পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राङर्गनश्छ করিয়াছে, আবার রাজপত অপমান করিল। মারহাট্টার বড় কিছ: করিতে পারেন নাই, রাজপাতের হঠাৎ কিছ করিতে পারিতেছেন না। অথচ বিষ উদগীরণ করিতে হইবে। অতএব রাজসিংহের অপরাধে সমস্ত হিন্দজাতির পীড়নই অভিপ্ৰেত করিলেন। আমরা এখন ইন কম টেকশকে অসহ্য মনে করি, তাহার অধিক অসহ্য একটা “টেকশ মসলমানি আমলে ছিল। তাহার অধিক অসহ্য—কেন না, এই “টেকশ” মসলমানকে দিতে হইত না; কেবল হিন্দকেই দিতে হইত। ইহার নাম জেজেয়া। পরম রাজনীতিজ্ঞ আকবর বাদশাহ, ইহার অনিষটকারিতা বঝিয়া, ইহা উঠাইয়া দিয়াছিলেন। সেই অবধি উহা বন্ধ ছিল। এক্ষণে হিন্দীদ্বেষী ঔরঙ্গজেব তাহা পনেকবার স্থাপন করিয়া হিন্দর যন্ত্ৰণা বাড়াইতে প্রবত্ত হইলেন ইতিপকেবই বাদশাহ, জেজেয়ার পনরাবিভাবের আজ্ঞা প্রচারিত করিয়াছিলেন, কিন্তু এক্ষণে বড় বাড়াবাড়ি আরম্ভ হইল। হিন্দরা ভীত, অত্যাচারগ্রস্ত, মৰ্ম্ম পীড়িত হইল। যক্ত করে সহস্ৰ সহস্র হিন্দ বাদশাহের নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করিল, কিন্তু ঔরঙ্গজেবের ক্ষমা ছিল না। শক্রবারে যখন বাদশাহ মসজিদে ঈশবরকে ডাকিতে যান, তখন লক্ষ লক্ষ হিন্দ সমবেত হইয়া তাঁহার নিকট রোদন করিতে লাগিল। দনিয়ার বাদশাহ দ্বিতীয় হিরণ্যকশিপার মত আজ্ঞা দিলেন, “হস্তীগলা পদতলে ইহাদিগকে দলিত করক।” সেই বিষম জনমন্দি হস্তিপদতলে দলিত হইয়া নিবারিত হইল । ঔরঙ্গজেবের অধীন ভারতবর্ষ জেজেয়া দিল। ব্ৰহ্মপত্র হইতে সিন্ধতীর পয্যন্ত হিন্দর দেবপ্রতিমা চণীকৃত, বহকালের গগনসপশী দেবমন্দির সকল ভগন ও বিলপতি হইতে লাগিল, তাহার সন্থানে মসলমানের মসজিদ প্রস্তুত হইতে লাগিল। কাশীতে বিশেবেশবারের মন্দির গেল; মথ রায় কেশবের মন্দির গেল ; বাঙ্গালায় বাঙগালীর যােহা কিছ স্থাপত্যকীত্তি ছিল, চিরকালের জন্য তাহা অন্তহিত হইল। ঔরঙ্গজেব এক্ষণে আজ্ঞা দিলেন যে, রাজপতনার রাজপতেরাও জেজেয়া দিবে। রাজপাতানার প্রজা তাঁহার প্রজা নহে, তথাপি হিন্দ বলিয়া তাহাদের উপর এ দন্ডাজ্ঞা প্রচারিত হইল। রাজপতেরা প্রথমে অস্বীকৃত হইল; কিন্তু উদয়পর ভিন্ন আর সব্বত্র রাজপতনা কর্ণধারবিহীন নৌকার ন্যায় অচল। জয়পরের জয়সিংহ-যাঁহার বাহবিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি প্রধান অবলম্বন ছিল, তিনি এক্ষণে গতাস;—বিশ্ববাসঘাতক বন্ধ হন্তা ঔরঙ্গজেবের কৌশলে বিষপ্রয়োগ দ্বারা তাঁহার মাতুত্যু সাধিত হইয়াছিল। তাঁহার বয়ঃপ্ৰাপত পত্র দিল্লীতে আবদ্ধ। সতরাং জয়পরে জেজেয়া দিল । যোধপরের যশোবন্ত সিংহ ও লোকান্তরগত। তাঁহার রাণী এখন রাজপ্রতিনিধি। সত্ৰীলোক হইয়াও তিনি বাদশাহের কম্পমচারী দিগকে হাঁকাইয়া দিলেন। ঔরঙ্গজেব তাঁহার বিরদ্ধে যাদ্ধ করিতে উদ্যত হইলেন। সত্ৰীলোক যন্ধের ধমকে ভয় পাইলেন। রাণী জেজেয়া দিলেন না, কিন্তু তৎপরিবত্তো রাজ্যের কিয়দংশ ছাড়িয়া দিলেন। রাজসিংহ জেজেয়া দিলেন না। কিছতেই দিবেন না; সব্বস্ব পণ করিলেন। জেজেয়া সম্পবন্ধে ঔরঙ্গজেবকে একখানি পত্র লিখিলেন। রাজপতনার ইতিহাসবেত্তা সেই পত্ৰসম্বন্ধে forf-RITC2r, "The Rana remonstrated by letter, in the name of the nation of which he was the head, in a style of such uncompromising dignity, such lofty yet temperate resolve, so much of Soul-stirring rebuke mingled with a boundless and tolerating benevolence, such elevating excess of the Divinity with such pure philanthropy, that it may challenge Competition with any epistolary production of any age, clime or condition.” *YN*Tîr বাদশাহের ক্ৰোধানলে ঘতাহতি দিল । বাদশাহ রাজসিংহের উপর আজ্ঞা প্রচার করিলেন, জেজেয়া ত দিতে হইবেই, তাহা ছাড়া রাজ্যে গোহত্যিা করিতে দিতে হইবে, এবং দেবালয় সকল ভাঙিগতে হইবে। রাজসিংহ যন্ধের উদ্যোগ করিতে লাগিলেন।

  • Tod's Rajasthan-Vol. I, page 381.

V V G.