পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৯১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভৈরবী । মরিলা কে ? মরিলা। আমি ছোট রাণীর দাসী । ভৈরবী । নগরপালের ঘরে এত রাত্ৰিতে কি করিতে আসিফাছিলি ? মরলো। মহারাণী পাঠাইয়াছিলেন। ভৈরবী । সম্মখে এই দেবমন্দির দেখিতেছিস ? মরলো। আজ্ঞা হাঁ । ভৈরবী । আমাদের সঙেগ উহার উপরে আয় । মরলো। যে আজ্ঞা । তখন দাই জনে, মরল্যাকে দই ত্রিশলোগ্রমধ্যবত্তিানী করিয়া মন্দিরমধ্যে লইযা গেলেন । দাবাদশ পরিচ্ছেদ চন্দ্রচড়া তকালঙ্কারের সে রাত্ৰিতে নিদ্রা নাই। কিন্তু সমস্ত রাত্রি নগর পরিভ্রমণ করিয়া দেখিয়াছেন যে, নগর বাক্ষার কোন উদ্যোগই নাই । গঙ্গারামকে সে কথা বলায়, গঙগাবাম তাঁহাকে কড়া কড়া বলিয়া হাঁকাইয়া দিয়াছিল। তখন তিনি অতিশয় অনন্তপতাঁচত্তে কুশাসনে বসিয়া সব রক্ষাকত্তা বিপত্তিভঞ্জন মধ্যসািদনকে চিন্তা করিতেছিলেন। এমন সমযে চাঁদশাহ ফকির আসিয়া গঙগারামের ভূষণাগমন বৰ্ত্তান্ত তাঁহাকে জানাইল। শনিয়া চন্দ্র চড়ে শিহরিয়া উঠিলেন। একবার মনে করিতেছিলেন যে, জনক'ত সিপাহী লইয়া গঙ্গারামকে ধরিয়া আবদ্ধ করিষা, নগর রক্ষার ভার অন্য লোককে দিবেন, কিন্তু ইহাও ভাবিলেন যে, সিপাহীরা তাঁহার বাধা নহে, গঙ্গারামের বাধ্য। অতএব সে সকল উদ্যম সফল হইবে না। মন্ময় থাকিলে কোন গোল উপস্থিত হইত না, সিপাহীরা মন্ময়ের আজ্ঞাকারী । মন্ময়কে বাহিরে পাঠাইয়া তিনি এই সকবনাশ উপস্থিত করিয়াছেন। ইহা বঝিতে পারিয়াই তিনি এত অন্যতাপপীড়িত হাইযা নিশ্চেভটবং কেবল অসরেনিসদন হরির চিন্তা করিতেছিলেন । তখন সহসা সম্মাখে প্রফতুল্লকান্তি ত্ৰিশািলধারিণী ভৈরবীকে দেখিলেন। সবিসময়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “মা, তুমি কে ?” ভৈরবী বলিল, “বাবা ” শত্র নিকটে, এ পরীর রক্ষার কোন উদ্যোগ নাই কেন ? তাই তোমাকে জিজ্ঞাসা করিতে আসিয়াছি।” মরিলার সঙ্গে কথা কহিয়াছিল ও চন্দ্রচাড়ের সঙ্গে কথা কহিতেছে, জয়ন্তী ! প্রশান শনিয়া চন্দ্রচড়ি আরও বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “মা, তুমি কি এই নগবেব <|ॐळ्ग्,ौ ।।' জয়ন্তী। আমি যে হই, আমার কথােব উত্তর দাও । নহিলে মঙ্গল হইবে না। চন্দ্ৰ। মা! আমার সাধ্য আর কিছ নাই। রাজা নগরবক্ষকের উপর নগর রক্ষার ভার দিয়াছিলেন, নগবরক্ষক নগর রক্ষা করিতেছে না। সৈন্য আমার বশ নহে । আমি কি করিব, আজ্ঞা করন । জয়ন্তী। নগবরক্ষকের সংবাদ আপনি কিছ জানেন ? কোন প্রকার অবিশবাসিত শহুনেন নাই ? চন্দ্র। শনিয়াছি। তিনি তোরাব খাঁর নিকট গিযাছিলেন। বোধ হয তাঁহাকে নগর সমপণ করিবেন। আমার দািবধ বুদ্ধিবশতঃ আমি তাহার কোন উপায় করি নাই। মা ! বোধ করিতেছি, আপনি এই নগরীর রাজলক্ষয়ী । দয়া করিয়া এ দাসকে ভৈরবীবেশে দশন দিয়াছেন । মা ! আপনি অপরিম্পলানতেজস্বিনী হইয়া আপনার - এই পরী রক্ষা করন। এই বলিয়া চন্দ্রচড় কৃতাঞ্জলিপিটে ভক্তিভাবে জয়ন্তকে প্ৰণাম করিলেন। -- তবে, আমিই এই পরী রক্ষা করিব।”এই বলিয়া জয়ন্তী প্রস্থান করিল। চন্দ্রচাড়ের মনে ভরসা হইল । জয়ন্তীরও আশার অতিরিক্ত ফললাভ হইয়াছিল। শ্ৰী বাহিরে ছিল । তােহ কে স৬োগ লাইযা জয়ন্তী গঙগারামের গাহাভিমখে চলিল । ܠ ܠ ܬ