TITSElfað এদিকে ভবানন্দ মনে মনে গর-গর করিতেছে ; ভাবিতেছে, কবে এই কাপেতন টমাস সাহেব বাহাদরের মাথাটি কাটিয়া, দ্বিতীয় সম্বরারি বলিয়া উপাধি ধারণ করবে। ইংরেজ যে ভারতবষের উদ্ধারসাধন জন্য আসিয়াছিল, সন্তানেরা তাহা তখন বঝে নাই। কি প্রকারে বঝিবে ? কাপেতন টমাসের সমসাময়িক ইংরেজেরাও তাহা জানিতেন না। তখন কেবল বিধাতার মনে মনেই এ কথা ছিল। ভবানন্দ ভাবিতেছিলেন, এ আসরের বংশ এক দিনে নিপাত করিব; সকলে জমা হউক, একটা অসতক হউক, আমরা এখন একটি তফাৎ থাকি। সতরাং ত্যাহারা একটা তফাৎ রহিল। কাপেতন টমাস সাহেব নিম্ভকৰ্ণাটক হইয়া দ্ৰৌপদীর গণগ্রহণে মনোযোগ দিলেন সাহেব বাহাদর শিকার বড় ভালবাসেন, মধ্যে মধ্যে শিবগ্রামের নিকটবত্তীর্ণ অরণ্যে মািগয়ায় বাহির হইতেন। এক দিন ডনিওয়াথ সাহেবের সঙ্গে অশবারোহণে কতকগলি শিকারী লইয়া কাপেতন টমাস শিকারে বাহির হইয়াছিলেন। বলিতে কি, টমাস সাহেব অসমসাহসিক, বলবীয্যে ইংরেজ-জাতির মধ্যেও অতুল্য। সেই নিবিড় অরণ্য ব্যাঘ, মহিষ, ভল্লকাদিতে অতিশয় ভয়ানক । বহ দীর আসিয়া শিকারীরা আর যাইতে অস্বীকৃত হইল, বলিল, ভিতরে আর পথ নাই, আমরা আর যাইতে পারিব না। ডনিওয়াথ সাহেবও সেই অরণ্যমধ্যে এমন ভয়ঙকর ব্যান্ত্রের হাতে পড়িয়াছিলেন যে, তিনিও আর যাইতে অনিচ্ছক হইলেন। তাঁহারা সকলে ফিরিতে চাহিলেন। কাপ্তেন টমাস বলিলেন, “তোমরা ফেরো, আমি ফিরিব না।” এই বলিয়া কাপেতন সাহেব নিবিড় অরণ্যমধ্যে প্রবেশ করিলেন। বস্তুতঃ অরণ্যমধ্যে পথ ছিল না। আশব প্রবেশ করিতে পারিল না। কিন্তু সাহেব ঘোড়া ছাড়িয়া দিয়া, কাঁধে বন্দক লইয়া এক অরণ্যমধ্যে প্রবেশ করিলেন। প্রবেশ করিয়া ইতস্ততঃ ব্যান্ত্রের অন্বেষণ করিতে করিতে ব্যাঘ্ৰ দেখিলেন না। কি দেখিলেন ? এক বহৎ বােক্ষতলে প্রস্ফটিত ফািল্লকুসমযক্তি লতাগালমাদিতে বেটিত হইয়া বসিয়া ও কে ? এক নবীন সন্ন্যাসী, রাপে বন আলো করিয়াছে। প্রস্ফটিত ফল যেন সেই সবগীয় ব্যপাের সংসগে অধিকতর সগন্ধযক্ত হইয়াছে। কাপেতন টমাস সাহেব বিস্মিত হইলেন, বিস্ময়ের পবেই তাঁহার ক্ৰোধ উপস্থিত হইল। কাপেতন সাহেব দেশী ভাষা বিলক্ষণ জানিতেন, বলিলেন, “টমি কে ?” সন্ন্যাসী বলিল, “আমি সন্ন্যাসী ।” কাপেতন বলিলেন, “টমি rebel ||” সন্ন্যাসী । সে কি ? কাপেতন । হামি টোমায় গলি করিয়া মাড়িব । সন্ন্যাসী । মার। কাপেতন একটা মনে সন্দেহ করিতেছিলেন যে, গলি মারিবেন কি না, এমন সময় বিদ্যুদ্বেগে সেই নবীন সন্ন্যাসী তাঁহার উপর পাড়িয়া তাঁহার হােত হইতে বন্দক কাড়িয়া লইল। সন্ন্যাসী বক্ষাবরণচম্পম খলিয়া ফেলিয়া দিল। এক টানে জটা খলিয়া ফেলিল; কাপেতন টমাস সাহেব দেখিলেন, অপবর্ব সন্দেরী স্ত্রীমত্তি। সন্দরী হাসিতে হাসিতে বলিল, “সাহেব, আমি সত্ৰীলোক, কাহাকেও আঘাত করি না। তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করিতেছি, হিন্দমোছলমানে মারামারি হইতেছে, তোমরা মাঝখানে কেন ? আপনার ঘরে ফিরিয়া যাও।” সাহেব । তুমি কে ? শান্তি। দেখিতেছি সন্ন্যাসিনী । যাঁহাদের সঙ্গে লড়াই করিতে আসিয়ােছ, তাঁহাদের কাহারও সত্ৰী । সাহেব। টমি হামারা গোড়েk ঠাকিব ? শান্তি। কি ? তোমার উপপত্নীস্বরপ ? সাহেব। ইন্ডিট্রর মািট ঠাকিটে পাড়, লেগেন সাদি হইব না। শান্তি। আমারও একটা জিজ্ঞাসা আছে; আমাদের ঘরে একটা র্যাপী বাঁদর ছিল, সেটা সম্প্রতি মরে গেছে; কোটির খালি পড়ে আছে। কোমরে ছেকল দেবো, সেই কোটিরে থাকবে ? আমাদের বাগানে বেশ মত্তমান কলা হয়।
- ঘরে ।
Գ G Հ)
