ৰঙ্গধর্গন, জঃ, ১৭৭৯)
লেন। কমল বলিলেন –
“আচ্ছ, মিথ্যা বলি, কমলমণির সতিনের মাতা খাই ।” છૂ’
ঐশ। তাহলে কেবল উপবাস করিতে
হইবে । *
কম। ভাল, কারু মাতা নাই খেলেম—এখন বিধাতা বুঝি সূৰ্য্যমুখীর মাতা খায়। দাদা বুঝি জোর কোরে বিয়ে করতেছে ?
শ্ৰীশচন্দ্র বিমন হইলেন । বলি লেন, “আমি কিছু বুঝিতে পারিতেছি না—নগেন্দ্রকে পত্র লিখিব ? কি
रुद्धल ?”
কমলমণি তাহাতে সম্মত হইলেন ।
শ্ৰীশচন্দ্র ব্যঙ্গ করিয়া পত্র লিখিলেম । ।
নগেন্দ্র প্রত্যুত্তরে যাহা লিখিলেন, তাহ
এই ;—
“ভাই ! আনাকে ঘৃণা করিও ন—
অথবা সে ভিক্ষাতেই বা কাজু কি ?
ঘূণাস্পদকে অবশ্ব ঘৃণা করিবে। আমি |
এ বিবাহ করিব। যদি পৃথিবীর সকলে আমাকে ত্যাগ করে, তথাপি আমি বিবাহ করিব । নচেৎ আমি উম্মাদগ্ৰস্থ হইব—তাহার বড় বাকিও নাই। :
"এ কথা বলার পর, আর বোধ হয় কিছু বলিবার আবশ্বক করে না । তোমরাও বোধ হয়, ইছার পর আর আমাকে নিৱৰ্ত্ত করিবার জন্য কোন কথা বলিৰে
বিষবৃক্ষ ।
শ্ৰীশচন্দ্র কমলের গাল টিপির দি
•. ৩৯১
না। যদি বল, তবে আমিও তর্ক করিতে প্রস্তুত আছি । *
“যদিকেহ বলে যে, বিধবা বিবাহ হিন্দু ধৰ্ম্ম বিরুদ্ধ, তাহাকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রবন্ধ পড়িতে দিই। যেখানে তাদৃশ শাস্ত্রবিশারদ মহামহোপাধ্যায় বলেন যে, বিধবা বিবাহ শাস্ত্র সম্মত ; তখন কে ইহা অশাস্ত্র বলিবে ? আর যদি বল, শাস্ত্র সস্তুত হইলেও ইহা সমাজ সম্মত নহে, আমি এ বিবাহ করিলে সমাজচ্যুত হইব ; তাহার উত্তর, এ গোবিন্দপুরে আমাকে সমাজচ্যুত করে, কার সাধ্য ? যেখানে আমিই সমাজ, সেখানে আমার আবার সমাজচ্যুতি কি ? তথাপি আমি ৩োমীদিগের মনোরক্ষার্থে এ বিবাহ গোপনে রাখিব—আপাতত কেহ জানিবে না ।
“তুমি এ সকল আপত্তি করিবে না। তুমি বলিবে, দুই বিবাহ নীতিবিরুদ্ধ কাজ । ভাই, কিসে জানিলে, ইহা নীতিবিরুদ্ধ কাজ ? তুমি এ কথা ইংরাজের কাছে শিখিয়াছ, নচেৎ ভারতবর্ষে এ কথা ছিল না । কিন্তু ইংরাজের কি অভ্রান্ত ? মুসার বিধি আছে বলিয়া ইংরাজদিগের এ সংস্কার—কিন্তু তুমি আমি মূসার বিৰি ইশ্বরবাক্য বলিয়া মানি না। তবে কি হেতুতে এক পুরুষের দুই বিবাহ নীতিবিরুদ্ধ বলিব ? .
“তুমি বলিবে যদি এক পুরুষের দুই
পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খন্ড.djvu/৩৯২
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
