পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्रुश्काटुख्छन्न ऐछझेल्न জমীদারির কথা পাড়িল-জমীদারির কথার পর সাংসারিক কথা, সাংসারিক কথার পর মোকদ্দমার কথা, তথাপি রোহিণীর দিক দিয়াও গেল না। গোবিন্দলাল রোহিণীর কথা ు পাড়িতে পারিলেন না। কৃষ্ণকান্ত মনে মনে ভারি হাসি হাসিতে লাগিলেন। বড়া বড় দম্পঢ়। অগত্যা গোবিন্দলাল ফিরিয়া যাইতেছিলেন, —তখন কৃষ্ণকান্ত প্রিয়তম ভ্ৰাতুলপত্রকে ডাকিয়া ফিরাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “সকাল বেলা যে মাগীকে তুমি জামিন হইয়া লইয়া গিয়াছিলে, সে মাগনী কিছ স্বীকার করিয়াছে ?” তখন গোবিন্দলাল পথ পাইয়া যাহা যাহা রোহিণী বলিয়াছিল, সংক্ষেপে বলিলেন। বারণী পঙ্করিণী ঘটিত কথাগলি গোপন করিলেন। শনিয়া কৃষ্ণকান্ত বললেন, “এখন তাহার প্রতি কিরাপ করা তোমার প্রতিপ্রায় ?” ಙ್' লজিজত হইয়া বলিলেন, “আপনার যে অভিপ্রায়, আমাদিগেরও সেই অভিপ্ৰায় ৷ ” কৃষ্ণকান্ত মনে মনে হাসিয়া, মাখে। কিছমাত্ৰ হাসির লক্ষণ না দেখাইয়া বলিলেন, “আমি উল্লুর কথায় বিশ্ববাস করি না। উহার মাথা মড়াইয়া, ঘোল ঢালিয়া, দেশের বাহির করিয়া দাও —-ক বল ?” গোবিন্দলাল চুপ করিয়া রহিলেন। তখন দলটি বড়া বলিল, “আর তোমরা যদি এমনই বিবেচনা করা যে, উহার দোষ নাই—তবে ছাড়িয়া দাও।” গোবিন্দলাল তখন নিশবাস ছাড়িয়া, বড়োর হাত হইতে নিম্প্রকৃতি পাইলেন। চতুন্দশ পরিচ্ছেদ রোহিণী, গোবিন্দলালের অনািমতিক্ৰমে খড়ার সঙ্গে বিদেশ যাওয়ার বন্দোবস্ত করিতে আসিলা। খড়াকে কিছ না বলিয়া, ঘরের মধ্যস্থলে বসিয়া পড়িয়া, রোহিণী কাঁদিতে বসিল । “এ হরিদ্রাগ্রাম ছাড়িয়া আমার যাওয়া হইবে না-না দেখিয়া মরিয়া যাইব । আমি কলিকাতায় গেলে, গোবিন্দলালকে ত দেখিতে পাইব না ? আমি যাইব না। এই হরিদ্রাগ্রাম আমার সবগ, এখানে গোবিন্দলালের মন্দির। এই হরিদ্রাগ্রামই আমার শমশান, এখানে আমি পড়িয়া মরিব । শমশানে মরিতে পায় না, এমন কপােলও আছে! আমি যদি এ হরিদ্রাগ্রাম ছাড়িয়া না। যাই, ত আমার কে কি করিতে পারে ? কৃষ্ণকান্ত রায় আমার মাথা মড়াইয়া, ঘোল ঢালিয়া দেশ ছাড়া করিয়া দিবে ? আমি আবার আসিব । গোবিন্দলাল রাগ করিবে ? করে করােক—তব আমি তাহাকে দেখিব। আমার চক্ষ ত কাড়িয়া লইতে পারিবে না। আমি যাব না। কলিকাতায় যাব না—কোথাও যাব না। যাই তা যমের বাড়ী যাব । আর কোথাও না।” এই সিদ্ধান্ত স্থির করিয়া, কলামখী রোহিণী উঠিয়া দবার খালিয়া আবার—“পতঙ্গবদবহ্নিমখং বিবিক্ষঃ”—সেই গোবিন্দলালের কাছে চলিল। মনে মনে বলিতে বলিতে চলিল,— “হে জগদীশবর, হে দীননাথ, হে দঃখিজনের একমাত্ৰ সহায়! আমি নিতান্ত দঃখিনী, নিতান্ত দদুঃখে পড়িয়াছি—আমায় রক্ষা কর—আমার হৃদয়ের এই অসহ্য প্রেমবহি নিবাইয়া দাও—আর আমায় পোড়াইও না। আমি যাহাকে দেখিতে যাইতেছি—তাহাকে যত বার দেখিব, তত বারআমার অসহ্য যন্ত্রণা-অনন্ত সখি। আমি বিধবা—আমার ধৰ্ম্মম গোল—সখি গেল—প্ৰাণ গোল— রহিল কি প্ৰভু ? রাখিব কি প্ৰভু?—হে দেবতা! হে দ গা-হে কালি—হে জগন্নাথ—আমায় সমিতি দাও—আমার প্রাণ সিথর করা—আমি এই যন্ত্রণা আর সহিতে পারি না।” তব সেই সফীত, হৃত, অপরিমিত প্ৰেমপরিপািণ হৃদয়—থামিল না। কখনও ভাবিল, গরল খাই ; কখনও ভাবিল, গোবিন্দলালের পদপ্রান্তে পড়িয়া, অন্তঃকরণ মক্ত করিয়া সকল কথা বলি: কখনও ভাবিল, পলাইয়া যাই ; কখনও ভাবিল, বারণীতে ডুবে মারি ; কখনও ভাবিল, ধৰ্ম্মেমর্শ জলাঞ্জলি দিয়া গোবিন্দলালকে কাড়িয়া লইয়া দেশান্তরে পলাইয়া যাই। রোহিণী কাঁদিতে কাঁদিতে গোবিন্দলালের কাছে পনেকবার উপস্থিত হইল। গোবিন্দলাল জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন ? কলিকাতায় যাওয়া সিথর হইল তা ?” রো । না । Ć VS ○Wり