দেবী চৌধরাণী ব্ৰ। আমি রাঢ়ী । পাঁচ। তবে তোমায় জল তুলিতে, কাঠ কাটিতে হইবে—আমি বারেন্দ্র। তুমি রাঢ়ী—কুলীন, | < ୧୪୩୪ ? ব্র। এ কথা ত বিবাহের সম্বন্ধের জন্যই প্রয়োজন হয়। সম্পবন্ধ জটিবে কি ? আমি কৃতদার। পাঁচ। কৃতদার ? কয় সংসার করিয়াছেন ? ব্র। জল তুলিতে হয়—জল তুলিব—অত পরিচয় দিব না। তখন পাঁচকড়ি দেবী রাণীকে ডাকিয়া বলিল, “রাণী জি! বামন ঠাকুর বড় অবাধ্য কথার উত্তর দেয় না।” নিশি অপর কক্ষ হইতে উত্তর করিল, “বেত লাগাও।” তখন দেবীর একজন পরিচারিকা শপাৎ করিয়া একগাছা লিকলিকে সর, বেত বিছানায় ফেলিয়া দিয়া চলিয়া গেল। পাঁচকড়ি বেত পাইয়া ঢাকাই রমাণে ভিতর মধ্যর অধর চার দন্তে টিপিয়া বিছানায় বার দই বেতগাছা আছড়াইল ! ব্রজেশবরকে বলিল, “দেখিয়াছ ?” ব্রজেশবের হাসিল। বলিল, “আপনারা সব পারেন। কি বলিতে হইবে বলিতেছি।” পাঁচ। তোমার পরিচয় চাই না—পরিচয় লইয়া কি হইবে ? তোমার রান্না ত খাইব না। ব্র । হাকুম করন। পাঁচ। জল তুলিতে জান ? 3 a পাঁচ। কাঠ কাটিতে জান ? < | 2 | | পাঁচ। বাজার করিতে জান ? র। মোটামটি রকম। পাঁচ। মোটামটিতে চলিবে না। বাতাস করিতে জান ? ব্ৰ। পারি। পাঁচ। আচ্ছা, এই চােমর নাও, বাতাস কর । ব্রজেশবের চামার লইয়া বাতাস করিতে লাগিল। পাঁচকড়ি বলিল, “আচ্ছা, একটা কােজ জান ? পা টিপিতে জান ?” ব্ৰজেশবরের দািরদমটি, তিনি পাঁচকড়িকে মািখরা দেখিয়া, একটি ছোট রকমের রসিকতা করিতে গেলেন। এই দস্যনেত্রীদিগের কোন রকমে খসি করিয়া মন্তি লাভ করেন, সে অভিপ্রায়ও ছিল । অতএব পাঁচকড়ির কথার উত্তরে বলিলেন, “তোমাদের মত সন্দিরীর পা টিপিব, সে ত "" -- - 6 (ع “তবে একবার টেপ না” বলিয়া আমনি পাঁচকড়ি আলতাপরা রাঙ্গা পাখানি ব্ৰজেশবরের উরর উপর তুলিয়া দিল । ব্রজেশবের নােচার-আপনি পা টেপার নিমন্ত্ৰণ লইয়াছেন, কি করেন। ব্রজেশবের কাজেই দই হাতে পা টিপিতে আরম্ভ করিলেন । মনে করিলেন, “এ কাজটা ভাল হইতেছে না, ইহার প্রায়শিচত্ত করিতে হইবে। এখন উদ্ধার পেলে বাঁচি ৷ ” তখন দলেটা পাঁচকড়ি ডাকিল, “রাণীজি ! একবার। এদিকে আসন।” দেবী আসিতেছে, ব্রজেশবের পারোর শব্দ পাইল। পা নামাইয়া দিল। পাঁচকড়ি হাসিয়া বলিল, “সে কি ? পিছাও কেন ?” পাঁচকড়ি সহজ গলায় কথা কহিয়াছিল। ব্রজেশবের বড় বিসিমত হইলেন,-“সে কি ? এ গলা ত চেনা গলাই বটে।” সাহস করিয়া ব্রজেশবের পাঁচকড়ির মখঢাকা রােমালখানা খলিয়া লইলেন। পাঁচকড়ি খিল-খিল করিয়া হাসিয়া উঠিল। ব্রজেশবের বিস্মিত হইয়া বলিল, “সে কি ? এ কি ? তুমি-তুমি সাগর ?” পাঁচকড়ি বলিল, “আমি সাগর। গঙ্গা নাই—যমন নই।--বিল নাই—খাল নাই—সিাক্ষাৎ সাগর । তোমার বড় অভাগ্য—না ? যখন পরের সন্ত্রী মনে করিয়াছিলে, তখন বড় আহাদ করিয়া পা টিপিতেছিলে, আর যখন ঘরের সত্ৰী হইয়া পা টিপিতে বলিয়াছিলাম, তখন রাগে গরগর করিয়া SON
