পাতা:বঙ্গদর্শন-তৃতীয় খন্ড.djvu/৫৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f _க ૬૭8 কমলাকাস্তের দপ্তর । (পঙ্গsশন চৈ:, ১২৮ ১ । বুঝি, তাহার ভিতর একটু ব্যঙ্গ ছিল ; বুঝি মার্জার মনে ২ হাসিয়া, আমার পানে চাহিয়া ভাবিতেছিল, “ কেহ মরে বিল ছেচে, কেহ খায় কই ।” বুঝি সে অভিপ্রায়ও ছিল। বুঝি বিড়ালের মনের ভাব, “তোমার দুধ ত খাইয়া বসিয়া আছি—এখন বল কি ?” বলি কি ? আমি ত ঠিক করিতে পারিলাম না । দুধ মামার বাপেরও নয় । দুধ মঙ্গলার, দুহিয়াছে প্রসন্ন। অতএব সে দুগ্ধে আমারও যে অধিকার, বিড়ালেরও তাই ; সুতরাং রাগ করিতে পারি না। তবে চিরাগত একটি প্রথা আছে, যে, বিড়ালে দুধ খাইয়া গেলে, তাহাকে তাড়া ইয়া মারিতে যাইতে হয় । আমি যে সেই চিরাগত প্রথার অবমাননা করিয়া মনুষ্যকুলে কুলাঙ্গার স্বরূপ পরিচিত হইব, ইহাও বাঞ্ছনীয় নহে। কি জানি এই মার্জারী যদি স্বজাতি মণ্ডলে কমলাকান্তকে কাপুরুষ বলিয়া উপহাস করে ? অতএব পুরুষের ন্যায় আচরণ করাই বিধেয় । ইহা স্থির করিয়া,সকাতর চিত্তে, হস্ত হইতে হু কী নামাইয়া, অনেক অমু সন্ধানে এক ভগ্ন যষ্টি আবিষ্কৃত করিয়া সগৰ্ব্বে মার্জার প্রতি ধাবমান হইলাম। মার্জার কমলাকান্তকে চিনিত; সে যষ্টি দেখিয়া বিশেষ ভীত হওয়ার কোন লক্ষণ প্রকাশ করিল না । কেবল আমার মুখপানে চহিয়া হাই তুলিয়া, ண்ண் --WikitanvirBot (আলাপ) প্রশ্ন বুঝিতে পারিয়া, যষ্টি ত্যাগ করিয়া । পুনরপি শয্যায় আসিয়া, ছক লইলাম।. তখন দিব্যকর্ণ প্রাপ্ত হইয়া, মার্জারের বক্তব্য সকল বুঝিতে পারিলাম । বুঝিলাম, যে বিড়াল বলিতেছে “ মার পিট কেন ? স্থির হইয়া, হু কা হাতে করিয়া, একটু বিচার করিয়া দেখ দেখি ? এসংসারের ক্ষীর, সর, দুগ্ধ, দধি, মৎস্ত, মাংস, সকলই তোমরা থাইবে, আমরা কিছু পাইব না কেন? তোমরা মনুষ্য আমরা বিড়াল, প্রভেদ কি ? তোমাদের ক্ষুৎপিপাস আছে—আমাদের কি নাই ? - তোমরা খাও, আমাদের আপত্তি নাই ; কিন্তু আমরা পাইলেই তোমরা কোন শাস্ত্রানুসারে ঠেঙ্গ। লাঠি লইয়া মারিতে আইস, তাহা আমি বহু অনুসন্ধানে পাই- . লাম না । তোমরা আমার কাছে কিছু উপদেশ গ্রহণ কর । বিজ্ঞ চতুষ্পদের কাছে । শিক্ষালাভ ব্যতীত তোমাদের জ্ঞানো- ; ন্নতির উপায়াস্তর দেখি না। তোমাদের : বিদ্যালয় সকল দেখিয়া আমার বোধ হয় । এত দিনে একথাটি বুঝিতে পারিয়াছ। “ দেখ, শয্যাশায়ী মনুষ্য! ধৰ্ম্ম কি ? পরোপকারই পরম ধৰ্ম্ম। এই দুগ্ধটুকু পান করিয়া আমার পরম উপকার হইয়াছে। তোমার আহরিত দুগ্ধে এই পরোপকার সিদ্ধ হইল—অতএব তুমি । আমি | সেই পরমধৰ্ম্মের ফলভাগী । চুরিই করি, আর যাই করি, আমি তো মার ধৰ্ম্মসঞ্চয়ের মূলীভূত কারণ। অতএকটু সরিয়া বসিল । বলিল “মেও” { এব আমাকে প্রহার না করিয়া, আমার t i i ! ! i