পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وغ ’ کہتے নগরের সারসপার্থীর আচরণ দেখিয়া সন্তানবৎসলতা শিথিতে হয় ; আর পরিশ্রম, মিতাহার, অধ্যবসায় প্রভৃতি গুণের দৃষ্টান্ত— বলণ্টাইন জামিরে ডুবাল প্রভৃতি কোন অজ্ঞাত - সমাজের অজ্ঞাত-আচার ব্যক্তির নিকট হইতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ কোন কোন বিষয় সমগ্র মনুষ্যসমাজ হইতেও শিখিবার উপায় নাই ; আর আমাদের বঙ্গসমাজ হইতে কোন সদ গুণের শিক্ষাই হইতে পারে না । তাহাতেই বলিতেছিলাম, যদি দুইএকখানি করিয়া বাঙালীর জীবনচরিত লিখিত হয়, তাহ হইলে ঘোরতর আত্মাবমাননারূপ শিক্ষাবিড়ম্বন হইতে ক্রমে বাঙালী বালকের রক্ষা পাইতে পারে । যাহার এইরূপ রক্ষক, র্তাহারা ধন্ত,— নবকৃষ্ণবাবু ধন্ত । আমি প্যারীবাবুকে বড়ই ভক্তি করি । ভক্তি করিতাম, লিখিতে পারিলাম ন! ; ভক্তি করি । র্তাহার জীবনবৃত্তের এখনকার কালের মত সমালোচনা, আমার দ্বারা হইতেই পারে না । সিন্ধুক খুলিলেই মায়ের অলঙ্কারগুলি অতি সন্তপণে দেখিয়া আবার মুড়িয়া-মুড়িয়া রাখি, সেগুলির শিল্পচাতুৰ্য্যের সমালোচনা করিবার শক্তি আমার নাই । প্যারীবাবুর জীবনচরিতও আমি সমালোচনা করিতে পারিব ন—এর সবটুকুই ভাল, পবিত্র, শ্রদ্ধেয় । প্যারীবাবুর ফাষ্ট বুক প্রভৃতি আমরা পড়ি নাই। প্রবেশিক-শ্রেণীতে ইংরাজিতে লিখিত তাহার ভারতবর্ষের ভূগোল পড়িয়াছিলাম। প্যারীবাবুর সহিত সেই আমাদের প্রথম সম্পর্ক। সেই অবধিই ভক্তির স্বষ্টি । സ്ത്/ Aey of es/?, বি. এ. পাস করিয়া কলিকাতায় গিয়া— তাহার স্থাপিত হিন্দু হোষ্টেলে থাকিতাম, প্রতি সপ্তাহে তাহার দশন পাইতাম, তাহার সহাস্তবদনের অমিয়মধুর কথা শুনিতাম, র্তাহার সরল প্রকৃতিতে আকৃষ্ট হইতাম । কৈশোরের সেই ভক্তির অস্কুর যৌবনের প্রারম্ভেই শাখাপ্রশাখাসমম্বিত পাদপে পরিণত হইল । আমরা কলেজ ছাড়িতে না ছাড়িতে, শু্যামনগরে রেলগাড়ির সত্তঘর্ষণব্যাপার লইয়া মহাগণ্ডগোল হইল। প্যারীবাবু নিজসম্পাদিত এডুকেশন গেজেট পুত্রে এই দুর্ঘটনার যেরূপ ভাবে আলোচনা করিলেন, এবং পরে যেরূপ ভাবে ঐ পত্রের সম্পাদকতা ত্যাগ করিলেন, তাহাতে র্তাহার চরিত্রের কঠোর অংশ দেখিয়া তাহার উপর ভক্তি আরও দৃঢ়ীভূত হইল । পূৰ্ব্বে দেখিয়াছিলাম, তিনি সরলে কোমল—এখন বুঝিলাম, তিনি আত্মমর্য্যাদা রক্ষা করিবার জন্ত কঠোর দৃঢ়ত্রত এবং স্বপদে নির্ভর করিতে সক্ষম । ( গ্রন্থের নবম পরিচ্ছেদে জীবনবৃত্তের এই ভাগ পরিস্ফুট হইয়াছে । ) ১২৮২ সালের ১৫ই আশ্বিন ৫০ বর্ষ বয়সে প্যারীবাবু মানবলীলা সংবরণ করেন । কাৰ্বিকমাসে আমরা সাধারণীতে লিথিয়াছিলাম — “আজিকালি এমনই কাল পড়িয়াছে যে, যথার্থ ভদ্রলোকের উন্নতি অতি অল্পই দেখিতে পাওয়া যায় । দেবাসুরের সেবা না করিয়া এই বিচিত্র ক্ষেত্রে কৃতিত্বলাভ করা অতীব সুকঠিন । এখন প্রকৃত ভদ্রলোককে প্রায়ই নিস্তেজ, নির্জীব ও নিম্প্রভ