পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లిy বুকের ভিতর , তেমনি একখানা মেঘ উঠিয়া, সহসা চরিদিক্ অর্ণধার করিয়া ফেলিল । ভ্রমরের চক্ষে ভ:ল আসিতে লাগিল। ভ্রমর মনে করিধ্য, আমি অকারণে র্কাদিতেছি—আমি বড় হৃষ্ট হইয়াছি —আমার স্বামী রাগ করিবেন। অতএব ভ্রমর কাদিতে কুঁদিতে কঁাদিতে বাহির হইয়া গিয়া, কোণে বসিয়া পা ছড়াইয়া অন্নদামঙ্গল পড়িতে বসিল । কি মাথা মুগু পড়িল তাহ বলতে পারি ন৷ কিন্তু বুকের ভিতর হইতে সে কালে মেঘ খানা কিছুতেই নামিল না । উনবিংশ পরিচ্ছেদ । • গোবিন্দলাল বাবু জ্যেঠা মহাশরের সঙ্গে বৈষয়িক কথোপকথনে প্রবৃত্ত হই লেন। কথোপকথনচ্ছলে কোন জমি জারীর কিরূপ তালস্থা তাহা সকল জি জ্ঞাসা করিতে লাগিলেন । কৃষ্ণকান্ত গোবিন্দলালের বিষয়ামুরাগ দেখিয়া সস্তুষ্ট হইয়া বলিলেন, “তোমরা যদি একটু .একটু দেখ শুন, তবে বড় ভাল হয় । দেখ, আমি আর কর দিন । তোমর! এখন হইতে সব দেখিয় শুনিয়া না রাখিলে, আমি মরিলে, কিছু বুঝিতে পরিবে না। দেখ, আমি বুড়া হইয়াছি, আর কোথাও যাইতে পারি মা । কিন্তু ৰিন। তদারকে মহাল সব খারাব হইয়। উঠিল।” গোবিন্দলাল বলিলেন, ণ আপনি रुश्रल ऑन । (জtষাঢ় পাঠাইলে আমি যাইতে পারি। আমারও ইচ্ছা সকল মহালগুলি এক একবার দেখিয়া আসি ।” কৃষ্ণকান্ত আহলাদত হইলেন। বলিলেন, “আমার তাহাতে বড় আহলাদ । আপাততঃ বলরেখালিতে কিছু গোলমাল উপস্থিত। নায়েব বfলতেছে যে, প্রজীয়া ধৰ্ম্মঘট করিয়াছে, টাকা দেয় না ; প্রজার বলে, আমরা খাজনা দিতেছি, নায়েব উসুল দেয় না । তোমার যদি ইচ্ছা থাকে, ভবে বল,আমি তোমাকে সেখানে পাঠাইবার উদ্যোগ করি ।” গোবিন্দলাল সন্মত হইলেন । তিনি এই জন্যই কৃষ্ণকাস্তের কাছে আসিরাছিলেন। তাহার এই পূর্ণ যৌবন, মনোবৃত্তি সকল উদ্বেলিত সাগরতরঙ্গতুল্য প্রবল, রূপতৃষ্ণা অত্যন্ত তীব্রা । ভ্রমর হইতে সে তৃষ্ণ নিবারিত হয় নাই । নিদাঘের নীল মেঘমালার মত রোহিণীর রূপ, এই চাতকের লোচনপথে উদিত হুইল--প্রথম বর্ষার মেঘদর্শনে চঞ্চল ময়ূরীর মত গোবিন্দলালের মন,রোহিণীর রূপ দেখিয়া নাচিয়া উঠিল । গোবিনালাল, তাহা বুঝিয় মনে মনে শপথ করিয়া, স্থিয় করিলেন, মরিতে হয় মরিব किस्त्र ७५ो•ि जभ८झङ्ग कोप्छ् अविर्षार्गी बl কৃতঘ্ন হুইব না। তিনি মনে মনে স্থির করিলেন, যে বিষয়কৰ্ম্মে মনোভিনিবেশ করিয়া রোহিণীকে ভুলিব—স্থানান্তরে গেলে, নিশ্চিত ভুলিতে পারিৰ। এই রূপ মনে মনে সঙ্কল্প করিয়া তিনি পিতৃ