পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৮২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७दक ब्रष्नाबव्ी দেবী ততক্ষণ ছাদের উপর বসিয়া জ্যোৎস্নালোকে বীণা বাজাইতেছিল। তখন বাজনােটা বড় ভাল হইতেছিল না।--বেসর, বেতাল, কি বাজিতে কি বাজে-দেবী অন্যমনা হইতেছিল। তার পরে যাই ছিপ ফিরিল, দেবী আমনি নামিয়া কামরার ভিতরে প্রবেশ করিয়াছিল। এদিকে রঙগরাজ ছিপ হইতে কামরার দাবারে আসিয়া দাঁড়াইয়া, “রাণীজি-কি জয়” বলিল। দবারে রেশমী পদার্তা ফেলা আছে—ভিতর দেখা যায় না। ভিতর হইতে দেবী জিজ্ঞাসা করিল, “কি সংবাদ ?” রঙগ । সব মঙগল । দেবী । তোমাদের কেহ জখম হইয়াছে ? রঙগ । কেহ না । দেবী। তাহদের কেহ খান হইয়াছে। রঙগ । কেহ না—আপনার আজ্ঞামত কাজ হইয়াছে। দেবী। তাহদের কেহ জখম হইয়াছে ? রঙগ। দইটা হিন্দ স্থানী দই একটা অচিড় খেয়েছে। কাঁটা ফোটার মত। দেবী । মাল ? রঙ্গ। সব আনিয়াছি। মাল এমন কিছ. ছিল না। দেবী। বাবা ? রঙগ। বাবকে ধরিয়া আনিয়াছি। দেবী । হাজির কর । রঙগরাজ তখন ব্রজেশবরকে ইঙিগত করিল। ব্রজেশবের ছিপ হইতে উঠিয়া আসিয়া দবারে দড়িাইল । দেবী জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি কে ?” দেবীর যেন বিষম লাগিয়াছে—গলার আওয়াজটা বড় সাফ নয় । ব্রজেশবের যেরপে লোক, পাঠক এতক্ষণে বঝিয়াছেন বোধ হয়। ভয় কাহাকে বলে, তাহা তিনি বালককাল হইতে জানেন না। যে দেবী চৌধরাণীর নামে উত্তর-বাঙগালা কাঁপিত, তাহার কাছে আসিয়া ব্ৰজেশবরের হাসি পাইল। মনে ভাবিলেন, “মেয়েমানষেকে পরিষে ভয় করে, এ ত কখনও শনি নাই। মেয়েমানষে ত পােরনুষের বাঁদনী ।“ হাসিয়া ব্রজেশবের দেবীর কথায় উত্তর দিলেন, “পরিচয় লইয়া কি হইবে ? আমার ধানের সঙ্গে আপনাদিগের সম্পবন্ধ, তাহা পাইয়াছেন —নামে ত টাকা হইবে না।” ܪ ܘܐ দেবী। হইবে বৈ কি ? আপনি কি দরের লোক, তাহা জানিলে টাকার ঠিকানা হইবে। (তব, গলাটা ধরা ধরা)। ব্রজ। সেই জন্যই কি আমাকে ধরিয়া আনিয়াছেন ? দেবী। নাহিলে আপনাকে আমরা আনিতাম না। দেবী পদার আড়ালে; কেহ দেখিল না যে, দেবী এই কথা বলিবার সময় চোখ মছিল। ব্রজ । আমি যদি বলি, আমার নাম দঃখিরাম চক্ৰবত্তীর্ণ, আপনি বিশ্ববাস করিবেন কি ? 6ादी । न्मा । ব্রজ। তবে জিজ্ঞাসার প্রয়োজন কি ? দেবী। আপনি বলেন কি না, দেখিবার জন্য)। ব্রজ । আমার নাম কৃষ্ণগোবিন্দ ঘোষাল । দেবী । না। ব্রজ । দয়ারাম বক্সী । দেবী। তাও না। ব্রজ । ব্রিজেশবের রায় । দেবী ৷ হইতে পারে। এই সময়ে দেবীর কাছে আর একজন স্ত্রীলোক নিঃশব্দে আসিয়া বসিল। বলিল, “গলাটা ধ’রে গেছে যে ” দেবীর চক্ষের জল আর থাকিল না—বৰ্ষাকালের ফটেন্ত ফলের ভিতর যেমন বণ্টির জল পোরা থাকে, ডাল নাড়া দিলেই জল ছড়-ছােড় করিয়া পড়িয়া যায়, দেবীর চোখে তেমনি জল b'ミビ