পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बाँभ्का ब्राफ़नावव्ौं পাইল না। বিমলা প্রায় কক্ষদ্বার পশ্চাৎ করেন, এমন সময়ে একজন সৈনিক আসিয়া পশ্চাৎ হইতে তাঁহার হসন্ত ধারণা করিল। বিমলা ফিরিয়া দেখিলেন, রহিম সেখী ! সে বলিয়া উঠিল, “তবে পলাতক P আর কোথায় পলাবে ?” দ্বিতীয়বার রহিমের করকবলিত হওয়াতে বিমলার মািখ শকাইয়া গেল; কিন্তু সে ক্ষণকালমাত্র; তেজস্বিনী বন্ধির প্রভাবে তখনই মািখ। আবার হষোৎফল্প হইল। বিমলা মনে মনে কহিলেন, “ইহারই দ্বারা সবকৰ্ম্ম উদ্ধার করিব।” তাহার কথার প্রত্যুত্তরে কহিলেন, “চুপ কর, আন্সেত, বাহিরে আইস।” এই বলিয়া বিমলা রহিম সেখের হস্ত ধরিয়া বাহিরে টানিয়া আনিলেন ; রহিমও ইচ্ছাপাকবািক আসিল। বিমলা তাহাকে নিজনে পাইয়া বলিলেন, “ছি ছি ছি! তোমার এমন 'কৰ্ম্ম! আমাকে রাখিয়া তুমি কোথায় গিয়েছিলে ? আমি তোমাকে না তল্লাস করিয়াছি এমন সথান নাই।” বিমলা আবার সেই কটাক্ষ সেখজীর প্রতি নিক্ষেপ করিলেন। সেখজীর গোসা দরি হইল ; বলিল, “আমি সেনাপতিকে জগৎ সিংহের সংবাদ দিবার জন্য তল্লাস করিয়া বেড়াইতেছিলাম, সেনাপতির নাগাল না পাইয়া তোমার তল্লাসে ফিরিয়া আসিলাম, তোমাকে ছাদে না দেখিয়া নানা সস্থানে তল্লাস করিয়া বেড়াইতেছি।” বিমলা কহিলেন, “আমি তোমার বিলম্ব দেখিয়া মনে করিলাম, তুমি আমাকে ভুলিয়া গেলে, এজন্য তোমার তল্লাসে আসিয়াছিলাম। এখন আর বিলম্পেব কাজ কি ? তোমাদের দােগ অধিকার হইয়াছে; এই সময় পলাইবার উদ্যোগ দেখা ভাল।” রহিম কহিল, “আজি না, কাল প্রাতে, আমি না বলিয়া কি প্রকারে যাইব ? কাল প্রাতে সেনাপতির নিকট বিদায় লইয়া যাইব ।” বিমলা কহিলেন, “তবে চল, এই বেলা আমার অলঙ্কারাদি যাহা আছে, হস্তগত করিয়া রাখি ; নচেৎ আর কোন সিপাহি লািঠ করিয়া লইবে।” সৈনিক কহিল, “চল।” রহিমকে সমভিব্যাহারে লইবার তাৎপৰ্য্য এই যে, সে বিমলাকে অন্য সৈনিকের হসন্ত হইতে রক্ষা করিতে পারবে। বিমলার সতকতা অচিরাৎ প্রমাণীকৃত হইল। তাহারা কিয়ন্দর যাইতে না যাইতেই আর এক দল অপহরণাসক্ত সেনার সম্পমাখে পড়িল। বিমলাকে দেখিবামাত্র তাহারা কোলাহল করিয়া উঠিল, “ও রে, বড় শিকার মিলেছে রে!” রহিম বলিল, “আপনি আপন কৰ্ম্ম কর ভাই সব, এ দিকে নজর করিও না।” সেনাগণ ভােব বঝিয়া ক্ষান্ত হইল। একজন কহিল, “রাহিমা! তোমার ভাগ্য ভাল। এখন নবাব মাখের গ্রাস না কড়িয়া লয়।” রহিম ও বিমলা চলিয়া গেল। বিমলা রহিমকে নিজ শয়নকক্ষের নীচের কক্ষে লইয়া গিয়া কহিলেন, “এই আমার নীচের ঘর ; এই ঘরের যে যে সামগ্ৰী লাইতে ইচ্ছা হয়, সংগ্ৰহ করা: ইহার উপরে আমার শইবার ঘর, আমি তথা হইতে অলঙ্কারাদি লইয়া শীঘ্ৰ আসিতেছি।” এই বলিয়া তাহাকে এক গোছা চাবি ফেলিয়া দিলেন। রহিম কক্ষে দ্রব্য সামগ্ৰী প্রচুর দেখিয়া হৃস্টচিত্তে সিন্দক পেটারা খলিতে লাগিল। বিমলার প্রতি আর তিলাদধর্ক অবিশ্ববাস রহিল না। বিমলা কক্ষ হইতে বাহির হইয়াই ঘরের বহিন্দিকে শঙ্খল বদ্ধ করিয়া কুলপ দিলেন। রহিম কক্ষমধ্যে বন্দী হইয়া রহিল। বিমলা তখন উদ্ধৰ্ব্বশবাসে উপরের ঘরে গেলেন। বিমলা ও তিলোত্তমার প্রকোম্পঠ দাগের প্রান্তভাগে; সেখানে এ, পৰ্য্যন্ত অত্যাচারকারী সেনা আইসে নাই; তিলোত্তমা ও জগৎ সিংহ কোলাহলও শনিতে পাইয়াছেন কি না সন্দেহ। বিমলা অকস্মাৎ তিলোত্তমার কক্ষমধ্যে প্রবেশ না করিয়া কোঁত হল প্রযক্ত দবারমধ্যস্থ এক ক্ষদ্র রন্ধু হইতে গোপনে তিলোত্তমার ও রাজকুমারের ভাব দেখিতে লাগিলেন। যাহার যে সবভাব! এ সময়েও বিমলার কৌত হল। যাহা দেখিলেন, তাহাতে কিছ বিস্মিত হইলেন। তিলোত্তমা পালঙেক বসিয়া আছেন, জগৎ সিংহ নিকটে দাঁড়াইয়া নীরবে তাঁহার মখমন্ডল নিরীক্ষণ করিতেছেন। তিলোত্তম রোদন করিতেছেন ; জগৎসিংহও চক্ষ মাছিতেছেন। বিমলা ভাবিলেন, “এ বঝি বিদায়ের রোদান।” bታ bታ