नौडाब्राभ সীতারাম কিছশক্ষণ ভাবিলেন ; বলিলেন, “চল, আমি তোমাকে সঙেগ করিয়া লইয়া যাইতেছি।” শ্ৰী সহসা উঠিয়া বসিল। উন্মখী হইয়া স্থিরনেত্ৰে সীতারামের মািখপানে কিছফক্ষণ নীরবে: চাহিয়া রহিল। শেষে বলিল, “এত দিন পরে, এ কথা কেন ?” সীতা । সে কথা বঝান বড় দায়। নাই বঝিলে। শ্ৰী। না বঝিলে আমি তোমার সঙ্গে যাইব না। যখন তুমি ত্যাগ করিয়াছ, তখন আর আমি তোমার সঙ্গে যাইব কেন ? যাইব বই কি ? কিন্তু তুমি দয়া করিয়া আমাকে কেবল প্ৰাণে বাঁচাইবার জন্য যে, এক দিন আমাকে সঙ্গে লইয়া যাইবে, আমি সে দয়া চাহি না। আমি তোমার বিবাহিতা সত্ৰী, তোমার সব্বসেম্বর অধিকারিণী,-আমি তোমার শােধ দয়া লইব কেন ? যাহার আর কিছতেই অধিকার নাই, সেই দয়া চায়। না প্ৰভু, তুমি যাও,-আমি যাইব না। এত কাল তোমা বিনা যদি আমার কাটিয়াছে, তবে আজিও কাটিবে। সীতা। এসো, কথাটা আমি বঝাইয়া দিব। শ্ৰী। কি বঝাইবে ? আমি তোমার সহধৰ্ম্মিণী, সকলের আগে। তোমার আর দই সত্ৰী আছে, কিন্তু আমি সহধৰ্ম্মিমণী—আমি কুলটাও নই, জাতিভ্ৰমেটাও নই। অথচ বিনাপরাধে বিবাহের কয় দিন পরে হইতে তুমি আমাকে ত্যাগ করিয়ােছ। কখনও বল নাই যে, কি অপরাধে ত্যাগ করিয়ােছ। জিজ্ঞাসা করিয়াও জানিতে পারি নাই। অনেক দিন মনে করিয়াছি, তোমার এই অপরাধে আমি প্রাণত্যাগ করিব; তোমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত আমি করিয়া তোমাকে পাপ হইতে মন্ত করিব। সে পরিচয় তোমার কাছে আজ না পাইলে, আমি এখান হইতে যাইব না। সীতা। সে কথা সব বলিব। কিন্তু একটা কথা আমার কাছে আগে স্বীকার কর—— কথাগলি শনিয়া তুমি আমায় ত্যাগ করিয়া যাইবে না। শ্ৰী। আমি তোমায় ত্যাগ করিব ? সীতা । সত্বীকার কর, করিবে না। শ্ৰী। এমন কি কথা ? তবে না। শনিয়া আগে স্বীকার করি, কি প্রকারে ? সীতা। দেখ, সিপাহীদিগের বন্দকের শব্দ শোনা যাইতেছে। যাহারা পলাইতেছে, সিপাহীরা তাহদের পাছ ছটিয়াছে। এই বেলা যদি আইস, এখনও বোধ হয় তোমাকে নগরের বাহিরে লইয়া যাইতে পারি। আর মহত্তও বিলম্ব করিলে উভয়ে নষ্ট হইব। তখন শ্ৰী উঠিয়া সীতারামের সঙেগ চলিল । সপতম পরিচ্ছেদ সীতারাম নিবিবাঘের নগর পার হইয়া নদীকালে পাহছিলেন। পলায়নের অনেক বিঘয়। কাজেই বিলম্ব ঘটিয়াছিল। এক্ষণে রাত্ৰি হইসাছে। সীতারাম নক্ষত্ৰলোকে, নদীসৈকতে বসিয়া, শ্ৰীকে নিকটে বসিতে আদেশ করিলেন। শ্ৰী বসিলেন ; তিনি বলিতে লাগিলেন, “এখন যাহা শনিতে ইচ্ছা করিয়াছিলে, তাহা শোন। না। শনিলেই ভাল হইত। তোমার সঙ্গে আমার বিবাহের যখন কথাবাত্তা সিথর হয়, তখন আমার পিতা তোমার কোম্ঠী দেখিতে চাহিয়াছিলেন মনে আছে ? তোমার কোম্পাঠী ছিল না, কাজেই আমার পিতা তোমার সঙ্গে আমার বিবাহ দিতে অস্বীকৃত হইয়াছিলেন। কিন্তু তুমি বড় সন্দেরী বলিয়া আমার মা জিদ করিয়া তোমার সঙ্গে বিবাহ দিয়াছিলেন। বিবাহের মাসেক পরে আমাদের বাড়ীতে একজন বিখ্যাত দৈবজ্ঞ আসিল । সে আমাদের সকলের কোঠী দেখিল। তাহার নৈপণ্যে আমার পিতৃ ঠাকুর বড় আপ্যায়িত হইলেন। সে ব্যক্তি নন্টকোঠী উদ্ধার করিতে জানিত। পিতৃ ঠাকুর তাহাকে তোমার কোঠী প্রস্তুত করণে নিযক্ত করিলেন। দৈবজ্ঞ কোম্ঠী প্রস্তুত করিয়া আনিল। পড়িয়া পিতৃ ঠাকুরকে শনাইল; সেই দিন হইতে তুমি পরিত্যাজ্যা হইলে ।” শ্ৰী। কেন ? সীতা। তোমার কোম্ঠীতে বলবান চন্দ্র সবক্ষেত্রে অর্থাৎ ককটি রাশিতে থাকিয়া শনির ত্রিংশ।াংশগত হইয়াছিল। b"b"○
