পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᎿ • ফর মত, “ ফ” গুলা “ থ” র মত “থ” গুলা “ খ” ব মত ; ইকারের স্থানে আকার—আকারের এককালীন লোপ, যুক্ত অক্ষরের স্থানে পৃথক্ পৃথক্ অক্ষর, কোন কোন অক্ষরের এককালীন লোপ, ভভূমর কিছু মানিল না । ভূমর আজি এক ঘণ্টার মধ্যে এক দীর্ঘ পত্র স্বামীকে লিথিয়া ফেলিল । কাটাকুট যে ছিল ন। এমত নহে। আমরা পত্রখনির কিছু পরিচয় দিতেছি । ভূমর লিখিতেছে— “ সেবিকা ঐ ভোমরা” ( তার পর ভোমরা কাটিয়া ভমরা) "দাস্যাঃ” (আগে দাম্ম, তাহা কাটিয়া দাস্য—তাহা কাটরা দাস্যে-দাস্তাঃ ঘটির উঠে নাই) প্রণাম: ( প্র লিখিতে প্রথমে “ শ্র” তার পর “শ্র” শেষে “প্র”) “নিবেদনঞ্চ” (প্রথমে নিবেদঞ্চ,তার পর নিবেদনঞ্চ) “বিযেস।” (বিশেষঃ হইয়া উঠে নাই) এইরূপ পত্র লেখার প্রণালী । যাহা লিখিয়ছিল, তাহার বর্ণগুলি শুদ্ধ করিয়া, ভাষা একটু সংশোধন করিয়া নিম্নে লিখিতেছি । “সে দিন রাত্রে বাগানে কেন তোমার দেরি হইয়াছিল—তাহ আমাকে ভাঙ্গিয়৷ বলিলে না । দুই বৎসর পরে বলিবে বলিয়৷ ছিলে, কিন্তু আমি কপালের দোষে আগেই তাহ শুনিলাম। শুনিয়াছি কেন, দেখিয়াছি। তুমি রোহিণীকে যে বস্ত্রীলঙ্কার দিয়াছ,গছ সে স্বয়ং আমাকে uদখাইয়া গিয়াছে। - বঙ্গ দর্শন । ( শ্রাবণ । তুমি মনে জান বোধ হয় যে তোমার প্রতি আমার ভক্তি অচলা—তোমার डेश्रृङ्ग श्राभाङ्ग विश्वान् श्रनस्त्र । अमि७ তাহা জানিতাম। কিন্তু এখন বুঝিলাম, ८ष ठांश नरश् । यउनिन छूमि उख्द्रि যোগ্য, ততদিন আমায়ও ভক্তি ; যতদিন তুমি বিশ্বাসী, ততদিন আমারও বিশ্বাস। এখন তোমার উপর আমার ভক্তি নাই, বিশ্বাস ও নাই । তোমার দর্শনে আমার আর মুখ নাই। তুমি যখন বাড়ী আসিবে আমাকে অনুগ্রহ করিয়া খবর লিখিও আমি কঁদিয়া কাটিয়া যেমন করিয়া পারি পিত্রালয়ে যাইব ।” গোবিন্দলাল যথাকালে সেই পত্র পাইলেন । তাহার মাথার বজ্রাঘাত হইল । কেবল হস্তক্ষেরে এবং বর্ণশুদ্ধির প্রণালী দেখিয়াই তিনি বিশ্বাস করিলেন যে এ ভুমরের লেখা। তথাপি মনে অনেকবার সন্দেহ করিলেন—ভূমর তাহাকে এমন পত্র লিখিতে পারে তাহা তিনি কগন বিশ্বাস করেন নাই । - সেই ডাকে আরও কয়খনি পত্র আসি৷ য়াছিল। গোবিন্দলাল প্রথমেই जुभ८ब्रट्स পত্র খুলিয়াছিলেন ; পড়িয়া স্তম্ভিতের ন্যায় অনেকক্ষণ নিশ্চেষ্ট রছিলেন ; তার পর সে পত্র গুলি অন্যমনে পড়িতে আরম্ভ করিলেন। তন্মধ্যে ব্ৰহ্মানন্দ ঘোষের একখানি পত্র পাইলেন । কবিতাপ্রিয় ব্ৰহ্মাননা লিখিতেছেন— • “ভাই হে!" রাজার রাজায় বুদ্ধ হয়উলু গড়ের প্রাণ যায়। তোমার উপর