নয়, ধাইলেই ঘোল যাইবে । বাকি এই কেশ--- এই বলিয়া রোহিণী একবার আপনার তরঙ্গক্ষািবধকৃষ্ণতাড়াগাতুল্য কেশদাম প্রতি দলিট করিল, --বলিতে লাগিল, “এই কেশ--আপনি কাঁচি আনিতে বলেন, আমি বৌ ঠাকুরাণের চুলের দড়ি বিনাইবার জন্য ইহার সকলগলি কাটিয়া দিয়া যাইতেছি।” গোবিন্দলাল ব্যথিত হইলেন। দীঘ নিশবাস পরিত্যাগ করিয়া বলিলেন, “বঝেছি রোহিণী। কলঙকই তোমার দণড । সে দণড হইতে রক্ষা না হইলে, অন্য দন্ডে তোমার আপত্তি নাই।” রোহিণী। এবার কাঁদিল। হৃদয়মধ্যে গোবিন্দলালকে শত সহস্র ধন্যবাদ করিতে লাগিল। বলিল, “যদি বঝিয়াছেন, তবে জিজ্ঞাসা করি, এ কলঙকদন্ড হইতে কি আমায় রক্ষা করিতে পরিবেন ? “ গোবিন্দলাল কিছফক্ষণ চিন্তা করিয়া বলিলেন, “‘বলিতে পারি না। আসল কথা শনিতে পাইলে, বলিতে পারি যে, পারিব কি না।” রোহিণী বলিল, “কি জানিতে চাহেন, জিজ্ঞাসা করুন।” ○ @ げ