ब७दकत्र ब्रष्नाबव्ी এইরহপ অনেক বিচার হইল। পরিশেষে সকলেই রাণার কথার যাথার্থ্য স্বীকার করিলেন। সন্ধিসন্থাপনের কথাই সিথর হইল । তখন কেহ আপত্তি করিল, “ঔরঙ্গজেব ত কই, সন্ধির চেন্টায় দতে পাঠান নাই। তাঁর গরজ, না। আমাদের গরজ ?” তাহাতে রাজসিংহ উত্তর করিলেন, “দত আসিবে কি প্রকারে ? সে রন্ধ্রুপথের ভিতর হইতে একটি পিপড়া উপরে আসিবার পথ রাখি নাই।” দয়াল সাহা জিজ্ঞাসা করিলেন, “তবে আমাদেরই বা দন্ত যাইবে কি প্রকারে ? সেবার মুরুগলে আমাদিগের দূতকে বধ করিবার আজ্ঞা দিয়াছিল, এবার যে সে আজ্ঞা দিবে না তার ঠিকানা কি ?” রাজসিংহ বলিলেন, ‘এবার যে বধ করিবে না, তাহা সিথর। কেন না, এখন কপট সন্ধিতেও তাহার মঙ্গল। তবে দাঁত সেখানে যাইবে কি প্রকারে, তাহার গোলযোগ আছে বটে।” তখন মাণিকলাল নিবেদন করিল, “সে ভার আমার উপর অপিত হউক। আমি মহারাণার পত্র ঔরঙগজেবের নিকট পৌছাইয়া দিব, এবং উত্তর আনিয়া দিব।” সকলেই সে কথায় বিশ্ববাস করিল ; কেন না, সকলেই জানিত, কৌশলে ও সাহসে মাণিকলাল অদ্বিতীয়। অতএব পত্র লিখিবার হকুম হইল। দয়াল সাহা পত্র প্রস্তুত করাইলেন। তাহার মন্ম এই যে—বাদশাহ, সমসত সৈন্য মেবার হইতে উঠাইয়া লইয়া যাইবেন। মেবারে গোহত্যিা ও দেবালয়,ভণ্ডগ নিবারণ করিবেন, এবং জেজেয়ার কোন দাবি করিবেন না। তাহা হইলে রাজসিংহ পথ মক্ত করিয়া দিবেন, নির দেবগে বাদশাহকে যাইতে দিবেন। পত্র সভাসদ সকলকে শনান হইল। শনিয়া মাণিকলাল বলিল, “বাদশাহের সত্ৰী কন্যা আমাদিগের নিকট বন্দী আছে। তাহারা থাকিবে ?” বলিবামাত্র সভামধ্যে একটা হাসির ঘটা পড়িয়া গেল। সকলে একবাক্যে বলিল, “ছাড়া হইবে না।” কেহ বলিল, “থােক। উহারা মহারাণার আঙিগনা ঝাঁটাইবে।” কেহ বলিল, “উহাদের ঢাকায় পাঠাইয়া দাও। হিন্দী হইয়া, বৈষ্ণবী সাজিয়া, হরিনাম করিবে।” কেহ বলিল, “উহাদের মাল্যস্বরপ এক এক ক্লোর টাকা বাদশাহ দিবেন।” ইত্যাদি নানা প্রকার প্রস্তাব হইল। মহারাণা বলিলেন, “দইটা মসলমান বাঁদীর জন্য সন্ধি ত্যাগ করা হইবে না। সে দইটাকে ফিরাইয়া দিব, লিখিয়া দাও।” সেইরােপ লেখা হইল। পত্ৰখানি মাণিকল্যালের জিমা হইল। তখন সভা ভঙ্গ হইল। নবম পরিচ্ছেদ ঃ অগিনিতে জলসেক সভা ভঙ্গ হইল, তব মাণিকলাল গেল না। সকলেই চলিয়া গেল, মাণিকলাল গোপনে মহারাণাকে জানাইল, “মবারকের বখশিশের কথাটা এই সময়ে মহারাজকে সমরণ করিয়া দিতে יין 23I রাজসিংহ জিজ্ঞাসা করিলেন, “সে কি চায় ?” মাণিক। বাদশাহের যে কন্যা আমাদিগের কাছে বন্দী আছে, তাহাকেই চায়। রাজসিংহ। তাহাকে যদি বাদশাহের নিকট ফেরৎ না পাঠাই, তবে বোধ করি সন্ধি হইবে না। আর সত্ৰীলোকের উপর কি প্রকারে আমি পীড়ন করিব ? মাণিক। পীড়ন করিতে হইবে না। শাহজাদীর সঙ্গে মবারকের গত রাত্রে সাদী হইয়াছে। রাজসিংহ। সেই কথা শাহজাদী বাদশাহকে বলিলেই বোধ হয়, সব গোল মিটিবে। মাণিক। এক রকম—কেন না, দই জনেরই মাথা কাটা যাইবে। রাজসিংহ । কেন ? মাণিক। শাহজাদীদের শাহজাদা ভিন্ন বিবাহ নাই। এই শাহজাদী একজন ক্ষ-দ্র সৈনিককে বিবাহ করিয়া দিল্লীর বাদশাহের কুলের কলঙক করিয়াছে। বিশেষ বাদশাহকে না জানাইয়া এ বিবাহ করিয়াছে, এজন্য তাহাকে দিল্লীর রঙমহলের প্রথানসারে বিষ খাইতে হইবে। আর মবারক সাপের বিষে যখন মরেন নাই, তখন তাঁহাকে হাতীর পায়ে, কি শলে যাইতে হইবে। যদি সে অপরাধও মাক্তজনা হয়, তবে তিনি মহারাজের যে উপকার করিয়াছেন, তাহার জন্য GO 8
