পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দগেশনন্দিনী আশমানি বলিল, “আমি একটি উপকথা বলি শািন। যতক্ষণ আমি উপকথা বলিব, ততক্ষণ তুমি ভাত মাখিবে, নইলে আমি খাইব না।” দি। আচ্ছা। আশামানি এক রাজা আর তাহার দিয়ে শয়ো দই রাণীর থলপ আরম্ভ করিল। দিগগজ হাঁ করিয়া তাহার মািখপানে চাহিয়া শনিতে লাগিল-আর ভাত মাখিতে লাগিল। শনিতে শনিতে দিগগজের মন আশমানির গলেপ ডুবিয়া গেল-আশামানির হাসি, চাহনি ও নাথের মাঝখানে আটকাইয়া রহিল। ভাত মাখা বন্ধ হইল-পাতে হাত লাগিয়া রহিল—কিন্তু ক্ষধার যাতনা আছে। যখন আশমানির গলপ বড় জমিয়া আসিল—দিগগজের মন তাহাতে বড়ই নিবিভ্ৰাট হইল—তখন দিগঙ্গজের হাত বিশ্ববাসঘাতকতা করিল। পাত্ৰস্থ হােত, নিকটস্থ মাখা ভাতের গ্রাস তুলিয়া, চুপি চুপি দিগগজের মখে লইয়া গেল। মখ হাঁ করিয়া তাহা গ্রহণ করিল। দন্ত বিনা। আপত্তিতে তাহা চৰ্ব্ববাণ করিতে আরম্ভ করিল। রসনা তাহা গলাধঃকরণ করাইল । নিরীহ দিগগজের কোন সাড়া ছিল না। দেখিয়া আশামানি খিল খিল করিয়া হাসিয়া উঠিল। বলিল, “তবে রে বিটলে—আমার এটো না কি খাবি নে ?” তখন দিগগজের চেতনা হইল। তাড়াতাড়ি আর এক গ্রাস মখে দিয়া গিলিতে গিলিতে এটো হাতে আশামানির পায়ে জড়াইয়া পড়িল। চৰবাণ করিতে করিতে কাঁদিয়া বলিল, “আমায় রাখ ; আশমান! কাহাকেও বলিও না।” চতুর্দশ পরিচ্ছেদ : দিগগজহরণ এমন সময় বিমলা আসিয়া, বাহির হইতে দবার নাড়িল। বিমলা পাশ্যবাদবার হইতে অলক্ষ্যে সকল দেখিতেছিল। দবারের শব্দ শনিয়া দিগগজের মািখ শকাইল। আশামানি বলিল, “কি সববনাশ, বিমলা আসিতেছে—লকেও লকেও।” দিগগজ ঠাকুর কাঁদিয়া কহিল, “কোথায় লকাইব ?” আশামানি বলিল, “ঐ অন্ধকার কোণে একটা কেলে-হাঁড়ি মাথায় দিয়া বসো গিয়া-অন্ধকারে ঠাওর পাইবে না।” দিগগজ। তাহাই করিতে গেল—আশামানির বন্ধির তীক্ষতায় বিস্মিত হইল। দভাগ্যবশতঃ তাড়াতাড়িতে ব্ৰাহ্মণ একটা অড়হর ডালের হাঁড়ি পাড়িয়া মাথায় দিল-- তাহাতে আধ হাঁড়ি রাঁধা অড়হর ডাল ছিল—দিগগজ যেমন হাঁড়ি উলটাইয়া মাথায় দিবেন, অমনি মস্তক হইতে অড়হর ডালের শতধারা বহিল—টিকি দিয়া অড়হর ডালের স্রোত নামিল— স্কন্ধ, বক্ষ, পাঠ ও বাহ হইতে অড়হর ডালের ধারা পৰ্ব্ববত হইতে ভুতলগামিনী নদীসকলের ন্যায় তরঙ্গে তরঙেগ নামিতে লাগিল; উচ্চ নাসিকা অড়হরের প্রস্রবণবিশিস্ট গিরিশাঙ্গের ন্যায় শোভা পাইতে লাগিল। এই সময়ে বিমলা গহপ্রবেশ করিয়া দিগগজের শোভারাশি সন্দশন করিতে লাগিলেন। দিগগজ বিমলাকে দেখিয়া কাঁদিয়া উঠিল। দেখিয়া বিমলার দয়া হইল। বিমলা বলিলেন, “কাঁদিও না। তুমি যদি এই অবশিস্ট ভাতগালি খাও, তবে আমরা কাহারও সাক্ষাতে এ সকল কথা বলিব না।” ব্রাহ্মণ তখন প্ৰফল্প হইল; প্রফতুল্ল বদনে পানশাচ আহারে বসিল—ইচ্ছা, অঙ্গের অড়হর ডালট কুও মাছিয়া লয়, কিন্তু তাহা পারিল না, কিংবা সাহস করিল না। আশামানির জন্য যে ভাত মাখিয়াছিল, তাহা খাইল। বিনম্ৰাট অড়হরের জন্য অনেক পরিতাপ করিল। আহার সমাপন্যান্তে আশামানি তাহাকে স্নান করাইল। পরে ব্রাহ্মণ সিথর হইলে বিমলা কহিলেন, “রসিক ! একটা বড় ভারি কথা আছে।” রসিক কহিলেন, “কি ?” বি। তুমি আমাদের ভালবাস ? ा । दार्गठन ८न् ? বি। দই জনকেই ? দি। দই জনকেই। दि । या दर्शाळ, उा श्राद्धांत? नि। १ाद्धिव ना ? Գ Օ