ब७दकाश ज्ञष्न्बव्ी পাচার করিবার চেন্টায় রহিল। কথার তামাশা পরে হবে—খাবার তামাশা আগে । তাহার জন্য ঘরে ঘরে কমিটি বসিয়া গেল। বহতর কৃত্ৰিম আহাৰ্য্য, পানীয়, ফল-মল প্রস্তুত হইতে লাগিল । মধ্যর অধীরগলি মধর হাসিতে ও সাধের মিশিতে ভরিয়া যাইতে লাগিল । কিন্তু যার জন্য এত উদ্যোগ, তার মনে সখি নাই। বুজেশবব আমোদ-আহgাদের জন্য শবশরালয়ে আসেন নাই। বাপের গ্রেপতারির জন্য পরওয়ানা বাহির হইয়াছে—রক্ষার উপায় নাই। কেহ টাকা ধার দেয় না। শবশরের টাকা আছে—বশীর ধার দিলে দিতে পারে, তাই ব্রজেশবর শবশরের কাছে আসিয়াছেন।
- বশরি বলিলেন, “বাপ হে, আমার যে টাকা, সে তোমারই জন্য আছে—আমার আর কে আছে, বল ? কিন্তু টাকাগলি যত দিন আমার হাতে আছে, তত দিন আছে, তোমার বােপকে দিলে কি আর থাকবে ? মহাজন খাইবে। অতএব কেন আপনার ধন আপনি নষ্ট করিতে 5T3 ?”
ব্রজেশবের বলিল, “হোঁক-আমি ধনের প্রত্যাশী নই।---আমার বােপকে বাঁচান। আমার প্রথম কােজ ।” শবশঙ্কর রক্ষভাবে বলিলেন, “তোমার বাপ বাঁচিলে আমার মেয়ের কি ? আমার মেয়ের টাকা থাকিলে দঃখ ঘাঁচবে—শবেশীর বাঁচিলে দঃখ ঘাঁচিবে না।” কড়া কথায় ব্ৰজেশবরের বড় রাগ হইল। ব্রজেশবের বলিলেন, “ তবে আপনার মেয়ে টাকা লইয়া থাকুক। বঝিয়াছি, জামাইয়ে আপনার কোন প্রয়োজন নাই। আমি জন্মের মত বিদায় হইলাম।” তখন সাগরের পিতা দই চক্ষ রক্তবর্ণ করিষা ব্ৰজেশবরকে বিস্তর তিরস্কার করিলেন। ব্রজেশবের কড়া কড়া উত্তর দিল। কাজেই ব্রজেশবের তলিপতলপা বাঁধিতে লাগিল। শনিয়া, সাগরের মাথায় বজাঘাত হইল। সাগরের মা জামাইকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। জামাইকে অনেক বঝাইলেন। জামাইয়ের রাগ পড়িল না। তার পর সাগরের পালা। বধ শবশঙ্কুরবাড়ী আসিলে দিবসে স্বামীর সাক্ষাৎ পাওয়া সেকালে যতটা দািরহ ছিল, পিত্ৰালয়ে ততটা নয়। সাগরের সঙ্গে নিভৃতে ব্ৰজেশবরের সাক্ষাৎ হইল। সাগর রাজেশবরের পায় পড়িল, বলিল, “আর এক দিন থােক-আমি ত কোন অপরাধ করি নাই ?” ব্ৰজেশবরের তখন বড় রাগ ছিল—--রাগে পা টানিয়া লইলেন। রাগের সময় শারীরিক ক্লিয়া সকল বড় জোরে জোরে হয়, আর হাত-পাধের গতিও ঠিক অভিমতরূপ হয় না। একটা করিতে বিকৃতি জন্য আর একটা হইয়া পড়ে । সেই কারণে, আর কতকটা সাগরের ব্যস্ততার কারণ, পা সরাইয়া লইতে প্ৰমাদ ঘটিল। পা একটা জোরে সাগরের গারে লাগিল। সাগর মনে করিল, স্বামী রাগ করিয়া আমাকে লাথি মারিলেন। সাগর স্বামীবা পা ছাড়িয়া দিয়া কুপিত ফণিনীর ন্যায় দাঁড়াইয়া উঠিল । বলিল, “কি ? আমার লাথি মারিলে ?” বাস্তবিক ব্ৰজেশবরের লাথি মারিবার ইচ্ছা ছিল না, –তাই বলিলেই মিটিয়া যাইত। কিন্তু একে রাগের সময়, আবার সাগর চোখ-মাখ ঘাঁবোইয়া দড়িাইল,— বুজেশববের রাগ বাড়িয়া গেল। বলিলেন, “যদি মারিয়াই থাকি ? তুমি না হয় বড়মানষের মেয়ে, কিন্তু পা আমার—তোমার বড়মানিষ বাপও এ পা একদিন পজা করিয়াছিলেন।” সাগর রাগে জ্ঞান হারাইল। বলিল, “বাক:মারি করিয়াছিলেন । আমি তার প্রায়শিচত্ত করিব।” ব্র। পালটে লাথি মারবে না কি ? সা। আমি ত'ত অধম নাহি। কিন্তু আমি যদি ব্রাহ্মণের মেয়ে হই, তবে তুমি আমার পা— সাগরের কথা ফরাইতে না ফরাইতে পিছনের জানােলা হইতে কে বলিল, “আমার পা কোলে লইয়া চাকরের মত টিপিয়া দিবে।” সাগরের মখে সেই রকম কি কথা আসিতেছিল। সাগর না ভাবিয়া চিন্তিয়া, পিছন ফিরিয়া না দেখিয়া রাগের মাথায় সেই কথাই বলিল, “আমার পা কোলে লইয়া চাকরের মত টিপিয়া দিবে।” ব্রজেশবেরও রাগে সপ্তমে চড়িয়া কোন দিকে, না চাহিয়া বলিল, “আমারও সেই কথা। যত b ミミ
