পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮৪ ) অন্তর্জগতের বিষয়ে আমাদিগের যে প্রকার জ্ঞান, নৈসর্গিক শক্তিনিচয়ের উপর আমাদিগের যে প্রকার কর্তৃত্ব, তারাই আমাদিগের সভ্যতার পরিমাণ নির্ণীত হয়। ধৰ্ম্মের মহৎক্রিয়া, বিজ্ঞানের ভবিষ্যদ্বাণী, ও শিল্পের অধিকার বিস্তার, এ সকল সভ্যতার উন্নতিনির্ণয়ের ভিন্ন ভিন্ন “মানদণ্ড স্বরূপ । কিন্তু আমরা যে পরিমাণে প্রকৃতির কার্য্যপ্রণালী জানিতে পারি, সেই পরিমাণেই আমরা তাহার উপর কর্তৃত্ব সংস্থাপন করিতে পারি। আমাদিগের সামাজিক কাৰ্য্যও বিশ্বাসের অনুগত এবং নুতন কিছু না জানিলেও বিশ্বাস পরিবর্তিত হয় না। সুতরাং বাহ্যজগতের উপর কর্তৃত্ব বৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নতি উভয়ই জ্ঞানোন্নতি সাপেক্ষ । এই নিমিত্ত র্যাহারা কোন দেশে সভ্যতাবৃদ্ধি করিতে চাহেন, তাহাদিগের কর্তব্য যে সেই দেশের জ্ঞানবৃদ্ধি করিতে যত্নবান্‌ श्न । আদিম মনুষ্য যে ঘোর অসভ্য ছিল, ইহ কেহ কেহ,স্বীকার করিতে চাহেন না । তাহার প্রাচীন ধৰ্ম্মপুস্তক কয়েকখানির আশ্রয় লইয়া প্রমাণ করিতে চাহেন যে अर्शवाद्र ক্রমশঃ উন্নতি না श्ग्रा अदनङि इहेब्रां८छ् । ॐांशंब्रां श्मूिদিগের " সত্যযুগের,” গ্রীকৃদিগের “স্বর্গযুগের," এবং স্ট্রীহুদীদিগের “ নন্দনোদ্যানের"উল্লেখ করিরা আপনাদ্বিগের মত সমর্থন করিতে চাহেন। 'এ প্রকার তর্ক সম্বন্ধে আমরা এই মাত্র বলিতে পারি সভ্যত{ u > ミ磁 যে পুৰ্ব্বকালীন হিন্দু, খ্ৰীক ও রীহুদী দিগের এইরূপ বিশ্বাস জন্মিয়াছিল,সত্য; কিন্তু বোধ হয় আদিমকালের প্রকৃত ইতিৱত্তের অভাবে অনুমানের সাহায্যে অতীতের প্রতিমূৰ্ত্তি অঙ্কিত করিতে গিয়া র্তাহারা বুদ্ধধয়সের বিজ্ঞতা ও তপস্বীভাব প্রাচীনকালের প্রতি আরোপ করিয়াছিলেন। কিঞ্চিৎ মনোযোগপূৰ্ব্বক ইতিহাস পাঠ করিলেই প্রতীতি হইবে যে ভারতবর্ষ, চীন, মিসর, আসিরিয়া, গ্রীস, ইতালী, প্রভৃতি দেশের প্রাচীন সভ্য জাতিগণ অপেক্ষাকৃত অসভ্যাবস্থা হইতে ক্রমশঃ আপন আপন সভ্যতার সৰ্ব্বোচ্চশিখরে আরোহণ করিয়াছিলেন । বর্তমান ইউরোপীয় সত্যজাতিগণের ইতিবৃত্তও এই প্রকার। অদ্যাপি পৃথিবীতে এমন অসভ্য জাতি আছে, যাহার এখনও প্রস্তরনিৰ্ম্মিত অস্ত্র ব্যবহার করে, যাহার এখনও অগ্নিয় প্রয়োগ শিখিতে পারে নাই, এবং যাহারা এখনও বিবাহ বন্ধন জানে না । প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা দেখাইতেছে যে মনুষ্য প্রথমে প্রস্তরাস্ত্র, পরে তাম্র, পিত্তল বা কাংশ্যনিৰ্ম্মিত অস্ত্র,এবং পরিশেষে লৌহ অস্ত্র ব্যবহার করিতে শিথিয়াছে। ভাষাতত্ত্ববিদ্যাও ক্রমোন্নতিয় সাক্ষ্য প্রদান করে । যে সকল শৰ এক্ষণে উন্নত মানসিক ভাববোধক, সে সকল আদে বহিরিক্রিয়গ্রাহ পদার্থ বাচক ছিল । এইরূপে চারিদিকে উন্নতিরই প্রমাণ পাওয়া যায়। র্যাহারা প্রত্যক্ষকে সকল জ্ঞানের মূল বলিয়া