পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झाङनश्छ् কেহ বলিয়া না দিক—তার নিজের মনে এ সকল কথা কিছ, কিছ আপনা। আপনি উদয় হইতে লাগিল। সঙ্গে সঙ্গে এমনও মনে হইল, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম বঝি আছে। যদি থাকে, তবে বড় অধমের কাজ হইয়াছে। শেষ ভয় হইল, ধৰ্ম্মমাধ্যমের পরিস্কার দন্ড যদি থাকে ? তাহার পাপের যদি দন্ডদাতা কেহ থাকেন ? তিনি বাদশাহজাদী বলিয়া জেব-উন্নিসাকে ম্যাজনা করবেন কি ? সম্ভব নয়। জেব-উন্নিসার মনে ভয়ও হইল । দঃখে, শোকে, ভয়ে জেব-উন্নিসা দবার খলিয়া তাহার বিশ্ববাসী খোজা আসিরাদ্দীনকে ডাকাইল। সে আসিলে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, “সাপের বিষে মানষি মরিলে তার কি চিকিৎসা আছে ?” আসিরদদীন বলিল, “মরিলে আবার চিকিৎসা কি ?” জেব। কখনও শন নাই ? আসি। হাতেম মালা, এমনই একটা চিকিৎসা করিয়াছিল, কাণে শনিয়াছি, চক্ষে দেখি নাই। জেব-উন্নিসা একটা হাঁপা ছাড়িল। বলিল, “হাতেম মালকে চেন ?” আসি। চিনি । জেব । সে কোথায় থাকে ? আসি ৷৷ দিল্লীতে থাকে। জেব। বাড়ী চেন ? আসি। চিনি । জেব। এখন সেখানে যাইতে পারবে ? আসি। হাকুম দিলেই পারি। জেব। আজি মবারক আলি (একটা গলা কাঁপিল) সপাঘাতে মরিয়াছে জান ? আসি। জানি । জেব। কোথায় তাহাকে গোর দিয়াছে, জান ? আসি। দেখি নাই, কিন্তু যে গোরস্থানে গোর দিবে, তাহা আমি জানি। নািতন গোর, ঠিকানা করিয়া লইতে পারিব। জেব। আমি তোমাকে দই শত আশরাফি দিতেছি। এক শ হাতেম মালকে দিবে, এক শ আপনি লইবে । মবারক আলির গোর খড়িয়া মোরদা বাহির করিয়া, চিকিৎসা করিয়া তাহাকে বাঁচাইবে। যদি বাঁচে, তাহাকে আমার কাছে লইয়া আসিবে। এখনই যাও । আশরাফি লইয়া খোজা আসিরদদীন তখনই বিদায় হইল । নবম পরিচ্ছেদ ঃ সমিধ-সংগ্রহ-দরিয়া আর একবার রঙমহালে পাথরের দ্রব্য বেচিয়া, মাণিকলাল নিৰ্ম্মলকুমারীর খবর লইল । এবারও সেই পাথরের কৌটা। চাবি বন্ধ হইয়া আসিয়াছিল। চাবি খলিয়া, নিৰ্ম্মমল পাইলসেই দৌত্য পারাবত। নিৰ্ম্মল সেটিকে রাখিল। পত্রের দবারা, পববািমত সংবাদ পাঠাইল । লিখিল, “সব মঙ্গল। তুমি এখন যাও, আমি পর্বেই বলিয়াছি আমি বাদশাহের সঙেগ যাইব ।” মাণিকলাল তখন দোকান-পাট উঠাইয়া উদয়পাের যাত্রা করিল। রাত্রি প্রভাত হইবার তখন অলপ বিলম্ব আছে। দিল্লীর অনেক “দরওয়াজা” । পাছে কেহ কিছ, সন্দেহ করে, এজন্যে মাণিকলাল আজমীর দরওয়ােজায় না গিয়া, অন্য দরওয়াজায় চলিল। পথিপাশেব একটা সামান্য গোরস্থান আছে। একটা গোরের নিকট দইটা লোক দাঁড়াইয়া আছে। মাণিকলালকে এবং তাহার সমভিব্যাহারী দিগকে দেখিয়া, সেই দইটা মানষে দৌড়াইয়া পলাইল। মাণিকলাল তখন ঘোড়া হইতে নামিয়া নিকটে গিয়া দেখিল। দেখিল যে, গোরের মাটি উঠাইয়া, উহারা মতদেহ বাহির করিয়াছে। মাণিকলাল, সেই মতদেহ খাব যত্নের সহিত, উদয়োন্মািখ। উষার আলোকে পৰ্য্যবেক্ষণ করিল। তার পর কি বঝিয়া ঐ দেহ আপনার আশেবর উপর তুলিয়া বধিয়া কাপড় ঢাকা দিয়া। আপনি পদব্রজে চলিল। মাণিকলাল দিল্লীর দরওয়াজার বাহিরে গেল। কিছ পরে সহযোদয় হইল, তখন মাণিকলাল ঐ মন্তদেহ ঘোড়া হইতে নামাইয়া, জঙ্গলের ছায়ায় লইয়া গিয়া রাখিল। এবং \Ն Գ Տ