পাতা:বঙ্গদর্শন-তৃতীয় খন্ড.djvu/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজবিজ্ঞান । (খঙ্গদর্শম,ফা ১২৮৯ কেহ যদি জিজ্ঞাসা করেন বর্তমান কালের প্রধান লক্ষণ কি, আমরা বলিব বিজ্ঞানের অধিকার বিস্তার। ব্ৰহ্মাণ্ডের সকল কাণ্ডেই এক্ষণে বিজ্ঞান হাত দিতে আরম্ভ করিয়াছে। যে সমস্ত বস্তু অতি ক্ষুদ্র বলিয়া চক্ষুর অগোচর, বিজ্ঞান অণুবীক্ষণযোগে আপনার আয়ত্ত করিতেছে। যেসকল পদার্থ অতি দূরবর্তী বলিয়া অলক্ষ্য বা দুলক্ষ্য, বিজ্ঞান দুরবীক্ষণযন্ত্র দ্বারা আপনার শাসনাধীনে | আনিতেছে। এইরূপে ভূমণ্ডল ও অt } কাশ হইতে দেবতা তাড়াইয়া সৰ্ব্বত্রই বিজ্ঞান আপনার রাজ্য বাড়াইতেছে। | পূৰ্ব্বে যে ঝড় বৃষ্টি বজ্রাঘাতের বিশৃঙ্খল ব্যাপারে ইন্দ্র ও বায়ুর প্রভাব অথবা ঈশ্বরের অনুগ্রহ বা নিগ্রহ লক্ষিত হইত, | তাপতাড়িতের ছটা কথা বলিয়া বিজ্ঞান তাহ নিজস্ব করিয়া লইয়াছে। পূৰ্ব্বে যে ধূমকেতু দেবক্রোধ চিহ্ন স্বরূপ গগন মণ্ডলে উদিত হইয়া ভূপৃষ্ঠে অমঙ্গল বর্ষণ করিত, বিজ্ঞান মাধ্যাকর্ষণ রজ্জ্ব দিয়া তাহাকে সুৰ্য্যের সঙ্গে বাধিয়া - Be পূৰ্ব্বে যেখানে রুদ্রমূৰ্ত্তি সৰ্ব্বভুক হুতাশন দৃষ্ট হইতেন, সেখানে বিজ্ঞান . . পদার্থ জীবোদ্ভিদ সমূহের শরীরে থাকিয়া - - সমাজবিজ্ঞান l আধিপত্য সংস্থাপন করিয়াছে। এমন কি, ! বিজ্ঞান বিদ্যুৎকে দূত করিয়াছে, অগ্নিকে ! . কেও ছাড়িতেছে না। স্বক্ষদর্শী পণ্ডিতগণ । | রাসায়নিক প্রক্রিয়া বিশেষ প্রদর্শন } - - করিতেছে। পূৰ্ব্বে যে প্রাণ রূপ স্বতন্ত্র তথাকার কার্য্যসমূদ্রায় সম্পাদন করিত, बिखान ठाशट्झ डैज़ाश्च। निश्ा उशन्तः । অধিষ্ঠান ভূমিতে নৈসর্গিক নিয়মের কিরূপে বর্তমান জগতের ও জীবপুঞ্জের উৎপত্তি হইয়াছে, বিজ্ঞান তাহাও দেখাইয়া দিতে অগ্রসর । কি প্রকারে চন্দ্র স্বৰ্য্য গ্রহ ধূমকেতুগণ সমুৎপন্ন হইয়াছে, কি প্রকারে জলস্থল পৰ্ব্বত নদী প্রভৃতি । তাহাদিগের বর্তমান অবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছে, কি প্রকারে ভূমণ্ডলে নানাবিধ জীবের উদয়, বিলয় বা বিস্তার ঘটিয়াছে, ' বিজ্ঞান যুক্তিসহকারে বুঝাইয়া দিতে ! প্রস্তুত। এই বৃহৎ ব্রতের অনুষ্ঠানকরিতে ! গিয়া বিজ্ঞান ঐশীশক্তির সাহায্য চাহে । না, স্বষ্টির কল্পনা করে না, কেবল প্রাক্ক- , তিক কাৰ্য্যপ্রণালীর কথা বলে। এই ! কাৰ্য্য প্রণালীর দিকে দৃষ্টি রাথিয়াই । রথের অশ্ব করিয়াছে, সমুদ্রকে গমনা- ৷ গমনের পথ করিয়াছে, এবং বায়ুকে । প্রয়োজনানুসারে বাহন করিয়া থাকে। কাৰ্য্যকারণস্বত্র ধরিয়া বিজ্ঞান জগন্মণ্ডলে সৰ্ব্বত্রই নিয়মের আধিপত্য সংস্থাপন করিতেছে; এক্ষণে মনুষ্যসমাজ বলিতেছেন যে মানবজাতিও কাৰ্য্যকারণ " শৃঙ্খলে গ্রথিত, মানবজাতিও নিয়মের অধীন। যেমন চরণতলস্থ ধূলিকণা হইতে | দুর্ববর্তী নক্ষত্রপুঞ্জপৰ্য্যন্ত জড়পদার্থ সকল | নিয়মের অধীন, তেমনই বিজ্ঞানবেত্ত্ব