পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৬০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्रुश्कंन्ड्ज्ञ ऐछेव् সাক্ষী। কোন রোহিণী ? উকীল। প্ৰসাদপরের কুঠিতে যে ছিল ? সাক্ষী। আমার বাপের পর্যুষে কখনও প্রসাদপরের কুঠিতে যাই নাই। উকীল। রোহিণী কি প্রকারে মরিয়াছে ? সাক্ষী। শনিতেছি আত্মহত্যা হইয়াছে। উকীল। খনের বিষয় কিছ জােন। সাক্ষী। কিছ না। উকীল তখন, সাক্ষী, ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের কাছে যে জোবাননন্দী দিয়াছিল, তাহা পাঠ করিয়া সাক্ষীকে শনাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন, তুমি ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের কাছে এই সকল কথা বলিয়াছিলে ?” সাক্ষী। হাঁ, বলিয়াছিলাম। উকীল। যদি কিছ জােন না, তবে কেন বলিয়াছিলে ? সাক্ষী। মারের চোটে। ফিচেল খাঁ মারিয়া আমাদের শরীরে আর কিছ রাখে নাই। এই বলিয়া সাক্ষী একট, কাঁদিল। দই চারি দিন পব্বে সহোদর ভ্রাতার সঙ্গে জমী লইয়া কাজিয়া করিয়া মারামারি করিয়াছিল; তাহার দাগ ছিল। সাক্ষী অম্পলানমখে সেই দাগগলি ফিচেল খাঁর মারপিটের দাগ বলিয়া জজ সাহেবকে দেখাইল । উকীল সরকার অপ্রতিভ হইয়া দিবতীয় সাক্ষী ডাকিলেন। দ্বিতীয় সাক্ষীও এইবােপ বলিল। সে পিঠে রাণ্ডগচিত্রের আটা দিয়া ঘা করিয়া আসিয়াছিল— হাজার টাকার জন্য সব পারা যায়—তাহা জজ সাহেবকে দেখাইল । তৃতীয় সাক্ষীও ঐরােপ গজেরাইল। তখন জজ সাহেব প্রমাণাভাব দেখিযা আসামীকে খালাস দিলেন। এবং ফিচেল খাঁর প্রতি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়া তাহার আচরণ সম্বন্ধে তদারক করিবার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবকে উপদেশ দিলেন। বিচারকালে সাক্ষীদিগের এইরহপ সপক্ষতা দেখিয়া গোবিন্দলাল বিস্মিত হইতেছিলেন। পরে যখন ভিড়ের ভিতর মাধবীনাথকে দেখিলেন, তখনই সকল বঝিতে পাবিলেন। খালাস হইয়াও তাঁহাকে আর একবাব জেলে যাইতে হইল—সেখানে জেলার পরওয়ানা পাইলে তবে ছাড়িবে। তিনি যখন জেলে ফিরিয়া যান, তখন মাধবীনাথ তাঁহার নিকটস্থ হইয়া কাণে কাণে বলিলেন, “জেল হইতে খালাস পাইয়া, আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিও । আমার বাসা আমােক 52ा(न् ।” কিন্তু গোবিন্দলাল জেল হইতে খালাস পাইয়া, মাধবীনাথের কাছে গেলেন না। কোথায় গেলেন, কেহ জানিল না। মাধবীনাথ চারি পাঁচ দিন তাঁহার সন্ধান করিলেন। কোন সন্ধান পাইলেন না। অগত্যা শেষে একাই হরিদ্রাগ্রামে প্রত্যাগমন করিলেন। ব্ৰয়োদশ পরিচ্ছেদ ঃ ষষ্ঠ বৎসর মাধবীনাথ আসিয়া ভ্রমরকে সংবাদ দিলেন, গোবিন্দলাল খালাস হইয়াছে, কিন্তু বাড়ী আসিল না, কোথায় চলিয়া গেল, সন্ধান পাওয়া গেল না। মাধবীনাথ সরিয়া গেলে ভ্রমর অনেক কাঁদিল, কিন্তু কি জন্য কাঁদিল, তাহা বলিতে পারি না। এ দিকে গোবিন্দলাল খালাস পাইয়াই প্রসাদপরে গেলেন। গিয়া দেখিলেন, প্রসাদপরের গাহে কিছল নাই, কেহ নাই। গিয়া শানিলেন যে, অট্টালিকায় তাঁহার যে সকল দ্রব্যসামগ্রী ছিল, তাহা কতক পাঁচ জনে লাঠিয়া লইয়া গিয়াছিল—অবশিস্ট লাওয়ারেশ বলিয়া বিক্রয় হইয়াছিল। কেবল বাড়ীটি পড়িয়া আছে—তাহারও কবাট চৌকাট পৰ্য্যন্ত বার ভূতে লইয়া গিয়াছে। প্রসাদপরের বাজারে দই এক দিন বাস করিয়া গোবিন্দলাল, বাড়ীর অবশিস্ট ইট কাঠ জলের দামে এক ব্যক্তিকে বিক্ৰয় করিয়া যাহা কিছ পাইলেন, তাহা লইয়া কলিকাতায় ८८ळ्नान् । কলিকাতায় অতি গোপনে সামান্য অবস্থায় গোবিন্দলাল দিনযাপন করিতে লাগিলেন। ઉં તે તે