পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/৫৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮৪ 1) ষায় জtছুবীশ্রেীতে কয় নৌকা বিলাতী মিথ্যা কথা ভাসিয়া আসিয়াছিল, দেশের কয়েকট লোকে তাছা ভাগাভাগি করিয়া লয় এ ব্যবস্থাজীবী কেহ বাকি ছিলেন না, মোক্তার বলুন আরও উচ্চ লোক বলুন, গোমস্তা, কুঠিয়াল, মহাজন, সওদাগর অনেকে পড়িয়া কাড়াকড়ি করেন ; কেহ বেশি কেহ কমভাগ লষ্টয়। কার্য্য ক্ষেত্রে গমন করেন । গজনিন তখন কাৰ্য্যাস্তরে অর্থাৎ একটি দলিল স্বহস্তে কটকুট করিতে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি গঙ্গাতীরে পৌছছিয়া দেখিলেন দেশের লোকের ভাগাভাগিতেই সব কথা ফুরাইয়া গিয়াছে । গজানন হতাশ হইয়া, ব্যাকুল হইয়া গঙ্গাতীরে বসিলেন,দেবীর স্তুতি আরম্ভ করিলেন, ধরনা দিলেন— অবশেষে আত্মহত্যার প্রতিজ্ঞ করায় জাহ্লবীদেবী প্রসল্লা হইয় তাহীর মনোরথ পূর্ণ করিলেন। দেবী কহিলেন “ বাছা ! মিথ্যাকথার ভাগ পা ও নাই বলিয়া তুমি কাধিতেছ—তোমার ভাগে অবশ্যক ? ষোল আনা রকম মিথ্যা cडांभांग्र निरडfश्-च्प्रमादषि छूमि दाश कश्टिव मिथTा लिग्न जान्न किडूहे श्रद. না। যা কহিবে তাঁহাই মিথ্যা হইবে।” সেই পৰ্য্যন্ত গজানন মিথ্যা রচনায় সম্পূর্ণ পটু হইলেম । কিন্তু এই জসরল লোক সরলস্বভাব তাগুতোষ বাবুর নিকট অনেক দূর প্রতিপন্ন ছিলেন। ঋজুচিত্ত আশুতোষ সময়ে সমুয়ে গজনাননের চক্রভেদ করিতে অশক্ত হইতেন ব: জটধারীর রেজিনামচা । dరిన ایر অনাবশ্যক বিবেচনা করিতেন ; কারণ আশুতোষ বাবুর রাজ্যোন্নতিসাধন গজাননের জীবনের এক প্রধান উদ্দেশ্য চিল, যে উপায়ে হউক কাৰ্য্য উদ্ধার করিতেন, কিন্তু আগু বাবু ফলমাৰ বিজ্ঞাত, উপায়চক্র গজাননেয় গভীর মনকুপেই বদ্ধ থাকিত । এ দিকে মোকৰ্দমা গড়িতে, ভঙ্গিতে, পাকাইতে, কাচাইতে, পাখা দিতে, উড়াইতে দেওরানজি অদ্বিতীয় গুণধার ; সত্য, মিথ্যা, ন্যায়. অন্যায়, তাহার চক্ষে সব সমান, গোময় চন্দন সমানজ্ঞান । গজানন মিথ্যার মহাদেব ! নয় শ উননববয়ের তোড়াটা সহস্র টাকা পুর্ণ করাই তাহার কাৰ্য্যের উদেশ্য-ঐহিকের সারধৰ্ম্ম বলিয়া জ্ঞান ছিল । বেমন ঔষধগুণে ফণীধারী সর্প নতশির,সেইরূপ গজাননের মন্ত্রে দস্তশালী দারগা, ভীষণমুখ জমা দার সমস্ত সরকারী কৰ্ম্মচারী সমনম্র । ইঙ্গিত মাত্রে সোণাই মণ্ডল, ও রামু রায় সঙ্গে গজানন কণকপুরে উপস্থিত হইলেন। একটী স্বতন্ত্র গোলাবাটীর ঈশানকোণাংশে একটী ক্ষুদ্র গৃহে বসিলেন । দুই দণ্ডের মধ্যে স্বয়ং দারগা সাহেব দাড়ি আঁচড়াইতে আঁচড়াইতে তথায় উপস্থিত ও ক্ষণকাল মধ্যে পরামর্শ, অঙ্গুলি নির্দেশ, অঙ্গুলি বিক্ষেপণের দ্বারা পরস্পর গাত্রে লিখন ও কাণাকাণি করিয়া কমিটীর কার্য্যারস্ত ও মজলিস গরম হইল। রঘুবীর আর ফেরার নাই, পচা পুখুরের পাণি সেওলা লেপিত অঙ্গ