পাতা:বঙ্গদর্শন-তৃতীয় খন্ড.djvu/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

’‘ ਾਨ਼... । , * • يبوسيييييييو কাঃ, ১২৮১ 1) MCASAMASAMMAASAA AAAS নয়ন ভরিয়া তোমায় দেখি । কেহ কথন দেখিয়াছে ? তুমি অনেক ধন উপার্জন করিয়াছ—কখন নয়ন ভরিয়া আত্মধন দেখিতে পাইয়াছ ? তুমি যশস্বী হইবার জন্য প্রাণপাত করিয়াছ— কিন্তু আত্ম্যশোরাশি দেখিয়া কবে তোমার নয়ন ভরিয়াছে ? রূপতৃষ্ণায় তুমি ইহ জীবন অতিবাহিত করিলে—যেখানে ফুলটি ফুটে,ফলটি দোলে,যেখানে পার্থীটি উড়ে, যেখানে মেঘ ছুটে, গিরিশৃঙ্গ উঠে, নদী বহে, জল ঝরে, তুমি সেইখানে রূপের অনুসন্ধানে ফিরিয়াছ—যেখানে বালক, প্রফুল্ল মুখমণ্ডল আন্দোলিত করিয়া হাসে, যেখানে যুবতী ব্রীড়াভরে ভাঙ্গা ভাঙ্গ হইয়া শঙ্কিতগমনে যায়, যেখানে প্রৌঢ় নিতান্ত স্ফুটিত মধ্যাহ্ন পদ্মিনীবৎ অকাতরে রূপের বিকাশ করে, i য়াছ; কখন নয়ন ভরিয়া রূপ দেখিয়াছ ? দেখ নাই কি,যে কুসুম দেখিতে দেখিতে শুকায়, ফল দেখিতে দেখিতে পাকে, শুকায়, চাদ ডুবে, নক্ষত্র নিবিয়া যায়। শিশুর হাসি রোগে হরণ করে, যুবতীর ত্রীড়া—কিসে না যায়? প্রৌঢ় বয়সে শুকাইয়া যায়। ইহা সংসারের দুরদৃষ্ট— | কেহ কিছু নয়ন ভরিয়া দেখিতে পায় না। অথবা এই সংসারের শুভদৃষ্ট— কেহ কিছু নয়ন ভরিয়া দেখিতে পায় না । গতিই সংসারের সুখ—চাঞ্চলাই কমলাকাস্তের দপ্তর। তুমি সেইখানেই রূপের সন্ধানে ফিরি পড়ে, পচে, গলে ; পাগী উড়িয়া যায়, । মেঘ চলিয়া যায়, গিরি ধূমে লুকায়, নদী রিমিত হইত। আমরা এখন বলিতে { 3b^ు f সংসারের সৌন্দৰ্য্য। নয়ন ভরে না । , সে নয়ন আমরা পাই নাই। পাইলে { ংসার দুঃখময় হইত ; পরিতৃপ্তি রাক্ষস } আমাদের সকল সুখকে গ্রাস করিত। i কোন কারিগর অভিসন্ধি করিয়া এই ! পরিবর্তনশীল সংসার, আর এই অতৃপ্য । নয়ন স্বজন করিয়াছিলেন কি না বলিতে পারি না ; কিন্তু যদি কারিগরের কারিগরি থাকে, তবে কারিগরির উপর কারিগরি, এই বাসন, নয়ন ভরিয়া তোমায় দেখি । জগৎ পরিবর্তনশীল, নয়নও } অতৃপ্য, অথচ বাসনা—নয়ন ভরিয়া । তোমায় দেখি । | হে রূপ! হে বাহ সৌন্দর্য্য! হে অস্তঃ- | প্রকৃতির সহিত সম্বন্ধবিশিষ্ট! কাছে আইস, | নয়ন ভরিয়া তোমায় দেখি। দূরে । বসিলে দেখা হইবে না কেন না দেখা কেবল নয়নে নহে । সংস্পর্শ বা নৈকট্য ব্যতীত মনের বৈজ্ঞাতী বহেন—আমরা সৰ্ব্ব শরীরে দেখিয়া থাকি । মনে হইতে মনে বৈদ্যুতী চলিলে তবে নয়ন ভরিবে। হায় ! কিসেই বা নয়ন ভরিবে ! নয়নে যে পলক আছে । - . অনেক দিবসে, মনের মানসে তোমা ধনে মিলাইল বিধি হে।। আমি কখন কখন মনে করিয়া থাকি কেবল দুঃখের পরিমাণ জনাই দয়া করিয়া বিধাতা দিবসের সৃষ্টি করিয়াছিলেন। } নহিলে কাল অপরিমেয়,মনুষ্য দুঃখ অপ | | | |