वर्ग७ञ ज्ञानाव् মা গেল, কিন্তু প্ৰফল্লি গেল না। যেমন ঘোমটা দেওয়া ছিল, তেমনই ঘোমটা দিয়া দাঁড়াইয়া রহিল। শাশড়ী বলিল, “তোমার মা গেল, তুমিও যাও।” প্ৰফল্লা নড়ে না। গিন্নী । নড় না যে ? প্ৰফল্লা নড়ে না। গিন্নী । কি জবালা ! আবার কি তোমার সঙেগ একটা লোক দিতে হবে না কি ? এবার প্রফল্পে মাখের ঘোমটা খলিল; চাঁদপােনা মাখ, চক্ষে দর-দর ধারা বহিতেছে। শাশড়ী মনে মনে ভাবিলেন, “আহা! এমন চাঁদপানা বৌ নিয়ে ঘর করতে পেলেম না!” মন একটি নরম হলো। প্ৰফল্লি অতি অসফটস্বরে বলিল, “আমি যাইব বলিয়া আসি নাই।” গিন্নী। তা কি করিব মা—আমার কি অসাধ যে, তোমায় নিয়ে ঘর করি ? লোকে পাঁচ কথা বলে—একঘরে করবে বলে, কাজেই তোমায় ত্যাগ করতে হয়েছে। न्शे প্ৰফল্প। মা, একঘরে হবার ভয়ে কে কবে সন্তান ত্যাগ করেছে ? আমি কি তোমার সন্তান P শাশড়ীর মন আরও নরম হলো। বলিলেন, “কি করব মা, জেতের ভয়।” প্রফতুল্ল পববািবং অসফটস্বরে বলিল, “হলেম যেন আমি অজাতি—কত শব্দ্র তোমার ঘরে দাসীপনা করিতেছে-আমি তোমার ঘরে দাসীপনা করিতে দোষ কি ?” গিন্নী আর যঝিতে পারিলেন না। বলিলেন, “তা মেয়েটি লক্ষয়ী, রাপেও বটে, কথায়ও বটে। তা যাই দেখি কত্তার কাছে, তিনি কি বলেন । তুমি এখানে বসো মা, বসে।” প্রফতুল্ল তখন চাপিয়া বসিল। সেই সময়ে, একটি কপাটের আড়াল হইতে, একটি চতুন্দশবষণীয়া বালিকা—সেও সন্দরী, মাখে আড়ঘোমটা-সে। প্ৰফল্লিকে হাতছানি দিয়া ডাকিল। প্রফতুল্ল ভাবিল, এ আবার কি ? উঠিয়া বালিকার কাছে গেল। তৃতীয় পরিচ্ছেদ যখন গাহিণী ঠাকুরাণী হেলিতে দলিতে হাতের বাউটির খিল খাঁটিতে খাটিতে কত্তা মহাশয়ের নিকেতনে সমপস্থিতা, তখন কৰ্ত্তা মহাশয়ের ঘােম ভাঙ্গিয়াছে; হাতে মাখে। জল দেওয়া হইয়াছে—হােত মািখ মোছা হইতেছে। দেখিয়া, কত্তার মনটা কাদা করিয়া ছানিয়া লাইবার জন্য গহিণী ঠাকুরাণী বলিলেন, “কে ঘািম ভাঙ্গাইল ? আমি এত ক'রে বারণ করি, তব কেউ শোনে না!” কত্তা মহাশয় মনে মনে বলিলেন, “ঘম ভাতগাইবার অাঁধা তুমি নিজে—আজি বঝি কি দরকার আছে?” প্রকাশ্যে বলিলেন, “কেউ ঘাম ভাণ্ডগায় নাই। বেস ঘামাইয়াছি-কথাটা কি ?” ಕ್ಲೈ! মখখানা হাসি-ভরাভরা করিয়া বলিলেন, “আজ একটা কান্ড হয়েছে। তাই বলতে «ՂԾ||Եշ l এইরােপ ভূমিকা করিয়া এবং একটি একটা নথ ও বাউটি নাড়া দিয়া—কেন না, বয়স এখনও পয়ােতাল্লিশ বৎসর মাত্ৰ—গহিণী, প্ৰফল্লি ও তার মাতার আগমন ও কথোপকথন বাত্তান্ত আদ্যোপােন্ত বলিলেন। বিধাের চাঁদপানা মািখ ও মিন্ট কথাগালি মনে করিয়া, প্রফতুল্লর দিকে অনেক টানিয়া বলিলেন। কিন্তু মন্ত্র তন্ত্র কিছই খাটিল না। কৰ্ত্তার মাখ বৈশাখের মেন্সের মত অন্ধকার হইয়া উঠিল। তিনি বলিলেন, “এত বড় সাপদ্ধা! সেই বাগদী বেটী আমার বাড়ীতে ঢোকে ’ এখনই ঝাঁটা মেরে বিদায় কর।” গিন্নী বলিলেন, “ছি! ছি! আমন কথা কি বলতে আছে—হাজার হোক, বেটার বউ— আর বাগদীর মেয়ে বা কিরাপে হলো ? লোকে বললেই কি হয় ?” গিন্নী ঠাকুরাণ হার কােত নিয়ে খেলতে বসেছেন—কাজে কাজেই এই রকম বদ রঙগ চালাইতে লাগিলেন। কিছতেই কিছর হইল না। “বাগদী বেটীকে ঝাঁটা মেরে বিদায় কর।” এই হকুমই বাহাল রহিল। গিন্নী শেষে রাগ করিয়া বলিলেন, “ঝাঁটা, মারিতে হয়, তুমি মার ; আমি আর তোমার CA Nd NR