পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v)ი 8 বলিবার যে নাই যে, তাহার অন্যের প্রতি কোন কৰ্ত্তব্য নাই। এই কর্তব্য পবিত্র পদার্থ। উহা কাছার ও অবহেল করিবার, লঙ্ঘন করিবার অধিকার নাই। কৰ্ত্তব্য-লঙ্ঘন মহা পাপ । আত্মহত্য দ্বারা সকল প্রকার কৰ্ত্তব্য-সাধন হইতে আপনাকে চিরকালের জন্য বিচ্ছিন্ন করা হয় ; স্বতরাং আত্মহত্যা করিবার কাহারও অধিকার নাই, আত্মহত্যা মহা পাপ। যিনি আপনাকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্ৰ মনে করেন তিনি মহাভ্রান্ত । নর কি নারী প্রত্যেক মনুষ্য জনসমাজরূপ প্রকাও যন্ত্রের একটি একটি অংশ মাত্র। প্রত্যেককে সেই অংশের কার্য্য করিতেই হইবে ; না করিলে নিশ্চয় অপরাধ। জিজ্ঞাসা করি, হিন্দুবিধবার কি কোন কৰ্ত্তব্য নাই ? বখন সে ব্যক্তি, জনসমাজের এক অংশ, তখন নিশ্চয়ই অন্ত ব্যক্তির সাহিত সেও কৰ্ত্তব্যের পবিত্ৰৰন্ধনে বদ্ধ । সুতরাং তাহার আত্মবিনাশের অধিকার লাই । সকলেই বলিবেন যে, হত্যাকারীর দৃষ্টান্ত বড় মন্দ। তাহার দেখা দেখি অন্ত লোকেও যদি হত্যা করিতে আরম্ভ করে তাহা হইলে সমাজে মহা প্রলয় উপস্থিত হয় । সেইরূপ বলিতে পারি যে, যে ব্যক্তি দুঃখ কষ্ট সহ করিতে না পারিয়া আত্মবিনাশ করে, সে অপরাপর দুঃখীকে কুদৃষ্টান্ত প্রদর্শন করে। আর ইহসংসারে দুঃখ কাছার নাই ? বাস্তবিক অনেক সময় দেখা যায় ধে, স্বপন আত্ম ३श्रल ऑन । ( কাৰ্ত্তিক । হস্তা হইতে আরম্ভ হয় তখন চারিদিক হইতে আত্মহত্যার সংবাদ আসিতে থাকে। সংবাদপত্রে পুনঃ পুনঃ আত্মহত্যার সংবাদ পাঠ করিতে হয়। অন্তান্ত কারণের মধ্যে দৃষ্টান্ত যে, এ বিষয়ের একটি প্রধান কারণ তাহাতে লেশমাত্র ংশয় নাই। যে ৰিধবা নারী সহমৃতা হইতেন, তাহারও তদবস্থাপন্ন অপর স্ত্রীলোকদিগকে কুদৃষ্টান্ত প্রদর্শন করা হইত। লেখক তৎপরে বলিয়াছেন যে, নিউটন, কেপ্লর, গালিলিও প্রভূতি মহাপুরুষদিগের মৃত্যুতে যখন “ সংসারে তাদৃশ ক্ষতি নাই তখন দুঃখিনী হিন্দুবিধবার মৃত্যুতে সমাজের কি ক্ষতি ?” নিউটন প্রভৃতি মহাপুরুষদিগের মৃত্যুতে যে সং সারের বিশেষ ক্ষতি নাই, ইহা তিনি প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা করিয়াছেন । প্রতিপন্ন করিতে গির। তিনি যাহা বলিয়াছেন তাহার সার মৰ্ম্ম এই ;—নিউটন না জন্মিলেও মাধ্যাকর্ষণ আবিষ্কৃত হইত,. গালিলিও না জন্মিলেও পৃথিবীর বার্ষিক গতি আবিষ্কৃত হইত, হবি না জন্মিলেও রক্তসঞ্চয়ণ, আবিষ্কৃত হইত ইত্যাদি। তবে কিনা দশদিন অগ্র পশ্চাৎ । “ সকলই সময়ে করে।” নিউটনের পূৰ্ব্বেও ইউরোপে বুদ্ধিমান তত্ত্বাস্থসন্ধারী লোক ছিল, তবে মাধ্যাকর্ষণ আবিস্কিয়ার পক্ষে যে সকল সত্যের আবিন্ধিয়া নিতান্ত আবস্তক, সে সকল তখন আবিষ্কৃত হয় নাই ৰলিয়া, মাধ্যা