পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>&b8 1} ৰৈজিক প্রবলতা থাকে যে তাহারা যে স্ত্রী গ্রহণ করুন,বা যে পুরুষ গ্রহণ করুন সস্তানে কেবল তাহাঙ্গেরই শারীরিক চিহ্ন প্রকাশ হুইবে ; অপরের কোন চিহ্নও থাকিবে না । প্রথম পরিচ্ছেদে যে সকল পরিচয় দেওয়া হইয়াছে তাহার মধ্যে অনেক গুলির বৈজিক প্রবলত{ দেখাইবার নিমিত্ত এ স্থলে পুনরুল্লেপ কয়৷ যাইতে পারে। ডারউইন সাহেব একটি কৃষ্ণবর্ণ কুকুরের কথা উল্লেপ করিয়া লিখিয়াছেন যে কুকুরটির শাবক মাত্রেই কৃষ্ণবর্ণ হইত; যে বর্ণের কুকুৰীর গৰ্ত্তে জন্ম হউক, তাহার ঔরসজ শাবক নিশ্চয়ই কৃষ্ণবর্ণ হইত। উপস্থিত লেখকের একটি গাভী ছিল,তাহার বর্ণ গোয়ালারা বোধ হয় “ সামলা’ বলিত অর্থাৎ কৃষ্ণ বর্ণ ও শ্বেতবর্ণের লোমে তাহার অঙ্গ আচ্ছাদিত ছিল । কোথায় কৃষ্ণবর্ণ অধিক বা কোথায় শ্বেতবর্ণ অধিক এমত নহে, উভয় বর্ণের লোম সৰ্ব্বাঙ্গে সমভাবে সন্নিবেশিত ছিল আর তাহার খুর কৃষ্ণবর্ণ ছিল । এই গাভীর বৎসমাত্রেই * সামলা” হইত। অন্য “ সামল।” গাষ্ঠীর বৎস মধ্যে কোনটি শ্বেতবর্ণের হয় বা কোনটি কৃষ্ণবর্ণের অথবা অন্য বর্ণের হয় কিন্তু যে গাভীটির পরিচয় দেওয়া যাইতেছে তাছায় বৎস “ সামল।” ভিন্ন অন্য বর্ণের কখন হয় নাই ; শ্বেত লৈজিক 秀 w I 2もう বর্ণের বা রক্তবর্ণের বা যে বর্ণের বৃষ জাত ছষ্টক ধৎসের বর্ণ নিশ্চয়ই “ সামল।” হইত তাহার খুর নিশ্চয়ই কৃষ্ণবর্ণ হইবে। এ স্থলে বলিতে হইবে যে গাভীটির বৈজিকশক্তি অতি প্রবল ছিল। যে কোন বৃষ হউক কোন অংশে আপনার আকৃতি বৎসে দিতে পারিত না । সকল রষষ্ট গাভীটির নিকট বৈজিক অংশে দুৰ্ব্বল বলিয়া সপ্রমাণিত হইত। গাভীটির পুরুষানুক্রমে বৈজিক বিষয়ে এইরূপ প্রবল ছিল, আমরা তাহা ইহার তিন পুরুষ পৰ্য্যন্ত প্রত্যক্ষ করিয়াছি। অষ্ট্রিয়। রাজ্যের রাজরাজের বংশেও এইরূপ বৈজিক প্রবলত অাছে বলির শুনা যায়। র্তাহারা যে বংশেই বিবাহ করুন,সন্তানের ওষ্ঠ তাঁহাদের বংশানুরূপ স্থূল হইবে ; বিবাহিত বংশের অনুরূপ হইবে না।* এইরূপ বৈদিকপ্রবলতা কখন স্ত্রীর মধ্যে কখন পুরুষের মধ্যে দেখা যায়। যেখানে স্ত্রীর বৈজিক প্রবলতা থাকে সেখানে সস্তান জননীর মত হয়,যেখানে পুরুষের বৈজিক প্রবলত থাকে সেখানে সস্তান জনকের মত হয় । এই জন্য কোন কোন লেখক বলেন যে,যে স্থলে স্ত্রীর বৈজিক প্রবলতা অধিক সে স্থলে হয় ত কন্যাসস্তান অধিক জন্মে, আর মে স্থলে পুরুষের বৈজিক প্রবলতা অধিক

  • Such are the features of the reigning house of Austria, in which the thick lip introduced by the marriage of the Emperor Maximilian with Mary of Burgundy, is visible in their descendants to this day, after a lapes of three centuries. Walker on intermarriage page 145.