পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

०२४ 8 1) তাহা প্রধান শাখা না হইয়া প্রতিশাখ্যমতে উপশাখা বলিয়া পরিগণিত। বিষ্ণু পুরাণেও এইরূপ আভাস পাওয়া যায় যথা— “মুদগলো গোকুলো বাৎস্তঃ শৈশিরঃ শিশিরস্তথা । পঞ্চৈতে শীকলাঃ শিষ্যtঃ শাখাভেদ প্রবর্তকাঃ । মুদগল,গোকুল, বাৎস্ত, শৈশির,শিশির ইহঁারা শাকলের শিষ্য এবং শাখাবিশেষের প্রবর্তক । অতএব সৰ্ব্বসমেত ঋগ্বেদ ২১ শাখায় বিস্তৃত। ভাগবত ও মহাভাষ্যে ২১ শাখার কথা উল্লেখ আছে । যথা মহাভাষ্য— “একবিংশতিধা বহুবচাঃ” এইরূপে অধ্যয়ন সম্প্রদায়ের প্রবর্তক শকিল প্রভৃতি আদি আচার্য্যদিগেয় ভিন্ন ভাবের প্রবচন অনুসারে একমাত্র ঋগ্বেদ অনেক শাখায় বিভক্ত হইয়াছে। সমুদায় শাখা একত্র করিলে অত্যন্স মাত্র তীয়তম্য দেখা যায়। প্রবচন শব্দে বেদার্থ বোধক গ্রন্থ সকল ৷ যথা “অগ্র্যাঃ সৰ্ব্বেষু বেদেষু সৰ্ব্বপ্রবচনেষু চ” (মন্ত্র ৩ অং) এই শ্লোকে প্রবচন শব্দের অর্থে কুল্লুক ভট্ট ব্যাখ্যা করিয়াছেন “প্রকর্ষেণৈবোঁচাতে বেদার্থ এভিরিতি প্রবচনান্যঙ্গানিশিক্ষাদীনি” ঋগ্বেদের স্বত্ত এক সহস্র ১৭২ সহস্ৰ ৬ বৰ্গ ৬৪ অধ্যায়। ১০ মণ্ডল ॥৮ অষ্টক । স্বত্তের লক্ষণ—“ সম্পূর্ণমূর্ষিবাক্যস্ত ইজ মিত্যভিধীয়ুতে।” বৃহদেবতা। বেদবিভাগ। . ు శి : অর্থাৎ এই নিরীকছুক্ষ চন্দোময় বেদ বাক্যের নাম সুক্ত অর্থাৎ বৈদিক মহাবাক্যই স্বত্ত । এই স্বাক্ত তিন প্রকার । ঋষিস্থত্ত, দেবতাস্বত্ত, ছন্দঃস্বত্ত । ঋষি ও দেবতাসুক্তের লক্ষণ,—

  • ঋষিস্থত্তানি যাচস্তি সুক্তালোকস্ত

বৈকৃতিঃ । ख्ं टैडकाञ्च যাবৎসু তৎস্বত্তং দৈবতং বিদুঃ” (বৃহদেবতা) একজন ঋষির কৃত বা দেখা যতগুলি স্বত্ত অর্থাৎ মহাকাব্য সেইগুলি ঋষিস্বত্ত । ১ম অষ্টকের প্রারম্ভস্থ “ অগ্নিমীড়ে” ইত্যাদি হইতে “ইন্দ্রং বিশ্ব অচীবৃষৎ” ইত্যন্ত ঋক্ ভাগ (২০ বৰ্গাত্মক) একটি ঋষিস্থত্ত, কেন না ঐ সমস্ত ঋক্গুলি একমাত্র মধুচ্ছন্দ নামক ঋষির কৃত, আর তন্মধ্যস্থ অগ্নি দেবতার স্তবসূচক ৯টি ঋক্ দেবতা স্বক্ত, কেন না ঐ ৯ ঋক্ । দ্বারা একমাত্র অগ্নিদেবতায় স্তোত্র প্রকাশ इहेच्चा८झ् । একছন্দে নিৰ্ম্মিত পর পর ক্রমে স্থাপিত হইলে তাহা ছন্দস্বত্ত । যথা—ঐ অগ্নিমীড়ে হইতে ১৮ বর্গ পৰ্য্যন্ত সমস্ত ঋক্‌ গায়ত্রীছন্দে গ্রথিত বলিয়া তাহা ছন্দঃ স্বত্ত । ঋগ্বেদের বর্গবিভাগ ও অধ্যায়বিভাগের কোন নির্দিষ্ট লক্ষণ নাই। উহা স্বাধ্যার বা অধ্যয়ন সম্প্রদায় পরম্পরায় প্রসিদ্ধ হইয়া আসিয়াছে । কিন্তু ঋগ্ধে,