পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उानकभछे আপনার সৌন্দয্য বিকশিত করে, যেমন করিয়া প্রভাতসায্য তরঙ্গাকৃত মেঘমালাকে ক্ৰমে ক্ৰমে সবণীকৃত করিয়া। আপনি প্ৰদীপ্ত হয়, দিল্ডমন্ডল আলোকিত করে, সস্থল জল কীটপতঙ্গ প্ৰফল্লি করে, তেমনি সেই শবদেহে জীবনের শোভার সঞ্চার হইতেছিল। আহা কি শোভা ! ভবানন্দ তাই ভাবিতেছিল, সেও কথা কহিল না। কল্যাণীর রাপে তাহার হৃদয় কাতর হইয়াছিল, শান্তির রাপের উপর সে দিল্টিপাত করিল না। শান্তি তখন গহান্তরে গেল। জিজ্ঞাসা করিল, “এটা কার ঘর ?” গোবদ্ধন বলিল, “জীবানন্দ ঠাকুরের।” শান্তি। সে আবার কে ? কৈ, কেউ ত এখানে নেই ? গোব। কোথায় গিয়াছেন, এখনি আসিবেন । শান্তি। এই ঘরটি সকলের ভাল। গোব। তা এ ঘরাটা তা হবে না।

  • ान्ड । कन् ?

গোব। জীবানন্দ ঠাকুর এখানে থাকেন। শান্তি । তিনি না হয়। আর একটা ঘর খাঁজে নিন। গোব। তা কি হয় ? যিনি এ ঘরে আছেন, তিনি কত্তা বলিলেই হয়, যা করেন। তাই হয়। শান্তি। আচ্ছা তুমি যাও, আমি সস্থান না পাই, গাছতলায় থাকিব। এই বলিয়া গোবিন্দর্ধনকে বিদায় দিয়া শানিত সেই ঘরের ভিতর প্রবেশ করিল। প্রবেশ করিয়া জীবানন্দের অধিকৃত কৃষ্ণাজিন বিস্তারণ পাকবািক, প্রদীপটি উত্তজবল করিয়া লইয়া, জীবানন্দের একখানি পথি লইয়া পড়িতে আরম্ভ করিলেন। কিছশক্ষণ পরে জীবানন্দ আসিয়া উপস্থিত হইলেন। শান্তির পরিষবেশ, তথাপি দেখিবামাত্র জীবানন্দ তহিকে চিনিতে পারিলেন । বলিলেন, “এ কি এ ? F\op" শান্তি ধীরে ধীরে পথিখানি রাখিয়া, জীবানন্দের মািখপানে চাহিয়া বলিল, “শান্তি কে মহাশয় ?” জীবানন্দ অবাক- শেষ বলিলেন, “শান্তি কে মহাশয় ? কেন, তুমি শান্তি নাও ?” শান্তি ঘণার সহিত বলিল, “আমি নবীনানন্দ গোস্বামী৷” এই কথা বলিয়া সে আবার পথি পড়িতে মন দিল। জীবানন্দ উচ্চ হাস্য করিলেন : বলিলেন, “এ নািতন রঙ্গ বটে। তার পর, নবীন নিন্দ, এখানে কি মনে ক’রে এসেছ ?” শান্তি বলিল, “ভদ্রলোকের মধ্যে এই রীতি প্রচলিত আছে যে, প্রথম আলাপে ‘আপনি’ “মহাশয়” ইত্যাদি সম্বোধন করিতে হয়। আমিও আপনাকে অসম্পমান করিয়া কথা কহিতেছি। না, -তবে আপনি কেন আমাকে ‘তুমি তুমি’ করিতেছেন ?” “যে আজ্ঞে” বলিয়া জীবানন্দ গ’ল৷যি কাপড় দিয়া জোড়হাত করিয়া বলিল, “এক্ষণে বিনীতভাবে ভূত্যের নিবেদন, কি জন্য ভরাইপার হইতে, এ দীনভবনে মহাশয়ের শভোগমন হইয়াছে, আজ্ঞা করবেন।” শান্তি অতি গম্ভীরভাবে বলিল, “ব্যঙ্গেরও প্রয়োজন দেখিতেছি না। ভরইপর আমি চিনি না। আমি সন্তানধৰ্ম্মম গ্রহণ করিতে আসিয়া আজি দীক্ষিত হইয়াছি।” জী। অা সকবনাশ! সত্য না কি ? LLL BBD BD DS BBBDDBD DDD DDS জী। তুমি যে সত্ৰীলোক! শা। সে কি ? এমন কথা কোথা পাইলেন ? জী। আমার বিশ্ববাস ছিল, আমার ব্রাহ্মণী সত্ৰীজাতীয় । শা। ব্রাহ্মণী ? আছে না কি ? জী। ছিল তা জানি । শা। আপনার বিশবাস যে, আমি আপনার ব্রাহ্মণী ? জীবানন্দ আবার জোড়হাত করিয়া গলায় কাপড় দিয়া অতি বিনীতভাবে বলিল, “আজ্ঞে হাঁ মহাশয়!” Գ Cէ (է