পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণকান্তের উইল জবলিয়া গেল। সহিতে না পারিয়া ভ্রমর বলিল, “তুমি সে দিন রাত্রে ঠাকুরের ঘরে চুরি করিতে আসিয়াছিলে ? আজ রাত্রে কি আমার ঘরে সেই অভিপ্ৰায়ে আসিয়াছ না কি ?” রোহিণী মনে মনে বলিল যে, তোমার মন্ডপাত করিতে আসিয়াছি। প্রকাশ্যে বলিল, “এখন আর আমার চুরির প্রয়োজন নাই; আমি আর টাকার কাণ্ডগাল নাহি। মেজ বাবর অনগ্রহে, আমার আর খাইবার পরিবার দঃখ নাই। তবে লোকে যতটা বলে, ততটা নহে।” ভ্ৰমর বলিল, “তুমি এখান হইতে দরি হও ।” রোহিণী সে কথা কাণে না তুলিয়া বলিতে লাগিল, “লোকে যতটা বলে, ততটা নহে। লোকে বলে, আমি সাত হাজার টাকার গহনা পাইয়াছি। মোট তিন হাজার টাকার গহনা, আর এই সাড়ীখানি পাইয়াছি। তাই তোমায় দেখাইতে আসিয়াছি। সাত হাজার টাকা লোকে বলে কেন ?” এই বলিয়া রোহিণী পাটলি খালিয়া বানারসী সাড়ী ও গিলটির গহনাগলি ভ্রমরকে দেখাইল। ভ্রমর লাথি মারিয়া অলঙ্কারগলি চারিদিকে ছড়াইয়া দিল। রোহিণী বলিল, “সোণায় পা দিতে নাই।” এই বলিয়া রোহিণী নিঃশব্দে গিলটির অলঙ্কারগলি একে একে কুড়াইয়া, আবার পদুটলি বাঁধিলা। পদুটলি বাঁধিয়া, নিঃশব্দে সেখান হইতে বাহির হইয়া গেল। আমাদের বড় দঃখ রহিল। ভ্রমর ক্ষীরোদাকে পিটিয়া দিয়াছিল, কিন্তু রোহিণীকে একটি কিলেও মারিল না, এই আমাদের আন্তরিক দঃখ। আমাদের পাঠিকারা উপস্থিত থাকিলে, রোহিণীকে যে সর্বহস্তে প্রহার করিতেন, তদবিষয়ে আমাদিগের কোন সংশয় নাই। সত্ৰীলোকের গায়ে হাত তুলিতে নাই, এ কথা মানি। কিন্তু রাক্ষসী বা পিশাচীর গায়ে যে হাত তুলিতে নাই, এ কথা তত মানি না। তবে ভ্রমর যে রোহিণীকে কেন মারিল না, তাহা বঝাইতে পারি। ভ্রমর ক্ষীরোদাকে ভালবাসিত, সেই জন্য তাহাকে মারপিট করিয়াছিল। রোহিণীকে ভালবাসিত না, এজন্য হাত উঠিল না। ছেলেয় ছেলেয়। ঝগড়া করিলে জননী আপনার ছেলেটিকে মারে, পরের ছেলেটিকে মারে না। ত্ৰয়োবিংশতিতম পরিচ্ছেদ সে রাত্ৰি প্ৰভাত না হইতেই ভ্ৰমর স্বামীকে পত্র লিখিতে বসিল । লেখাপড়া গোবিন্দলাল শিখাইয়াছিলেন, কিন্তু ভ্রমর লেখাপড়ায় তত মজবত হইয়া উঠে নাই। ফলটি পর্তুলটি পাখীটি স্বামীটিতে ভ্রমরের মন, লেখাপড়া বা গাহকৰ্ম্মে তত নহে। কাগজ লইয়া লিখিতে বসিলে, একবার মাছিত একবার কাটিত, একবার কাগজ বদলাইয়া আবার মাছিত, আবার কাটিত । শেষ ফেলিয়া রাখিত। দই তিন দিনে একখানা পত্র শেষ হইত না, কিন্তু আজ সে সকল কিছ: হইল না। তেড়া বাঁকা ছাঁদে, যাহা লেখনীর অগ্ৰে বাহির হইল, আজ তাহাই ভ্ৰমরের মঞ্জর । SBBSDBSBDB S SDBB BD SBDBSKSBBD S SDBSB BBBB SBBBS SEEBB SBBBSB BSBDSBBD “থা'র মত, “থ“গলা ‘খ’র মত, ইকার স্থানে আকার-আকারের একেবারে লোপ, যক্তি অক্ষরের সথানে পথক পথক অক্ষর, কোন কোন অক্ষরের লোপ,--ভ্রমর কিছ মানিল না। ভ্রমর আজি এক ঘণ্টার মধ্যে এক দীঘ পত্র স্বামীকে লিখিয়া ফেলিল। কাটাকুটি যে ছিল না, এমত নহে। আমরা পত্ৰখানির কিছ পরিচয় দিতেছি। ভ্ৰমর লিখিতেছে— “সেবিকা শ্ৰী ভোমরা” (তার পর ভোমরা কাটিয়া ভ্রমরা করিল) “দাস্যা” (আগে দাম্পমা, তাহা কাটিয়া দাস্য-তােহা কাটিয়া দাস্যো—দাস্যাঃ ঘাঁটিয়া উঠে নাই) “প্ৰণামঃ” (“প্ৰ” লিখিতে প্রথমে SHS DBB BBB SeSkBB SKSBBBBBDS S KB BBBBBES DBB BBB BBBBSSSBBBS (বিশেষঃ হইয়া উঠে নাই) | এইরুপ পত্র লেখার প্রণালী। যাহা লিখিয়াছিল, তাহার বর্ণগিলি শব্দধ করিয়া, ভাষা একটকু সংশোধন করিয়া নিম্নে লিখিতেছি। “সে দিন রাত্রে বাগানে কেন তোমার দেরি হইয়াছিল, তাহা আমাকে ভাঙ্গিয়া বলিলে না। দই বৎসর পরে বলিবে বলিয়াছিলে, কিন্তু আমি কপালের দোষে আগেই তাহা শানিলাম। GCS