পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

72ान्मा०ाछ রহিয়াছে। সেই মাঘ মাসের পণিমার রাত্রে, দারণ শীতে, উত্তজবল জ্যোৎস্নালোকে রণভূমি আতি ভয়ঙ্কর দেখাইতেছিল। সেখানে আসিতে কাহারও সাহস হয় না। কাহারও সাহস হয় না, কিন্তু নিশীথকালে এক রমণী সেই অগম্য রণক্ষেত্রে বিচরণ করিতেছিল। একটি মশাল জব্রালিয়া সেই শবরাশির মধ্যে সে কি খাজিতেছিল। প্রত্যেক মািতদেহের মাখের কাছে মশাল লইয়া মািখ দেখিয়া, আবার অন্য শবের কাছে মশােল লইয়া যাইতেছিল। কোথায়, কোন নরদেহ মত অশেবর নীচে পড়িয়াছে; সেখানে যাবতী, মশাল মাটিতে রাখিয়া, আশাবটি দই হাতে সরাইয়া নরদেহ উদ্ধার করিতেছিল। তার পর যখন দেখিতে পায় যে, যাকে খাজিতেছি, সে নয়, তখন মশাল তুলিয়া সরিয়া যায়। এইরপ অন্যসন্ধান করিয়া, যাবতী সকল মাঠ ফিরিল—যা খাজে, তা কোথাও পাইল না। তখন মশাল ফেলিয়া, সেই শবরাশিপােণ রধিরাক্ত ভূমিতে লাটাইয়া পড়িয়া কাঁদিতে লাগিল। সে শান্তি; জীবানন্দের দেহ খণ্ড,জিতেছিল। শান্তি লাটাইয়া পড়িয়া কাঁদিতে লাগিল, এমন সময় এক অতি মধর সকরণধবনি তাহার কণরন্ধুে প্রবেশ করিল। কে যেন বলিতেছে, “ ওঠা মা ! কাঁদিও না।” শান্তি চাহিয়া দেখিল— দেখিল, সম্মখে জ্যোৎস্নালোকে দাঁড়াইয়া, এক অপব্ব দশ্য প্রকান্ডাকার জটাজটধারী মহাপরিষ। শান্তি উঠিয়া দাঁড়াইল। যিনি আসিয়াছিলেন, তিনি বলিলেন, “কাঁদিও না মা ! জীবানন্দের দেহ আমি খাজিয়া দিতেছি, তুমি আমার সঙ্গে আইস।” তখন সেই পরিষ শান্তিকে রণক্ষেত্রের মধ্যস্থলে লইয়া গেলেন; সেখানে অসংখ্য শবরাশি উপৰ্য্যুপরি পড়িয়াছে। শান্তি তাহা সকল নাড়িতে পারে নাই। সেই শাররাশি নাড়িয়া, সেই মহাবলবান পরীষ এক মতদেহ বাহির করিলেন। শান্তি চিনিল, সেই জীবানন্দের দেহ। ক্ষতবিক্ষত, রধিরে পরিপালত । শান্তি সামান্যা সত্ৰীলোকের ন্যায় উচ্চৈঃস্বরে কাঁদিতে গলে । আবার তিনি বলিলেন, “কাঁদিও না মা ! জীবানন্দ কি মরিয়াছে ? সিথর হইয়া উহার দেহ পরীক্ষা করিয়া দেখ। আগে নাড়ী দেখি।” শান্তি শবের নাড়ী টিপিয়া দেখিল, কিছমাত্র গতি নাই। সেই পরিষ বলিলেন, “বকে হাত দিয়া দেখা ।” যেখানে হৃৎপিণড, শান্তি সেইখানে হাত দিয়া দেখিল, কিছমাত্র গতি নাই; সব শীতল। সেই পরিষ আবার বলিলেন, “নাকের কাছে হাত দিয়া দেখ—কিছমাত্র নিঃশবাস বহিতেছে কি ? নিত দেখিল, কিছমাত্র না। সেই পরিষ বলিলেন, “আবার দেখ, মাখের ভিতর আগুগল দিয়া দেখ– কিছমাত্র উষ্ণতা আছে কি না ? শান্তি আগুগল দিয়া দেখিয়া বলিল, “বঝিতে পারিতেছি না।” শান্তি আশামগধ হইয়াছিল। মহাপরিষ বাম হস্তে জীবানন্দে <! দেহ স্পর্শ করিলেন। বলিলেন, “তুমি ভয়ে হতাশ হইয়ােছ। তাই বঝিতে পারিতেছি না।--শরীরে কিছ, তাপ এখনও আছে বোধ হইতেছে। আবার দেখ দেখি।” শান্তি তখন আবার নাড়ী দেখিল, কিছ গতি আছে। বিস্মিত হইয়া হৃৎপিন্ডের উপরে হােত রাখিল—একটা ধক ধিক করিতেছে! ন্যাকের আগে অঙ্গলি রাখিল—একট, নিঃশবাস বাহিতেছে! মাখের ভিতর অলপ উষ্ণতা পাওয়া গেল। শান্তি বিস্মিত হইয়া বলিল, “প্রাণ ছিল কি ? না আবার আসিয়াছে ?” তিনি বলিলেন, “তাও কি হয়। মা ! তুমি উহাকে বহিয়া পম্প্রকারিণীতে আনিতে পরিবে ? আমি চিকিৎসক, উহার চিকিৎসা করিব।” শান্তি অনায়াসে জীবানন্দকে কোলে তুলিয়া পকুরের দিকে লইয়া চলিল। চিকিৎসক বলিলেন, “তুমি ইহাকে পাকুরে লইয়া গিয়া রক্তসকল ধাইয়া দাও। আমি ঔষধ লইয়া যাইতেছি।” শান্তি জীবানন্দকে পঙ্করিণীতীরে লইয়া গিয়া রক্ত ধৌত করিল। তখনই চিকিৎসক বন্য লতা-পাতার প্রলেপ লইয়া আসিয়া সকল ক্ষত্মখে দিলেন, তার পর, বারংবার জীবানন্দের CA bio 6 GO