পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وفاوندھ প্রশমনার্থ কত উপদেশ মনে মনে সঙ্কল্প করিয়া রাখিয়াছিলেন । কিন্তু সীতা একটি আক্ষেপের কথা বলিলেন না, একবার দশরথকে স্ত্রৈণ বলিলেন না, কৈকয়ীর প্রতি কটাক্ষনিক্ষেপ করিলেন না, এমন কি, রামচন্দ্র যে জটাবষ্কল পরিবেন, ইহা শুনিয়াও শোকে বিদীর্ণ হইয়া পড়িলেন না । পরন্তু তিনি স্বীয় যৌবনকল্পনার মাধুরী দিয়া বনবাসকে এক স্বরম্যচিত্রে আঁকিয়া ফেলিলেন, রাজত্বের স্থখ অতি তুচ্ছ মনে করিলেন । সাধুপুষ্পিত পদ্মিনীসক্ষুল সরোবর, ফেননিৰ্ম্মলহাসিনী নদীর প্রবাহ, বনাস্তলীন শৈলথও, এই সকল দেখিয়া স্বামীর পাশ্বে সোহাগিনী ভ্রমণ করিবেন, এই স্বখের আশায় যেন আকুল হইয়া উঠিলেন । বয়ঃসন্ধির সময়ে একটি হাসির মূল্যে সাম্রাজ্য বিলাইয়া দিতে পারা যায়, স্বর্ণ ও হীরকখও অপেক্ষ একটু সঙ্গমুখ বেশী স্পৃহণীর মনে হয়, তাহা আমাদের বৈষ্ণবকবিগণ গাহিয়া গাহিয়া আমাদিগকে অভিজ্ঞ করিয়া তুলিয়াছেন । সীতা স্বামীর সঙ্গে গিরিনিঝর দেখিয়া ও বনের.মুক্তবায়ু সেবন করিয়া বেড়াইবেন, এই আনন্দের উৎসাহে রামের বনগমনের ক্লেশ ভাসিয়া গেল, রামচন্দ্র প্রায় হতবুদ্ধি হইয়া দাড়াইয়া রহিলেন । এই সুরম্য অযোধ্যার সমৃদ্ধ সৌধমালার ছায়া হইতে স্বামীর পাদচ্ছায়াই সীতার নিকট বেশী প্রশংসনীয় বোধ হইতে লাগিল। এই আনন্দ শুধু অনভিজ্ঞতার ফল, পুরনারীগণ তীর্থগমনের জন্ত সময়ে সময়ে যেরূপ উৎকণ্ঠ প্রকাশ করেন,—এই ইচ্ছ। সেই প্রকারের ; রামচন্দ্র ভাবিলেন, সীতার নিকট বঙ্গদর্শন । [ ৩র বর্ষ, শ্রাবণ । বনবাসের কষ্ট বুঝাইয়া বলিলে তিনি নিবৃত্ত হইবেন । কিন্তু ইহা সামান্ত পুরনারীর আশব্দার নহে, ইহা অাদণরই নহে—স্থিয় প্রতিজ্ঞ । যাহা তিনি অনভিজ্ঞ আনন্দের স্বর মনে করিয়াছিলেন—তাহ সাধবীর অটল পণ । রামচন্দ্র বনের কষ্ট র্তাহাকে সহস্রপ্রকারে বুঝাইতে লাগিলেন । কিন্তু সীতা কি কষ্টকে ভয় করেন ? ইহা তীর্থেীমুর্থী রমণীর বৃথা ঔৎসুক্য নহে, স্বামীর সঙ্গ ছাড়িয়া সাধবী থাকিতে পরিবেন না—এই তাহার স্থির সঙ্কল্প । রাম তখন বনের ভীষণতার একটি চিত্র সীতার সম্মুখে উপস্থিত করিলেন ; কৃষ্ণ সর্প, বনতরুর কণ্টকপূর্ণ ব্যাকুল শাখাগ্ৰ, ফলমূলজীবিকা এবং অনশন, পঙ্কিল সরোবর, ব্যাঘ্ৰ, সিংহ ও রাক্ষসগণের উৎপাত প্রভৃতি শত শত বিভীষিক প্রদর্শন করিয়া সীতার ভীতি উৎপাদনের চেষ্ট। পাইলেন । সীতা ঘৃণার সহিত সে সকল উপেক্ষা করিয়া বলিয়া উঠিলেন, “তুমি কি আমাকে তুচ্ছ শয্যাসঙ্গিনী মনে করিয়াছ, আমি কুলপাংশনী নহি —“ছ্যমৎসেনস্থতং বীরং সত্যব্রতমমুত্রতাম। সাবিত্ৰীমিব মাং বিদ্ধি * পরে বলিলেন, “আমি ব্রহ্মচৰ্য্য পালন করিয়া তোমার সঙ্গে বনে পৰ্য্যটন করিব । যাহার। ইক্রিয়াসক্ত, তাহারাই প্রবাসে কষ্ট পায়, আমরা কেন কষ্ট পাইতে যাইব ?” রাম তথাপি নানারূপ ভয়ের আশঙ্কণ করিয়া তাহাকে প্রতিনিবৃত্ত কল্পিবার প্রয়াসী হইলেন ; সীতা ক্রোধাবিষ্ট ङ्हेब्रा दलि८लन-“निटख्द्र कँोटक *ां८चf রাখিতে ভয় পায়, এরূপ নারীপ্রকৃতি পুরুষের হস্তে কেন আমাকে পিতা সমর্পণ করিয়া